শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে

0
375

সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক এবং সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালককে (কলেজ ও প্রশাসন)। এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক (কলেজ) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি ছিলো কি-না, তা সরেজমিন তদন্ত করে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখেন দু’জন।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও রবিউল ইসলাম (২৫)।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন।

এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও পাঁচ নম্বর আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউলকে গতকাল সোমবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আজ মামলার এজহারভুক্ত আসামি মাহবুবুর রহমান, সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + eleven =