হবিগঞ্জের বাজারে হচ্ছে ভারতীয় চোরাই মোবাইলের বিক্রি

0
376

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে ভারতীয় চোরাই মোবাইলে সয়লাব হয়ে গেছে হবিগঞ্জের বাজার। জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শত শত মোবাইল ফোন,ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে এসব মোবাইল ফোন দেশে প্রবেশ করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, এসব চোরাই মোবাইলফোন শুধু খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে না, বিভিন্ন নামি-দামি দোকান ও শো-রুমে এসব চোরাই মোবাইল বিক্রি হচ্ছে নিরবে,নিভৃতে,

গতকাল বুধবার শহরের টাউনহল রোড এলাকার ‘খাজা গার্ডেন সিটি’র ৩য় তলায় চোরাই মোবাইল বিক্রির অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদতালত। এ সময় ‘এক্সপ্লোর টেলিকম’ থেকে দুটি রেডমি-৯ এবং দুটি রেডমি নোট-৮ সহ ভারতীয় চারটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে দোকানের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিব আহমেদকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়,

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হবিগঞ্জ ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা। তিনি বলেন- ‘শহরের বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে এসব ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের টাউনহল রোড এলাকার ‘খাজা গার্ডেন সিটি’র ৩য় তলায় এক্সপ্লোর টেলিকম,এ অভিযান চালানো হয়,এ সময় সেখানে ৪টি ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া যায়,

তিনি বলেন,শুধু এক্সপ্লোর টেলিকম’ নয়, জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার মোবাইলের দোকান ও শো-রুমে ভারতীয় অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে,

অনুসন্ধানে জানা যায়,ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া মোবাইলফোন চোরাকারবারিরা বেশি দাম পাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। পরে সেগুলো হবিগঞ্জের চোরাকারবারীরা বিভিন্ন মোবাইলের দোকান ও শো,রুমগুলোতে বিক্রি করছে। ভারতের চোরাইকৃত মোবাইল ফোনের আইএমইআই (মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি) বাংলাদেশে আসার পর শনাক্ত না হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা। তারা চুনারুঘাট ও মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভারত থেকে এসব মোবাইল ফোন প্রতিদিন দেশে নিয়ে আসছে। তবে এসব মোবাইল ফোন পাচারের সাথে চোরাকারবারীরা জড়িত থাকলেও আড়াল থেকে লিড দিচ্ছেন মূলত বড় মোবাইল ব্যবসায়িরা, কখনো নিজেরাই চোরাকারবারীদের দিয়ে এসব মোবাইল ভারত থেকে নিয়ে আসছেন আবার কখনও চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে কিনে সেটি নিজের শো-রুমে তুলে রাখছেন,

এদিকে, এসব মোবাইল বিক্রি করতে বিভিন্ন কায়দা অবলম্বন করছেন ব্যবসায়িরা। প্রতিটি মোবাইল বাজার মূল্য থেকে ২/৩ হাজার টাকা কম নিয়ে বিশেষ অফার দাবি করে বিক্রি করছেন সাধারণ ক্রেতার কাছে। ফলে কম দাম পাওয়ায় মোবাইলের শতভাগ কাগজপত্র যাচাই-বাচাই না করেই তা কিনে নিচ্ছেন অনেক ক্রেতা,

একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়- হবিগঞ্জ জেলা শহরের বেশ কয়েকটি নামি-দামি মোবাইল শো-রুমের মালিক নিজেই সরাসরি ভারত থেকে মোবাইল পাচারের সাথে জড়িত রয়েছেন। আবার কোন কোন ব্যবসায়ি মোবাইল পাচারের জন্য সীমান্তে নিয়োগ দিয়েছেন চোরাকারবারি,

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × two =