জোর যার মুল্লুক তার এই নীতিতে ইতিহাস স্বাক্ষী এক প্রকারের অত্যাচারিত ক্ষমতাবানরা শোষন, নিপীড়ন, অত্যাচার-জুলুম করে গরিবের রক্ত চুষে নিজেদের জন্য অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। বর্তমান সরকার উন্নয়ন নির্ভর হলেও তাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী কিছু হাইব্রিড নেতা সেজে উচ্চ পদস্থ সম্মানীত ব্যক্তি মহোদয়ের নাম বিক্রি করে ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যেলোক দেখানো বড় বড় কথা বলে। এমন ভাব যেন মায়ের চেয়ে মাসির দরদ।
রাজধানীর বংশাল থানাধীন নাজিরা বাজার লেনের বাসিন্দা মো: শহিদুল্লাহার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন ভাটারা মৌজার নুরেরচালা এলাকায় মো: নুরুল ইসলাম এর মালিকানাধীন তিন কাঠা ভূমির উপর ইউরেকা হাউজিং লি: নির্মিত ছয় তলা ভবনের একটি কার পার্কিং সহ ৬ষ্ঠ তলার দক্ষিন পূর্ব পার্শ্বের ৮১০ (আটশত দশ) বর্গফুট আয়তনের “বি” নং ফ্ল্যাট গত ০১/১২/১২ ইং রেজিস্ট্রি করে মালিক হওয়ার পরও অদ্যবদি তাহার ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারে নাই
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফ্ল্যাটের প্রকৃত মালিক শহিদুল্লাহ অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারেনি কেন-কি জন্য তাহার ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছে। শুধু এতটুকু জানতে পারে যে বা যারা ফ্ল্যাট দখল করে রেখেছে তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ভি.আই.পি ব্যক্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের ভাগিনা আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দানকারী একজন স্বনামধন্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ফ্ল্যাটটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। যার হাত অনেক প্রসস্থ ও তিনি অনেক ক্ষমতাবান জানিয়াও তার সাথে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ঐ ফ্ল্যাটটি দেখতে বিগত সময়ের মধ্যে অসংখ্যবার গেলেও দূর্ভাগ্যজনক তাদের কোন লোককে পাওয়া যায় নাই।
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর বেশ কিছুদিন পূর্বে শহিদুল্লাহ এবং তার ভায়রা উক্ত ফ্ল্যাটে যেতে সক্ষম হলে, ফ্ল্যাটে অবস্থানকারী মহামান্য রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয় দানকারী আশরাফুল ইসলাম ও পিয়ার হোসেন তাদেরকে আটকে রেখে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার ভয় দেখিয়ে মোবাইলে উক্ত ভি.আই.পি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কথিত ভাগিনাকে ধরিয়ে দিলে হ্যালো বলতেই সে গালি-গালাজ শুরু করে এবং বলে প্রেসিডিন্টের ভাগিনা ইফতেখার উদ্দিন পলাশ এই নামটা জানার পর কেউ ভূলেও দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন করে নাই আর তোরা কোন কলিজা নিয়ে আমার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিস, যেখানে পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এমনকি সেনাবাহিনীও আমার এখানে আসতে সাহস করেনা। এই বলে ফোন কেটে দেয়। এই বিষয় নিয়ে শহিদুল্লাহ সংশ্লিষ্ট থানাতে সাধারণ ডায়রী করে যার নং- ১১৫৭ তাং ১৭/০৯/১৬ ইং। সাধারণ ডায়রী নং ১৬৫০ তাং ২৬/০৫/১৬ ইং। এই বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত বাড়ীর (জমির) মালিক নুরুল ইসলাম এই প্রতিবেদকে জানান উক্ত পলাশ লোকজন নিয়ে এসে রাতের অন্ধকারে কারও অজান্তে অস্ত্র, পিস্তল দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে হুমকী-দামকী প্রদাণ করে ফ্ল্যাটটি দখল করে রেখেছে এমনকি এ বিষয়ে কোন প্রকার স্বাক্ষী দিলে বা কারো সাথে কথা বললে আমাকেও প্রাণে মারার হুমকি দেয়। জীবনের নিরাপত্তার জন্য আইনি এই প্রক্রিয়া কি বাচাঁতে পারবে? বাড়ীর মালিক নুরুল ইসলাম, অসহায় শহিদুল্লাহ ও তার ভায়রার পরিবারকে।
ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, প্রতিকার ও সার্বিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন বলে জানান। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের যোগ্য কন্যা তার ন্যায় পরায়নতা আর সততায় দেশে উন্নয়নের জোয়ার আছে ঠিকই কিন্তু কিছু হাইব্রিড নেতাদের আগমনে আওয়ামীলীগের কুসুম বাগান নষ্ট করার পায়তারা করছে কোন ভূতুম প্যাঁচা।
খতিয়ে দেখার এখনই উত্তম সময়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা দূর্নীতি, অন্যায়, জুলুম চলবে না। আগে সোনার বাংলা সাধু সাবধান।