মেসার্স সোর্সটে্ক এর কর্মচারী মোবারক হোসেন এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা গেছে, সোর্সট্রেক এর কর্মচারী থাকা কালীন সময়ে দুর্নীতি করে নিজের নামে আরেকটি গার্মেন্টস করে এই জালিয়াতি করেছে বলে জানা গেছে। শাওন গার্মেন্টস এর অনেক সৎ ও নীতিবান কর্মচারীরা জানিয়েছে যে, মোবারক তাদেরই সহদর কর্মচারী শাওন গার্মেন্টস এর মালিক হয়েছে এবং মোবারক বিভিন্ন সময়ে ভাব সাবে আচার আচরনে অহমিকা করে দম্ভোক্তি করে থাকে, এবং অনেককেই চাকুরির প্রলোভন দেখায় তখন অনেকেই এটি বিশ্বাস করতে না পারলেও এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, মোবারক ২০১৮ ইং জানুয়ারি হতে শাওন গার্মেন্টস এর মালিক এবং শাওন গার্মেন্টস এর অস্তিত্ব তার বায়ার মেসার্স সোর্সট্রেক বিডি অর্ডারের উপর নির্ভরশীল। একপর্যায়ে সোর্সট্রেকের মালিকগণ যখন শাওন গার্মেন্টস পরিদর্শনে যেত তখন মোবারকের আচরণ সন্দেহজনক হয়ে পড়ত। পরে সোর্সট্রেক এর মালিক পক্ষের কর্মকর্তারা জানতে পারে যে মোবারক এর আসল পরিচয় হল সোর্সট্রেকের একজন বেতন ভুক্ত কর্মচারী হলেও মুলত সে শাওন গার্মেন্টস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। যা রিতিমত এক অবিশ্বাস্য ব্যপার অথচ প্রতারক মোবারক হোসেন এর দায়িত্বেই রয়েছে সোর্সট্রেকের অর্ডার এর মান বজায় রেখে যথা সম্ভব সাশ্রয়ী মূল্যে তৈরি পোশাক ক্রয় করা। যা শৃগালের কাছে মুরগি পাহারা দেয়ার মতই এক ব্যাপার হয়ে পড়েছে।
একদিকে সে মালিক অন্যদিকে কর্মচারী। এবং সে নিরবে ও সুকৌশলে সোর্সট্রেক কে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে অতি উচ্চদরে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দূর্নীতির মাধ্যমে বিত্ত-বৈভব এর মালিক হতে থাকে। হঠাৎ করে কিভাবে মোবারক এত বিত্তভৈববের মালিক হতে পারে এমন প্রশ্ন সকলের মনেই যেমন উঠতে পারে একদিকে যেমন অবিশ্বস্য অন্যদিকে এর উত্তরও সহযেই মিলে যেতে পারে। এ যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার কাহিনীকেই স্মরন করিয়ে দেয় সবাইকে।
শুধু তা ই নয়, সে সুকৌশলে তার এক আপন ভাই-ভাইগ্না সহ বেশ কয়েকজন নিকটাত্মীয় কে অনেক পুর্বেই তার মিশন বাস্তবায়নের জন্য তার গোপন এজেন্ট হিসাবে কাজ করার জন্য সোর্সট্রেকে চাকুরী দেয় অর্থাৎ সোর্সট্রেকের বেতন ভুক্ত কর্মচারীকে দিয়েই তাহার শাওন গার্মেন্টস পরিচালিত করে। কিন্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা ন্যায় পরায়ন সোর্সটেক এর কর্নদার আইনুল আজিম এর সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে ধুরন্ধর মোবারক এমন জগন্য কাজ করতে পারে তা কোনদিন ঘুনাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেননি।
ফলে যা করার মোবারক এতদিনে তা করেই ফেলেছে। গার্মেন্টস এ তথা বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি হয়। কিন্তু মোবারকের দুর্নীতি সকল রেকর্ড কে ছাড়িয়ে যায়। সোর্সট্রেকের হিসেব অনুযায়ী এ পাঁচ বছরে মোবারক কমপক্ষে ৭/৮ কোটি টাকা সোর্সট্রেক থেকেই অবৈধভাবে উপার্জন করে। এতে করে মোবারক এর অর্থ লোভ সকল সীমা ছাড়িয়ে যায়।
