মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)

0
684

মায়ের কাছে শুনতেন তার ভেতর আকাশছোয়া সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মানুষটি আজ সেবার ব্রত নিয়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর দায়িত্ব ও কতর্ব্যে  অটল থেকে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর, সেই নির্দেশনা মাফিক জিরো টলারেন্স অবলম্বনে অপরাধ দমনে এগিয়ে চলেছেন মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)। এবং সন্ত্রাস, জঙ্গি দমনে সফল হয়েছেন, তাই আজ সকলে তার প্রশংসায় পঞ্চমূখ। মানুষের ভালোবাসা এবং কর্মকান্ডের মাঝে নিজেকে সার্বক্ষনিক বাঁচিয়ে রাখতে চান। বরিশাল রেঞ্জে তার যোগদানের পর অদ্যবধি পর্যন্ত দায়িত্ব ও কতর্ব্যে অটল রয়েছেন বিধায় আজ জনবান্ধব পুলিশ প্রশাসন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়; পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বরিশাল রেঞ্জের সকল পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে চলেছেন। সে কারণেই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। শক্তি বা বল প্রয়োগে নয় বরং ভালোবাসার বার্তা দিয়ে সমাজ থেকে অপরাধের অন্ধকার দূর করে আলোর পথ দেখাবেন এমনটিই বললেন মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)। পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও ভালোবাসা আর সেবায় প্রত্যেকের হৃদয়ের মাঝে উজ্জল আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। তার দুরদর্শি ও বিচক্ষনতার কারনে পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছে মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের এবং তাদেন মাঝে এসেছে পেশাদারিত্ব। পরিবর্তনের আলোকে উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ন কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

যেমন অপরাধ কমানো ও পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বরিশাল রেঞ্জে জাপানি পুলিশের ‘কোবান’ পদ্ধতি অনুসরণ করে চালু করা হয়েছে ‘বিট পুলিশিং কার্যক্রম’। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর-শহরকে একাধিক ইউনিটে ভাগ করে প্রতিটি ইউনিটের জন্য একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ৫ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তথ্য/অভিযোগ বক্স স্থাপন এবং রেঞ্জ পুলিশের অ্যাপ চালু।

পুলিশের নেয়া উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ডিআইজির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন অনেকে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং আর মাদকের ভয়াবহতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগ জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাতে সহজে পুলিশের সেবা পেতে পারে সেজন্য এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)। ইতিমধ্যে এলাকার চিহ্নিত অনেক মাদক ব্যাবসায়ী গা ঢাকা দিয়েছে।

গ্রেফতার হয়েছেন অধিকাংশ মাদক ব্যাবসায়ী। একইসাথে বন্ধ হয়ে গেছে চিহ্নিত মাদকের স্পটগুলো। মাদকসেবী আর মাদক ব্যাবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ অনেকেই হাফ ছেড়ে বেচেছেন। স্থানীয় সচেতন মহল মাদকের বিরুদ্ধে মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) এমন কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্সকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও স¤প্রতি প্রতিষ্ঠিত ও সচ্ছল সন্তানের মায়া-মমতা, ভালোবাসা ও আদরবঞ্চিত ভিক্ষুক মা মনোয়ারা বেগমের (৭০) প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এই নিরহংকারী মানুষটি।

হাসপাতালে ওই ভিক্ষুক মাকে দেখতে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করার কথা জানান মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)। মাদক বিরোধী কার্যক্রমের ব্যাপারে তিনি বলেন, নানাবিধ উদ্যোগের মধ্যে মাদকমুক্ত বরিশাল রেঞ্জ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মাদক বিরোধী কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।

আইনের ভেতর থেকে মাদকাসক্ত ও ব্যবসায়ীদের ভালো হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। অপরাধীরা ভয় পাক কিন্তু জনগণ যেন পুলিশকে ভয় না পায়, তারা যেন সব কাজেই পুলিশকে বন্ধু হিসেবে মনে করে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের মূল অস্ত্র হল; সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাওয়া।

সাধারণ জনগণ যাতে সহজে পুলিশের কাছে তথ্য পৌছাতে পারে সেজন্য পাড়া-মহল্লায় অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশিং একটি টিম ওয়ার্ক। সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক সঙ্গে কাজ করলে দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যাপারে মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) বলেন, শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মাদকের মত মরণ নেশায় জড়িত। এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ধ্বংসের পথ থেকে টেনে তুলতেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রসমাজে অপরাধ প্রবণতা কমবে।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমে যাবে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক অপরাধও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ পরিবারের এ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের আহŸান জানান মানবহিতৈষী রেঞ্জ ডিআইজি বরিশাল শফিকুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম)।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + 8 =