স্টাফ রিপোর্টার: খিলক্ষেতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্পত্তি দখল জাল-জালিয়াতি, চাঁদাবাজি মামলায় যুগ্ম কর কমিশনার নজরুল ইসলামের ড্রাইভার পরিচয়ে সন্ত্রাসী গাজী বাহিনী ।বঙ্গবন্ধুর গার্ড অব অনার দেওয়া সুভাগ্যবান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস .এম.আব্দুল লতিফ ডিপুটি কমান্ডার -১১ নং সেক্টরের জমি এখন দখল বাজদের কবলে। হ্যাবাকৃত দলিল উল্লেখ করে ২৯৬৮ নং দাগে নেয়া ৪.১২ শতাংশের স্থলে ২৯৬৮ নং দাগ হতে উদ্ভুত সিটি দাগ ১৬৭৬ তে থাকা ৯.৯০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ দাবি করে ২য় ক্রেতা উম্মে হাবিবা ও ছালেহার বিরুদ্ধে ২৯১৬/০৯নং রেকর্ড সংশোধনের মামলা করে। এই দাগ থেকে এল এ কেছ ২০/১৫-১৬ এর মাধ্যমে ৬.৯১ শতাংশ সম্পত্তি সরকার তিনশ ফিট রোডের পাশে কুড়িল থেকে বালি নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করলে প্রতারক সুফিয়া এবং তার সৎ ভাইয়েরা মিলে দখল সত্ব দেখিয়ে ডিসি অফিস থেকে ঘরের বিল বাবদ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ১ম এবং ২য় ক্রেতাদের ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিয়ে এই দাগে থাকা সোনা বানুর কাছ থেকে ১ম ক্রেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আ: লতিফের নামে ক্রয়কৃত যা পরবর্তীতে ২য় ক্রেতার নামে রেকর্ড হওয়া মামলা চলাকৃত ৪ শতাংশ সম্পত্তি সন্ত্রাসী সাব্বির হোসেন গাজী রাতরাতি ঘর উঠিয়ে জবর দখল করে নেয়, ফলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে দুই দলিলে ক্রয়কৃত ১১ শতাংশ সম্পত্তি জবর দখল হয়ে যায়।
এছাড়া ২৯৬৮নং দাগ হতে উদ্ভুত অন্য সিটি দাগ ১৬৭৬৫, ১৬৭৭৩ থেকে ১৫.৫০ শতাংশ দাবি করে ১। হোছেন, ২। ইমান, ৩। ইদ্রিছ, ৪। ইউনুছ, ৫। হাজেরা, ৬। আনোয়ারা, ৭। মোতাহার এর নামে ২৯১৫/০৯ নং এবং সিটি দাগ ১৬৭৬৮, ১৬৭৬৯, ১৬৭৭০, ১৬৭৭২ থেকে হিস্যা অনুযায়ী দাবী করে ১) তালেব আলী, ২) ফিরোজ, ৩) মল্লিকা ৪) ফরিদুল ৫) মমতাজ ৬) ডাঃ আলিম এর বিরুদ্ধে ৩৪৮২/০৯ নং মিথ্যা রেকর্ড সংশোধনের মামলা সহ সিটি দাগ ১৬৭৬৪ থেকে ৯.৬৮ শতাংশ দাবি করে ১)
এস এম আ: লতিফ, ২) মো: মোস্তফা, ৩) মো: লতিফ, ৪) বাবুল, ৫) দুলাল ৬) আ: হালিম ৭) রুপ বানু ৮) আ: রহমানদের বিরুদ্ধে নতুন করে ৩টি হয়রানি মূলক দলিল বাতিলের জন্য ১৭৪/২০ নং মামলা করে এতে করে। এতে করে ৪ মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে ২৯৬৮ দাগে ৪.১২ শতাংশে স্থলে দাবিকৃত সম্পত্তি দারায় (৫+১৫.৫০+৫+৯.৮৬)=৩৫.৩৬ শতাংশ, ফলে এই দাগে বিক্রিত এবং দাবিকৃত সম্পত্তি দারায় ১৭.৫০ শতাংশের স্থলে (৪০.৩০+৩৫.৩৬)= ৭৫.৬৬ শতাংশ।
উল্লেখ্য এই দাগে সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭ শতাংশ। এতে করে ৫ দলিলে ৩ দাগে বিক্রিত এবং মামলায় দাবিকৃত সম্পত্তি দারায় ৫২.৫০ শতাংশর স্থল (৭১.৭৫+৭৫.৬৬) =১৪৭.৪১শতাংশ। এছাড়াও প্রতারক সুফিয়া সি, এস/এস, এ ২৯৬৯ অপর দাগে তার মায়ের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ১৬৫ শতাংশ সম্পত্তি তার মামাতো বোন পারভিনের কাছে ১৭১১নং দলিলে ০৩/০২/০২ তারিখে বিক্রি করে নিশ^ত্ববান হয়।
পরবর্তীতে এই সম্পত্তি এবং ২৯৬৮ দাগের ১.১০ শতাংশ পুনরায় আব্দুল মালেকের কাছে ৯৬৩নং দলিলে ৩১/০১/২০১০ তারিখে পাওয়ার দিয়ে হাতিয়ে নেয় ১২ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তীতে একাধিকবার বিক্রিত এই সম্পত্তি পুনরায় ৬১৯+৮ নং দলিলে ০৪/০৮/২০১৪ তারিখে সাব্বির হোসেন গাজীকে অবৈধভাব ৩বৎসর মেয়াদী রেজিষ্ট্রি বায়না দলিল করে দেয় এবং একই জমি একাধিকবার বিক্রি ভ‚য়া কাগজ তৈরী ক্রেতাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে বিক্রিতসহ আসে পাশের সম্পত্তি অবৈধ দখল মারামারি,
চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে ক্রেতা এবং এলাকার নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যুগ্ম কমিশনার এর ড্রাইবার পরিচয়ে সন্ত্রী গাজী বাহিনী এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্কের নামে পরিনত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের সম্পত্তি উদ্ধারে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। সংক্ষেপে অপরাধের ধরন:
১। মৃত পিতার কাছ থেকে জাল দলিল তৈরী।
২। বিক্রিত সম্পত্তি সহ আশে পাশের সম্পত্তি দখল।
৩। একই জমি একাধিকবার বিক্রি। বিক্রিত সম্পত্তি বুজিয়ে না দিয়ে জবর দখল করে রাখা।
৪। ক্রেতাসহ আশে-পাশের ভ‚মি মালিকদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক সম্পত্তি দাবি করে মিথ্যা মামলা।
৫। মামলা প্রত্যাহারের কথা বলে মোটা অংকের লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি।
৬। একই মামলায় সম্পত্তি দাবি না করে প্রতারণামূলক কাল্পনিক সম্পত্তি দাবি করে ২৩জনেরে বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের।