পটিয়ায় ধর্মীয় সংগঠনের লেভাসে যৌতুক লোভী খাইরুলের নির্যাতনে তিন অসহায় পরিবার দিশেহারা..

0
461

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৬ডিসেম্বর,চট্টগ্রাম উপজেলা পটিয়াস্থ ১২নং হাইদগাঁও ইউপি’র মোঃ খাইরুল বসরের যৌতুকের বলি হয়ে একে একে তিন অসহায় নারী এখন শিশু সন্তান নিয়ে অনেকটা অস্বচ্ছল পরিবারের বোঝা হয়ে নিধারুণ কষ্টে দিন যাপনের তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,খাইরুল বসর নিজে যৌতুক বিরুধী সংগঠনের নেতা,আর তিনি তথ্য গোপন করে মোটা অংকের যৌতুক নিয়ে একে একে তিন বিয়ে করে এলাকায় দারুণ কৌতুক সৃষ্টি করেছেন। যাহা রীতিমতো তার পরিবারও হতাশ প্রকাশ করেছেন।


ধর্মের লেভাসে নিরীহ পরিবার কে জিম্মি করে শ্বশুর পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা-উপহার সামগ্রী নিয়ে বছর দুয়েক পরে তালাক নোটিশ, মিথ্যা মামলা আর আইনের ভীতি প্রদর্শন এবং এসিড ছুড়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি এবং মোহরনা আদায়-নারী শিশু নির্যাতন ধারায় তুলে নিতে বাদী পক্ষ কে পথ-ঘাটে হুমকি সহ চরম নির্যাতন করার গুরুতর অভিযোগ করেন ২য় স্ত্রী মিসেস শাহিনা ও তার পরিবার। আর বিয়ে করার সময় জোর পূর্বক দাবিকৃত যৌতুকের টাকায় মোটার বাইক নিয়ে উল্টো শ্বশুর পক্ষ কে সন্ত্রাসী স্টাইলে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।

অভিযুক্ত বসর স্থানীয় শালিশ পরিষদ কে মিথ্যা তথ্য ও বিনা অজুহাতে গ্রামের সহজ-সরল নিরীহ অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করার নাটক সাজিয়ে সর্বস্ব লুটে নিয়ে তালাক কাগজ পাটিয়ে প্রতারণার স্থাণীয় ইউপি মেম্বার মোঃ ইদ্রিস ও স্বীকার করেন । তিনি আরো জানাই- বশর পর পর প্রথম,২য় বিবাহ গোপন করে ৩য় বিয়ে করে বর্তমানে অন্যত্র বসবাস করছেন। তাহার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একাধিক জিডি/অভিযোগ, চেয়ারম্যান-মেম্বারের নিকট বিচার প্রার্থনা পটিয়া আদালতে মামলা,চট্টগ্রাম আদালতে মামলা সহ অজস্র লিখিত অভিযোগ রয়েছে বলে পটিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে।
পটিয়া পৌরসভাস্থ(গোবিন্দারখীর,৮নং ওয়ার্ডের)ভুক্তভোগি শাহিনের মা নুর আয়শা অভিযোগে জানাই,বসরের হুমকিতেও ভয়ে বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছেন ।একই কথা জানিয়েছেন স্ত্রী(তালাক প্রাপ্ত) ২য় শাহিনা আক্তার। তার একটি পুত্র সন্তান সহ মা-ভাই কে নিয়ে কঠিন অবস্থায় গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেছেন।

এলাকার শালিশি পরিষদ সদস্যরা বশরের ব্যাপারে উচ্চ আইনী ব্যবস্থা নিতে বাদী শাহিনা কে জানিয়ে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন,বসর বর্তমানে একটি ইসলামী সংগঠন থেকে বহিস্কৃত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সংগঠনের নামে প্রতারণা করে বেড়াচ্ছেন। তার বিষয়ে কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারও দায়ি নিবেন না বলে তার আপন ভাই সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন। জানা গেছে যে, বসরের খারাপ কর্মে কান্ডের কারণে তার পরিবারও তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে।

তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের রেকর্ডের জন্য বিগত২০/১০/২০১৯সালে(নারী ওশিশু) ধারায় নথিভুক্ত মামলা নং-২৬৭/১৯,চেয়ারম্যান দরাবারে নালিশ পত্র নং-২১/৮/১৯,পটিয়া আদালাতে-০৫/০৯/২০১৯ তারিখে হত্যা চেষ্টা,নির্যাতন, শিশুহত্যা এবং যৌতুকের জন্য মারধর সহ আরো একাধিক কারণে চরম নির্যাতন চালাই বলে প্রতিবেশী মোঃ খোকন সংবাদ মাধ্যম কে জানিয়েছেন।

পটিয়া খান মোহনার যুবক খোকন আরো জানাই,তার বড় বোনের সাথে এই চরিত্রহীন বসরের বিবাহে হয়েছিল ১০/১২বছর আগে,সেই ঘরে দুটি সন্তানও আছে। তার বোনের নাম রাসেদা বেগম। তাকে সে যৌতুকের জন্য চরম নির্যাতন করে মিথ্যা অজুহাতে তালাক দিয়ে একই এলাকার শাহিনা ২য় বিয়ে করে। এর আগে আমার বোনের করা মামলায় লোভী বসর কে নারী-শিশু নির্যাতন আইনে জেলে পাঠায়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমাদের হত্যার হুমকি সহ জীবন নাশের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হন। পরে মেম্বার ও শালিশি পরিষদের মাধ্যমে তাকে বেদম প্রহার করে ছেড়ে দেই।

বিষয়টি জানতে পটিয়া থানায় কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক কে জিজ্ঞেস করলে থানা সূত্রে জানাই, বশরের বিরুদ্ধে একাশিক মামলা যেহেতু চলমান এবং আদালতের নির্দেশনায় সাময়িক জামিনে আছেন সেহেতু আমরা কিছু বলতে পারছি না। তবে তার বিরুদ্ধে চলমান মামলায় ওয়ারেন্ট/আটক নির্দেশনা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিব। গত কয়েকদিন পূর্বেও বসরের বিরুদ্ধে বাদী শাহিনের মৌখিক অভিযোগ জেনেছি। ২য় স্ত্রী শাহিন আরো জানাই, তাকে মামলা তুলে নিতে মিথ্যা ইয়াবা-মাদক ও পতিতা(মানব)পাচার মামলার ভয় দেখিয়ে মানষিকভাবে নির্যাতনের কথা বিজ্ঞ আদালত কে অবগত করেছেন।

এই রিপোর্ট লিখা আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত খাইরুল বসরের সাথে একাধিকবার তার পৈত্রিক ঠিকানায়/একান্ত ভাবে (মুঠোফোনে) যোগাযোগ করে পাওয়া না যাওয়াতে তার বক্তব্য নেওয়া যাইনি। ভুক্তভোগি নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা উচ্চ প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন যে, এই জঘন্যতম বক ধার্মিক প্রতারকের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 4 =