এখনই সময় দেশের রাজনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবি,সুশীল সমাজ, তরুণ সমাজ, ছাত্র সমাজ,নারী সমাজের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সঠিক সমাধান খোঁজার।
অবশ্যই আমি সবার সাথে একমত ধর্ষণকারী ফাঁসি চাই,
শুধুমাত্র কিছু লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেই কি,সব ঠিক হয়ে যাবে।এভাবে কিছুই ঠিক হবেনা,এর মানে এই নয় যে আমি তাদের সমর্থন করছি।আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে ধর্ষণের ঘটনা কেন ঘটছে।যখন কেউ অপরাধ করে,তাকে শাস্তি দিতে হবে – সেটা আলাদা বিষয়।
আমি তার মধ্যে ঢুকছি না। কিন্তু সামাজিক ভাবে, সমাধানের সূত্রটা কী?
আমরা আমাদের সন্তানদের কি শিক্ষা দিচ্ছি,পিতামাতারা, যুক্তিযুক্তভাবে, তাদের সন্তানের চরিত্র গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন এবং বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে জীবনে সে কি রকম মানুষ হয়ে উঠবে তার উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলেন।কিছু মানুষ হয়তো আমার কথার সাথে একমত হবেন না জানি তাদের যুক্তি হচ্ছে বাচ্চারা নিজেরাই নৈতিকতা শেখে কিন্তু এটি ভুল, অল্প বয়সেই বাচ্চাদের মূল্যবোধ শেখানো ভাল, যাতে তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে সেগুলি তাদের ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে যায়।
রাজনৈতিক পরিচয়ে মূল সমস্যা নয়,মূল হচ্ছে নৈতিকতার অবক্ষয়,আর নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা গুলো ঘটছে।
কোথায় যাচ্ছে সমাজ? এই নির্মমতার শেষ কোথায়?
ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াইল লাখ মা বোন
আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়েছিলেন বুক ভরা স্বপ্ন আর আশা নিয়ে যাতে আগত স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সূর্যের কড়াল তাপে সব অপশক্তি পুড়ে ছাই হয়,অনাগত কাউকে যেন আর এই মাটিতে বুকের রক্ত ঢালতে না হয় আর কোন মা বোন কে যেন তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে না হয়।
ধর্ষণ বাড়ার আর একটি কারণ হচ্ছে, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া, তার মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাবে পার পাওয়া তো আছেই। এখন পর্যন্ত ধর্ষণের অপরাধে যুগান্তকারী কোন শাস্তির মানদণ্ড তৈরি হয়নি, যা দেখে ধর্ষকরা ভয় পাবে। এই কারণে যে কেউ, যেকোন সময়, যেকোনো বয়সের নারী শিশু থেকে শুরু করে আশি বছরের বৃদ্ধা কেও ধর্ষণ করছে।