মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ সীমান্তে এক আদিবাসী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ধর্ষকের নাম- রাশিদ মিয়া (৪০)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। এঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে। এলাকাবাসী ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের ভারত সংলগ্ন রাজাই গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের এক আদিবাসী নারী প্রতিদিনের মতো শনিবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে গ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ী চড়া দিয়ে বয়ে আসা পানিতে গোসল করতে যায়। ওই সময় একই গ্রামের লম্পট রাশিদ মিয়াও সেখানে গোসল করতে যায়।
তখন ওই আদিবাসী নারীকে একা পেয়ে লম্পট রাশিদ মিয়া কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে ওই নারী উত্তেজিত হয়ে লম্পট রাশিদকে চর থাপ্পর মারে। পরে লম্পট রাশিদ চড়া থেকে ওই নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশের জঙ্গলেন মাঝে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এঘটনার পরপর ধর্ষিতা নারী তার পরিবারকে জানালে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ থানায় জানায়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন- আদিবাসী নারীকে ধর্ষন করার ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর ওদেরকে আমি আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি। থানাকেও অবগত করেছি।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার সাংবাদিকদের বলেন- পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত পূর্বক এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।