নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ গ্রাম হবে শহর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ এর অন্যতম । এ কারণে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার মহাযজ্ঞ বাস্তবায়ন করে চলেছে ।
এখন বাংলদেশেরে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা চালু রয়েছে। সে দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন প্রতিটি গ্রামেই শহরের রূপে রূপান্তরিত হবে। বলছিলাম সেনবাগ উপজেলার বক্সীর হাটে মোহাম্মদ মাসুদ রানার গল্প। যিনি একাধারে দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে দেশে এসে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্থাপন করে এক দুঃসাহসিক অথচ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন। পিতা গোলাম মাওলা বাহার এর একমাত্র পুত্র সন্তান।
পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জীবিকার তাগিদে চৌমুহনী এস.এ কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে এইচ.এস.সি পাস করে সৌদি আরব গমন করেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে একটি আমেরিকান কোম্পানীতে চাকরী করার ফলে উন্নত জ্ঞান ও আধুনিক সভ্যতার স্পর্শে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায় । যার ফলে সে কোম্পানীতে জেনারেল ম্যানেজার পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত হন। সুনাম যশ অর্থের প্রাচুর্য্য থাকা শর্তেও দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার টান অনুভব করতেন ।
আর স্বপ্ন দেখতেন দেশে এসে তার গ্রামে একটি অত্যাধুনিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মত একটি মাকের্ট নির্মাণের। স্বপ্ন বাজ এ তরুণ শুধু স্বপ্নতে আটকে থাকেনি তার প্রজেক্ট। এজন্য তিনি ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করে রেখেছিলেন। আজ এই জমির উপর প্রতিষ্ঠিত তার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি । দৃষ্টিনন্দন, আধুনিক স্থাপনা ও এক ছাদের নিচে নিত্য ব্যবহার্য্য সকল পণ্যে সমাহার যে কারো চমকে যাওয়ার মত । বিনিয়োগ ঝুঁকি, অজপাড়াগাঁও কোন কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে নির্মাণ করা এ মার্কেট নিয়ে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, নিশ্চয় গ্রামের মানুষ আধুনিক সুবিধার কথা চিন্তা করে মার্কেটে আসবে। দেশ-বিদেশ থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য মেসার্স মাসুদ ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে একটি লাইসেন্স করেছেন। সংসার জীবনে তিন কন্যা সন্তানের জনক মাসুদ রানা যেতে চান আরো দূরে। মানুষকে ভালোবাসেন তাই মানুষের সেবার জন্য তার এই প্রতিষ্ঠান । তিনি সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তার স্বপ্নের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে আসার জন্য।