ফাইভ স্টার এটারপ্রাইজের বিরুদ্ধে পরিবেশ দুষনের অভিযোগ

0
630

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারে একটি অবৈধ পাথর রিসাইকেল তৈরি কারখানার কারণে এলাকার ফসলি জমি বাড়ি ঘর নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এলাকার শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে এলাকার মানুষজনকে বাড়ি ঘর ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রায় এক বছর ধরে।এলাকাবাসী জানায়,সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খেয়াঘাট এলাকায় স্থানীয় টিপু হাজী ও বাবুল হোসেনের কাছ থেকে ১২০ একর জমি ভাড়া নিয়ে ফাইভষ্টার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি পাথর ভাঙ্গার রিসাইকেল তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন ইসলাম হোসেন,রানা,রাজু,মামুন,ও জুয়েল নামের পাঁচ ব্যক্তি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে চলছে কারখানাটি। দিনে ও রাতে কারখানাটিতে বিভিন্ন মেশিনে পাথর ভাঙ্গার কারণে পাথরের পানি গিয়ে ধান ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি ও গাছ পালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেই সাথে পাথরের ধুলো বালি বিভিন্ন বাড়ির টিনের ছাউনি গিয়ে মরিচা ধরে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেশিন গুলোর বিকট শব্দে এলাকাবাসী রাতে ঘুমাতে পারছে না সেই সাথে ধুলো বালির কারণে এলাকার শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ঠান্ডা জনিত ও শ^াসকষ্ট সহ নানা রোগে ভুগছেন।

এমন অবস্থায় এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া পাথরের ধুলো গিয়ে মিরপুর বিরুলিয়া আঞ্চলিক সড়কটিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিবেশ যেমন দুষিত হয়ে নষ্ট হচ্ছে সেই সাথে হাড়াতে বসেছে এলাকার জীব বৈচিত্র্য।

এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে জমির মালিক টিপু হাজী ও বাবুল হোসেন তাদেরকে বাড়ি ঘর অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এমন অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত এই অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর কিনে এনে এখানে রিসাইকেল করা হয়। এলাকাবাসী ইতিমধ্যে অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।এদিকে প্রতিদিন বিষাক্ত পাথরের গুঁড়া শ্রমিকদের শরীরে ঢুকে ফুসফুস দুটো ক্রমশ ঝাঁজরা করে ফেলছে।

দেখা দিচ্ছে মরণ রোগ ‘সিলিকোসিস। শ্রমিকরা ঠিক মত প্রাপ্য মজুরীও পাচ্ছে না। এবিষয়ে পাথর ভাঙ্গা রিসাইকেল তৈরির কারখানার জুয়েল নামের এক মালিক ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মুঠোফোনে বলেন,অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করে কারখানাটি তৈরি করা হয়েছে মানুষের কষ্ট হলে তাদের কিছু করার নেই।

এদিকে স্থানীয় বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন বলেন,অবৈধ কারখানাটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শামীম আরা নীপা বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে ওই কারখানাটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × five =