উজিরপুরের কালিহাতায় ইরি ধানের বাম্পার ফলন

0
428

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরের কালিহাতায় এ বছর ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চোখ জুরানো মনের মত আশানুরুপ ফসল ফলাতে পেরে উৎফুল্লতায় ভাসছে কৃষকরা। যেন ধানের দোলার পাশাপাশি দুলছে কৃষকরা। উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের উঃকালিহাতা শরীফ-রাড়ী বাড়ীর সম্মুখে প্রায় ১০ একর জমি প্রায় ৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। তবে এ বছর স্থানীয় হাফিজুল রাড়ী, সাংবাদিক নাসির শরীফ,পিন্টু রাড়ী,মিরাজ শরীফ মিলে ওই জমিতে ইরি ব্লক শুরু করে। পর্যাপ্ত পরিমান পানি জমিতে জমানো ছিল। এমনকী পরিচর্যায় কোন ঘাটতি ছিলনা। একারনে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ইরি ব্লকের চেয়ে এই ব্লকটিতে ধানের ফলন শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে। তাই চাষীরা আনন্দে ভাসছে। হাটবাজার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন স্থানে শুধু ধান নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। কখন ধান ঘরে আসবে এই আশায় ব্যকুল চাষীরা। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় যেমন খুশি হয়েছে চাষীরা তেমনি ব্লক ম্যানেজারদের মধ্যেও আনন্দের কমতি নেই। চাষীরা পাচ্ছে উৎসাহ আর ব্লক ম্যানেজাররাও ঠিক তাই। আগামীতেও ইরি ব্লক হবে বলে জানান ব্লক ম্যানেজাররা। চাষীদেরও দাবী প্রতিবছর ব্লক হলে তারা ফসল ফলিয়ে দুমুঠো আহার যোগাতে পারবে এবং এবারের মত ধানের বাম্পার ফলন হলে তারা ইরি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে। এ বছর ধানের দামেরও কমতি নেই। তাই চাষীদের লোকসান পোহানোর কোন চিন্তা নেই। ইরিধানের মৌ মৌ গন্ধে সকল কৃষক পরিবার আনন্দের জোয়ারে ভাসছে।  এদিকে দেশে মহামারী করোনায় অভাব অনটন দেখা দিলেও এই এলাকায় ইরি ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কিছুটা হলেও আহারের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়েছে মানুষ। কৃষক ও ব্লক ম্যানেজাররা জানান আশেপাশের ইরি ব্লকগুলোতে পাকা ড্রেন থাকায় চাষীরা সুবিধামত ক্ষেতে পানি জমানো ও সরোনোর সব রকম সুবিধা ভোগ করতে পারছে। কিন্তু আমাদের এই ব্লকটিতে হাতে নির্মিত কাঁচা ড্রেন থাকায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই আমাদের এই ব্লকটিতে পাকা ড্রেন নির্মাণ করার দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদ হোসেনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 3 =