মাদকসেবীদের সুস্থধারায় ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন পিপিএম এর ভূমিকা

0
433

পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) বরগুনা জেলায় যোগদানের পর থেকে তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৭২ জন মাদকসেবী/ব্যবসায়ী পুলিশের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। তার মধ্যে ৩৭ জন মাদকসেবীকে স্বাভাবিক এবং সমাজের মূল ধারার জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বরগুনা জেলা পুলিশ কর্তৃক মাদক নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। ৮৮ জন মাদকসেবী/মাদকব্যবসায়ীকে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৭২ জন মাদকসেবী/মাদকব্যবসায়ীকে বরগুনা জেলা পুলিশ কর্তৃক পুনর্বাসন করা হয়েছে।


গত ১০/১১/২০১৯ খ্রি. উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রলয়ংকারী ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’ বরগুনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বরগুনা জেলার সর্বমোট ৪২ ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় কম বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। ১টি ট্রলারসহ ১৫ জন জেলে নিখোঁজ ছিল। সেই সময় বরগুনা জনবান্ধব এস পি মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) আর্তমানবতার টানে এবং রাষ্ট্রীয় অর্পিত দায়িত্ব পালনে নির্ঘুম রাত অতিবাহিত করে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন অধস্তন কর্মকর্তাদের।

সেই সময় বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এস পি মারুফ হোসেন (পিপিএম)। শস্য ভা-ার সহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য, ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী সময় ব্যাপক কর্মপন্থা গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বরগুনার বিদ্যুৎ বিভাগের লাইন মেরামতে ১০টি টীম কাজ করে। জরুরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৪২টি টীম কাজ করেছিল। পাশাপাশি বরগুনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ১টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক জরুরি তথ্যাদি আদান প্রদানের কাজে প্রস্তুত ছিল।

ঝড়ের পরপরই বরগুনা জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক রাস্তার উপর ঝড়ে পড়ে থাকা গাছ অপসারণের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে। রাত্র ০৩.০০ ঘটিকা হতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × three =