অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত পরামর্শক কমিশনের বৈঠক

0
312

বহুল প্রত্যাশিত ষষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।

বৈঠকে দুই দেশের সহযোগিতার সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভারতের ক্রেডিট লাইন, প্রতিরক্ষা, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় বৈঠকে উঠতে পারে।

এছাড়া বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর যৌথভাবে উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা হবে।

জেসিসি বৈঠক সামনে রেখে গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচ্য বিষয় নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি টেলিফোনে আলোচনাও করেছেন বৈঠক বিষয়ে।

এর বাইরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার গত ১৮ থেকে ১৯ আগস্ট ঢাকা সফরকালেও জেসিসি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী এ বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে কমিশনের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জেসিসির ষষ্ঠ বৈঠক আয়োজন করছে। পঞ্চম বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং ভারতীয় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দেন।

গত বছরের অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জেসিসির বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সহযোগিতা আরও জোরদারে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সমঝোতা স্মারকগুলোতে ১৮০০ বাংলাদেশি সরকারি কর্মচারীর প্রশিক্ষণ, আয়ুষ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঔষধি গাছপালা বিষয়ে সহযোগিতা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) মধ্যে সহযোগিতা এবং মোংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে হীরানন্দিনী গ্রুপ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা।

২০১৭ সালের অক্টোবরে জেসিসির চতুর্থ বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =