নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন নিঝুমদ্বীপে হানা দিয়েছে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। । রোববার রাতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ইউপি চেয়ারম্যঅন মেহেরাজ উদ্দিনের বাড়ি, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বাজার থেকে নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, রোববার রাতে দুর্ধর্ষ জল ও বনদস্যু সোহেল ডাকাতের নেতৃত্বে একদল ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্রে সর্জিত হয়ে প্রথম নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। তারা গুলিছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘরে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালা। এ সময় ডাকাতরা ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, দলিলপত্র সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের অস্ত্রের মুখে চেয়ারম্যান মেহেরাজসহ তার স্বজনরা পাশ্ববর্তি রান্না ঘরে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
একই সময় ডাকাতরা পাশ্ববর্তি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে হানা দিয়েও ব্যাপক ভাংচুর করে। ডাকাতরা গুলি করতে করতে যাওয়ার সময় বাজারের একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালায়।
এ সময় আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলেও ডাকাতদের অস্ত্রের কাথে তারা অসহায় হয়ে পড়ে।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন জানান, এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা। আমাকে ঘায়েল ও শান্তির নিঝুমদ্বীপে অশান্তি সৃষ্টি করতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে রাতেই হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল খায়েরসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।