তাহার অনেক প্রাক্তন কর্মচারীর ধারণা মোবারক তাহার স্ত্রী এবং তাদের একজন মিশন বাস্তবায়েনের সহযোগী খালেদ মিলে মাদকের ব্যবসায় লিপ্ত হয়। যখন মোবারক, তার স্ত্রী ও খালেদ তার অফিসে বসত তখন অন্য কর্মচারীদের তাহাদের কক্ষের আশেপাশে প্রবেশ নিষেধ ছিল এবং তারা সন্দেহজনক সাইজের প্যাকেট ও নগদ টাকা ভর্তি ভারী ব্যাগে তাদের হাতে দেখা যেত।
২০১৫ সালে যে ব্যক্তি একজন বায়িং হাউজের কাটিং মাস্টার ছিল, বেতন মাত্র ৩০০০০/= ও তাহার স্ত্রী সিম্পল একজন মেশিন অপারেটর মাসিক বেতন ১২০০০/= (মহিলা শ্রমিক) যে কিনা পাঁচ বছর সোর্সট্রেক এ চাকুরী করে ২০১৮-২০১৯-২০২০ ইং হর হামেশা তাহার সোর্সট্রেক এর প্রকৃত মালিকদের না জানিয়ে বিজনেস ক্লাস এ দুবাই সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করত।
এক পর্যায়ে সে দুবাইতে বিনিয়োগকারী হিসেবে রেসিডেন্সি নিয়েছে। নির্ভরযোগ্য সুত্রে এমনও শোনা গেছে বাংলাদেশে একাধিক বাড়ী-গাড়ী ছাড়াও দুবাইতে তাহার অট্টালিকা এবং ড্রাইভার পরিচালিত দামী গাড়ী আছে।
মোবারকের এ ধরনের নিয়মিত অনৈতিক, দুর্নীতিমূলক কাজে লিপ্ত থাকার কারনে ভয়ে অনেক শ্রমিক-কর্মচারী ভবিষ্যতে কোন ধরনের আইনী ঝামেলায় না পড়ার জন্য শাওন গার্মেন্টস ত্যাগ করে, এই প্রকার বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানী করাচ্ছে বলে মোবারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওযা গেছে।
আরও জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার বেশ কিছু লোকের নিকট থেকে বিজিবি, বাংলাদেশ আর্মি তে চাকুরী দেবার কথা বলে পাঁচ/সাত লাখ টাকা করে গ্রহণ করে এই মর্মে সে তাহার সোর্সট্রেক এর মালিকের নাম ভাঙ্গায়। বিশেষ ভাবে জানা গেছে – ভয়ভীতি, মিথ্যা মামলা ও গ্রামে তার ভাই, ভাতিজা ও পারিবারিক গুন্ডা বাহিনীদের দিয়ে পাওনাদারদের ভয় দেখায় ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করে।
এমন ও শোনা গেছে ঢাকা থেকে একজন আর্কিটেক্ট কে নিয়ে তাহার গ্রামের বাড়ীতে একটি প্রাসাদসম ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈয়ারির কাজে হাত দিয়েছে।
সোর্সট্রেক এর কর্মচারী হিসেবে কর্নেল আজিম কে নিয়ে শাওন গার্মেন্টস এ ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার সময় জনৈক নাসিম আহমেদ কে শাওন গার্মেন্টস এর মালিক সাজিয়ে মিটিং করতে ছবিতে দেখা যায়। (মোবারক ও কর্নেল আজিম পাশাপাশি বসা ও শাওন গার্মেন্টস এর মোবারক কর্তৃক কথিত মালিক নাসিম আহমেদ সভাপতিত্ব করছে।)
মোবারক এর সঙ্গী এবং সন্দেহজনক অবৈধ ব্যবসায়ী খালেদের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় তার নিকট আত্মীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করত এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোক বলেও সে বিভিন্ন মহলে বলে বেড়াত ও সুবিধা নিত। এই খালেদ সবসময় মোবারকের দুর্নীতি ও সকল অনৈতিক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে।