আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমূলক কর্মকা- প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার

0
355

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায়শই পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেক মানবিক ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সবার আগে সমাজের অসহায় মানুষের দু:খ-দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেই। অন্যদিকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা, অসেচতনতা এবং দারিদ্রের কারণে ভুক্তভোগী অসহায় নারীরা সঠিকভাবে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন না। পারেন না নিজেদের নির্যাতন বা ভোগান্তির কথা খুলে বলতেও। ফলে একদিকে বিচার কার্য যেমন বিলম্বিত হয়, তেমনি ভোগান্তিও বাড়ে নারীদের। আর একবার নারীরা যখন তাদের স্বামী বা শ্বশুরকূলের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেন তখন আর ওই স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা ওই নারীকে সাধারণত মেনে নিতে চান না। ফলে রুদ্ধ হয়ে আসে সমঝোতার পথও।


এসব বিবেচনায়, মামলা পরিচালনার সামর্থ্য নেই অথবা মামলায় আগ্রহী নন এমন দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশিং সেবার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (জাগরণী)। স্বামী স্ত্রীর অসহিষ্ণু আচরণ এবং ছোটখাটো দাম্পত্য সমস্যা, পারিবারিক, সামাজিক, শারীরিক ও মানবিক সমস্যা, ইভটিজিং ও বখাটেদের উৎপাত, স্ত্রী-সন্তান কিংবা বৃদ্ধা বাবা-মায়ের খোঁজ খবর না রাখা, খোর-পোষ না দেওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করছে (জাগরণী) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার।


উক্ত কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের (জাগরণী) সমন্বয়কারী এসআই জান্নাতুল ফেরদৌসী কে কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে এ কে এম শহিদুল হক বিপিএম, পিপিএম, ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ মহোদয় কর্তৃক বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ এবং ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার), ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয় কর্তৃক বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান করেন।


নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের (জাগরণীর) মাধ্যমে পুলিশ সুপার, মো: মারুফ হোসেন, (পিপিএম) গত ১৪/০৮/১৮ খ্রি. হতে ৩১/১২/১৯ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত পারিবারিক নির্যাতন ২১৮টি, যৌতুকের জন্য

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − 4 =