সিনহা হত্যার পুলিশের দায়ের করা মামলার সেই ৩ সাক্ষী ফের রিমান্ডে

0
366

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীর আবারও চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৯ আগস্ট টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার করে র্যাব।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

এর আগে গত ১২ আগস্ট তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের জন্য ১৪ আগস্ট তাদের র্যাবের হেফাজতে নিয়ে ২০ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে আরও তথ্য জানতে তাদের ফের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম।

খাইরুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে এই তিনজন সাধারণ জনতা। এর আগে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছি। কিন্তু অন্যান্য আসামিদের দেয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য মূলত রিমান্ড নেয়া। যাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং নিরহ লোক কষ্ট না পায়। আমাদের সবার প্রত্যাশা সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হোক, দোষীরা সাজা পাক।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ তড়িঘড়ি করে দুটি মামলা করে। মামলায় নিহত সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী করা হয়। এরপর নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 5 =