উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে অসহায় পরিবারের শত বছরের ভোগ দখলীয় ঘেরের মাছ লুট করতে গিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে অবশেষে পালিয়ে যায় প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা, সেচপাম্প জব্দ করে থানা পুলিশ। জানা যায়, শোলক ইউনিয়নের রামেরকাঠী গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে মিন্টুলাল মন্ডল গংদের সাথে একই গ্রামের শিশির কুমার সিকদার গংদের ঘেরের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ ও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় মিন্টুলাল গংদের ১ একর ১২ শতাংশ জমির উপরে বিদ্যমান ঘেরের মাছ লুট করার জন্য প্রভাবশালী ভূমিদস্যু শিশির কুমার সিকদার, প্রকাশ বাড়ৈ, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ, নিহার বেপারী, গীতা শিকদার, ইলিয়াছ শিকদার, হরিপদ বাড়ৈসহ এক দল ভারাটিয়া সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, রামদা ও চাপাতি নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ক্ষমতার দাপটে প্রকাশ্যে ২টি সেচপাম্প বসায়।
এরপর ভুক্তভোগী মিন্টুলাল গংরা টের পেয়ে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের বিষয়টি অবহিত করে। তাৎক্ষণিক ভাবে উজিরপুর মডেল থানার এ.এস.আই শাহ আলম ও উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপস্থিতি টের পেয়ে একটি সেচপাম্প নিয়ে ভূমিদস্যুরা পালিযে যেতে সক্ষম হয়। এরপর এ.এস.আই শাহ আলম ফেলে যাওয়া সেচপাম্পটি জব্দ করে ওই এলাকার কানাইলাল মাষ্টারের জিম্মায় রাখে।
উল্লেখ্য শিশির কুমার শিকদার গংরা ২২ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় মিন্টুলাল গংদের বসতবাড়ীতে ঢুকে প্রকাশ্যে খুন জখমসহ জমি থেকে উৎখাত করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার দিন উজিরপুর মডেল থানায় মিন্টু লাল মন্ডল একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। একারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর বুধবার সকালে পুনরায় ঘেরের মাছ লুট করে এবং সবজি বাগানসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ কেটে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে শিশির কুমার শিকদার গংরা।
এর পরও ক্ষান্ত হয়নি ওই প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় অভিযুক্তরা একের পর এক তান্ডব চারিয়ে অসহায় পরিবারের শেষ সম্বল মাছের ঘের দখলের পায়তারা চালায়। একের পর এক চালাচ্ছে তান্ডব। এরমধ্যে ২৪ ডিসেম্বর পুনরায় ওই প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা ঘেরে পাম্প বসিয়ে মাছ লুট করার পায়তারা চালায়। অভিযুক্ত শিশির কুমার শিকদার বিষয়টি এড়িয়ে যায়। অসহায় পরিবার ওই মামলাবাজ প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্ত্রির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।