মো: আবদুল আলীম: বেসিক ব্যাংক লি: এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করলেন আনিসুর রহমান। ব্যাংকটিতে যোগদান করার আগে তিনি রাষ্ট্রায়াত্ব অগ্রণী ব্যাংকে ডিএমডি পদে ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন যাচাই বাছাই করে এতদিনে একজন যোগ্য, সৎ ও নিষ্ঠাবান ও অভিজ্ঞ ব্যাংকারকে খুঁজে পেয়েছে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক লি: এ কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে উন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন বলে অগ্রণী ব্যাংকের অনেক ডিএমডি ও জিএম পদের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা যায়। ব্যাংকটির অনেক নিয়মিত গ্রাহক ও সেবাগ্রহিতার কাছে থেকে জানা যায় যেদিন তিনি অগ্রণী ব্যাংক লি: থেকে বিদায় নেন সেদিন অগ্রণীর প্রতিটি ফ্লোরে শোকের ছায়া নেমে আসে। অর্থাৎ যেতে দিতে ইচ্ছা হয় না তবু যেতে দিতে হয়। অগ্রণীর অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ডিএমডি থাকা অবস্থায় আনিসুর রহমান সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে যে অমায়িক আচরন করেন তা বিরল। তাদের বক্তব্য মতে বেসিক ব্যাংক একজন রতœ পেয়েছে। বেসিক ব্যাংক এক সময় লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর কারণে ব্যাংকটি আজও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। কিছু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের কারণে ব্যাংকটির আজ এত দুর্দশা।
অনিয়মের মাধ্যমে যারা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা বের করে নিয়েছে তারা অনেকেই বহাল তবিয়তে ও ভাল অবস্থানে। অপদিকে অপরাধ না করেও অনেকে কারাগারে। বেসিকের এমন ক্রান্তিলগ্নে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন আনিসুর রহমান।
তবে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা, দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা বলে তিনি অবশ্যই বেসিক ব্যাংকটিকে খাদ থেকে তুলে অতিতের গৌরবময় অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন। বেসিকের এমন দুর্দিনে তাকে ব্যাংকটির গুরু দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ ব্যাংকারগণ বলছেন তাকে রাষ্টায়াত্ব আরও বড় কোন ব্যাংকে এমডি পদে দেওয়া উচিৎ ছিল।
সোনালী, জনতা বা রুপালীর মত ব্যাংকে এমডির দায়িত্ব দিলে তার যোগ্য পরিচালনায় একদিকে যেমন খেলাপি ঋন কমে আসত তেমনই ব্যাংকিং সেক্টরে উন্নয়নের ছোয়া লাগত। গতি পেত দেশের অর্থনীতির চাকা।