মাদারীপুরের নিখোঁজের ১১ মাস পর কথিত প্রেমিকের বাথরুমের ট্যাংকির নিচ থেকে সেমুর্শিদা-(১৭) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৮ টারদিকে
কালকিনি উপজেলার ডাসারে বালিগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বোতলা গ্রাম থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করাহয়। মামলা, ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশমশ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনেরপ্রেমের সম্পর্ক হয়।
এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসাকরানোর কথা বলে নিয়ে যায় সাহাবুদ্দিন আকন। এরপর থেকে ওই স্কুলছাত্রী নিখোঁজ থাকায় গতবছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। এতে কোনোপ্রতিকার না হওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটিমামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম। পরে দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় মামলাটিপিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদী পক্ষ। পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতেআত্মসমর্পণ করে।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকেজিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরকরে। শনিবার বিকালে সাহাবুদ্দিন হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকারকরে এবং লাশ গুম করার কথাও স্বীকার করে। সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক রাত ৮টার দিকেসাহাবুদ্দিনের বাড়ির বাথরুমের সেফটিক ট্যাংকির নিচ থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
নিহতের মামা টিপু সুলতান বলেন, আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফ্রেবুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর আমরা থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশঅসহযোগিতা করে। পরে এক পর্যায়ে মামলা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করেনি। আসামি আদালতেআত্মসমর্পণ করেন। এরপর আসামির দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামির বাড়ির সেফটিক ট্যাংকিথেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া বলেন, সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেকআসামির বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।