করোনা ঝুকির সম্ভাবনা কুয়াকাটায় সৈকতে দর্শনার্থীদের ভীড়

0
430

আনোয়ার হোসেন আনু: করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু নড়ীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো ঈদের প্রথম দিন থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিচ্ছিন্নভাবে জড়ো হয়েছে। সৈকতের জিরো পয়েন্টে পুলিশি টহল থাকায় বিভিন্ন স্পট থেকে সৈকতে নেমে পরে সমুদ্র গোসল,হৈ-হুল্লোলে মেতে ওঠেন আগত দর্শনার্থীরা। শুক্রবার দুপুরের পর হঠাৎ করে সৈকতে ওইসব মানুষ জড়ো হওয়ার পর পরই মাইকিং করে অনেককেই বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন ট্যুরিষ্ট্য পুলিশের সদস্যরা। শনিবার দিনভর একই চিত্র দেখা গেছে। আগতরা বেশির ভাগই পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয় বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে অভিযোগ রয়েছে পটুয়াখালী জেলা শহরের বাহির থেকে সরকারী বে-সরকারী বিভিন্ন সংস্থার স্টিকার বাস. মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেল নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসে অনেকেই। স্টিকারধারী এসব লোক আত্মীয় পরিচয়ে কিছু কিছু আবাসিক হোটেল হোটেলে এসে উঠেছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। বহিরাগত এসব দর্শনার্থীদের আগমনে করোনা ঝুকিতে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী। সৈকতে দর্শনার্থীদের বাড়ি ফেরাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশও চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারপরও ফেরাতে পারছেন না। 

স্থানীয় সূত্রে গেছে, কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এসব দর্শনার্থীরা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে ভীড় করতে থাকেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ মাইকিং করে আগত দর্শনার্থীদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরৎ পাঠানোর চেষ্টা করছেন।

শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে বেশিরভাগ দর্শনার্থীরা সৈকত থেকে নিজ গন্তেব্যে ফেরত গেলেও অনেকেই আত্মীয় পরিচয়ে বাসাবাড়িসহ কিছু কিছু আবাসিক হোটেলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও থানা পুলিশের  পক্ষ থেকে বসানো হয় কড়া পাহারা। এরপরও ফেরানো যাচ্ছেনা দর্শনার্থীদের ভীড়।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা মো. হাসান বলেন, সে ঢাকায় চাকরী করেন। ঈদের ছুটিতে বড়িতে আসেন। সকালের নামাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে কুয়াকাটা আসেন। সৈকতে কিছুক্ষণ থাকার পর ট্যুরিস্ট পুলিশের মাইকিং শুনে উঠে এসেছি।

অপর এক যুবক মেহেদীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছুটিতে বাড়ি আসার পর তিন বন্ধু কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে নেমে সমুদ্র গোসলের মুহুর্তেই ট্যুরিস্ট পুলিশ আমাদের উঠে যেতে বলেন। তবে দু:খ করে বলেন দীর্ঘ দিন পর বাড়িতে আসে শুধু মাত্র সমুদ্রের পানিতে পা ভিজিয়েই যেতে হবে। আমরা বুঝতে পারি নাই কুয়াকাটায় লকডাউন।  

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ঈদের প্রথম দিন নড়ীর টানে বাড়ি ফেরা দর্শনার্থীরা কুয়াকাটা সৈকতে এসে ভীড় জমায়। আগত দর্শনার্থীরা মোটরসাইকলসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে এসেছে।

এদের অনেককেই দেখাগেছে সরকারী বে-সরকারী বিভিন্ন সংস্থার স্টিকার লাগিয়ে জেলার বাহির থেকেও ভ্রমনে এসেছেন। এতে করোনা ঝুকিতে পরতে পারে কুয়াকাটাবাসী

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ বদরুল কবির বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুক্রবার ও অনেক দর্শনার্থীরা সৈকতে নেমেছিলো। আমরা মাইকিং করে ফেরত পাঠাতে চেষ্টা করি। তবে যারা এসেছিল তারা পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও স্থানীয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen − 1 =