সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিদিন : সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড হাউজিংয়ে নির্মাণধীন ভবনে রহস্যজনক ভাবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম আলাউদ্দিন (৪০)। গত সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা কন্ট্রক্টার অধীনে কাজ করত। শ্রমিক আলা উদ্দিনের মৃত্যু খবর ধামাচাপা দিতে উক্ত বাড়ীর মালিক জহিরুল ইসলাম এবং মোস্তফা দৌড়ঝাপ শুরু করে। আহত অবস্থায় আলাউদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিন মৃত্যু বরন করেন। ঢাকা মেডিকেলের দায়িত্বরত ডাক্তার এবং পুলিশদের ম্যানেজ করে লাশ নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানায়, শ্রমিক আলাউদ্দিনের মৃত্যু পরিকল্পিত হতে পারে। আলাউদ্দিন ৬ তলার নিচে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ একটি ইট উপর থেকে তার মাথায় পড়ে।
সাথে সাথে আলাউদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। উক্ত ৬ তলা ভবন নির্মাণের সময় কোন ধরনের সেফটির ব্যবস্থা করা হয়নি। আলাউদ্দিনের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে লাশ গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা তিতাসে গভীর রাতে পাঠিয়ে দেয়। এটা কোন পরিকল্পিত হত্যা কিনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে বাড়ীর মালিক জহিরুল এবং কন্ট্রক্টার মোস্তফাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই। গতকাল রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ফয়সাল।
এসআই ফয়সাল বলেন, নিহত আলাউদ্দিন মোস্তফা কন্ট্রক্টারের অধীনে কাজ করত। হাউজিং এলাকাল জহিরুল ইসলামের ৬ তলা নিমার্ণধীনের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বাড়ীর মালিক এবং কন্ট্রক্টারের কথাবার্তা রহস্যজনক। উক্ত ঘটনার বিষয়ে থানাকে অবগতি করে নাই। নিহতের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মোস্তফা দীর্ঘদিন যাবৎ হাউজিং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বাড়ীর মালিকদের জিম্মি করে বাড়ীর কাজ করে যাচ্ছে। হাউজিং এলাকায় অন্য কোনো কন্ট্রক্টার কাজ করতে পারে না।
কন্ট্রক্টার মোস্তফার নেতৃত্বে হাউজিং এলাকায় কোটি টাকার বিনিময়ে শতাধিন বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাউজিং এলাকার বাসিন্দারা বলেন।