আজমিরিগঞ্জে মৎস্য লুটেরা মশক আলীর তান্ডবে দিশেহারা কৃষক ওমেদ আলী

0
463

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে প্রতিবছরের মতো এবারও নিরীহ কৃষক ওমেদ আলী শতবিঘা জমির মৎস্য লুটের পায়তারা তোড়জোড় চালিয়ে আসছে মৎস্য ডাকাত খ্যাত ভূমিদস্যু মশক আলী। দাঙ্গাবাজ মশক আলীর অত্যাচারে অসহায় কৃষক ওমেদ আলী বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন ক্লান্ত। পান থেকে চুন খসলেই বৃদ্ধা ওমেদ আলীর উপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন চালায় মশক আলীর দলবল। থানা পুলিশে কাছে লিখিত নালিশ করেও কোন ন্যায় বিচার পায়নি ওমেদ আলী। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ওমেদ আলী মামলা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও মশক আলীর টাকার কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে সেই অভিযোগ। ওমেদ আলী মামলা করলে তদন্ত আসে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে। আর মশক আলী সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে টাকা দিয়েই ম্যানেজ করে।

একারনে পুলিশ কোন কথাই শোনে না ওমেদ আলী। ওমেদ আলী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ঘটনা ঘটার পরে। আর এই সুযোগে মশক আলী প্রতিবছরই জোড়পূর্বক ওমেদ আলীর জমি থেকে ১০/১২ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। জমির পানি কমে আসায় এবছরও মশক আলী উক্ত জমির মাছ লুটের প্রস্তুতি শেষ করেছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মশক আলী উক্ত জমিতে জাল ফেলবে। যদিও ঐ জমিতে মশক আলীর বৈধ কোন মালিকানা সত্ত্ব নেই।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মশক আলী খুবই সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, ভূমিদস্যু। আইনকানুন কোন কিছুই পরয়া করেনা। বলপ্রয়োগ করে সব কিছু পেতে চায়। অন্যের জমিজমা, হাওরের মাছ লুটপাট করাই পেশা। এরই ধারাবাহিকতায় মশক আলীর নজর পরে নিরহী কৃষক ওমেদ আলীর ধান চাষের জমির উপর। কৃষক ওমেদ আলী তার দাদার ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত প্রায় শতবছরের রেকর্ডীয় ৬ একর ৫৭ শতাংশ জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যু মশক আলী।

ওমেদ আলী জানান, আজমিরিগঞ্জের ফতেপুর মৌজাস্থ জেল নং-আর এস ২২ খতিয়ান নং-আরএস ১১৮, দাগ নং-আরএস ৩৩, মোয়াজি ১ একর ১২ শতাংশ, দাগ নং-আরএস ৪৪, মোয়াজি ১ একর ১০ শতাংশ, দাগ নং-আরএস ৪৫, মোয়াজি ১ একর ১৬ শতাংশ, খতিয়ান নং-আরএস ১, দাগ নং-আরএস ৪৯,৫০,৫১,৫২,৫৩, মোয়াজি ১ একর ৪৯ শতাংশ, খতিয়ান নং-আরএস ২৬, দাগ নং-আরএস ৫৪, মোয়াজি ১ একর ২০ শতাংশ, সর্ব মোট মোয়াজি ৬ একর ৫৭ শতাংশ জমির ফাইনাল পর্চা প্রিন্টের সময় ভুলবত কিছু অংশ রেকর্ড প্রিন্ট হয় নাই। কিন্তু ওমেদ আলীর আবেদনে জেলা জজ আদালতে এই বিষয়টি মিস কেইস নং-১৮৫/১৯ এর মাধ্যমে সংশোধনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই সুযোগে ভূমিদস্যু মশক আলী জোড়পূর্বক ভাবে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

এদিকে মশক আলী সিন্ডিকেট আদালত কর্তৃক জারিকৃত ১৪৪ ধারা অমান্য করে উক্ত জমি থেকে জোড়পূর্বকভাবে লাখ লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। ওমেদ আলী সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি সাথে সাথে অবগত করলেও পুলিশ তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। কিন্তু মশক আলী ঘটনাস্থ থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ার দুইদিন পরে পুলিশ পৌছালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

ওমেদ আলী বিগত ২নভেম্বর-২০১৯ তারিখে মশক আলীর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু থানার ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে থানা ভেতরই এবিষয়ে একটি শালিস মিমাংসায় বসে মশক আলীর পক্ষ নিয়ে কথা বলিলে উক্ত শালিস ভেস্তে যায়। তবে ওমেদ আলী আদালতের দ্বারস্থ হয়েও মশক আলীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়…..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × three =