লক্ষীপুর প্রতিনিধি: লক্ষীপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের মিয়া রাস্তার মাথা নামক স্থানে জোর করে অন্যে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জিল্লুর রহমান নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ২৮ই আগষ্ট শুক্রবার জিল্লুর রহমান উক্ত জমিতে রাতের আধাঁরে দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে, জমির মালিক হোসনে আহমেদ গং এবং এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এই ব্যপারে ৫ই সেপ্টেম্বর হোসেন আহমেদ বাদি হয়ে লক্ষীপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী হোসেন আহমেদ বলেন উক্ত সম্পত্তি আমাদের পৈক্তিকভাবে প্রাপ্ত। জিল্লুর রহমান আামার সৎ জেঠাতো ভাতিজা। ২০১৩ সালে তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) দেলোয়ার হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এর উপস্থিতিতে সালিশে বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের পৈত্তিক সম্পদ ভাগ করে দেওয়া হয়। উক্ত সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষ একমত হয়ে সম্মতি প্রদান করেন। এত জিল্লুর রহমান গং ১১৯ শতক জমি পাওনা হয়। সালিশদারেরা উক্ত জমি তাদেরকে মেপে বুঝিয়ে দিতে হোসেন আহমেদ মাষ্টারকে দায়িত্ব দেন। তিনি উক্ত জমি জিল্লুর রহমান গংদের বুঝিয়ে দেন। হঠাৎ গত বৃস্পতিবার জিল্লুর রহমান রাতের আঁধারে জোর করে আমাদের জমিতে ঘর করে দখলের চেষ্টা করে।
জিল্লুর রহমান জোর করে জমি দখল করে দোকান ঘর তৈরীর বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি এটি তার জমি বলে দাবি করেন। নিজের জমি হলে রাতের আঁধারে দোকান করার চেষ্টা করলেন কেন? এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
এলাকাবাসী রাজু আহমেদ বলেন, জোর করে রাতের অন্ধকারে জিল্লুর রহমান দোকান ঘর তৈরীর চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষ হোসেন আহমেদ নিজেদের জমি দাবি করে বাধাঁ দেয়। উভয় পক্ষকে আমরা সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বলেছি।
লক্ষীপুরসদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোতাহের হোসেন বলেন, মো: হোসেন আহম্মেদ মাষ্টার তার জমি দখলের চেষ্টার একটি অভিযোগ করে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
এই ব্যপারে মনিরুল ইসলাম শিফলু বলেন, রাতের আঁধারে জোর করে জিল্লুর রহমান আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। জমি ভাগ করে দেওয়ার পরও জিল্লুর রহমান গং দের এই সন্ত্রাসী কাজের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়াও আমরা প্রশাসন বা পৌরসভা যে ভাবে হোক একটি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান চাই।