অপরাধ বিচিত্রা: রাজধানীর বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির প্লট কিনে হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। জীবনের শেষ সম্বল বিক্রি করে, সঞ্চিত টাকা দিয়ে কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্লটের জন্য নির্ধারিত টাকা দিলেও বিভিন্ন কোম্পানি অনেক গ্রহীতাকে প্লট বুঝিয়ে দেয়নি। প্লট বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলা হলে কোম্পানি বেষ্টওয়ে লেন্ড প্রোপার্টিজ থেকে তাদের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। এ ধারনের হাউজিং কোম্পানি কয়েক মাস এ সকল হাউজিং কোম্পানির অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিবেশ নেই। মালিকরা নিজেরাই এখন কার্যক্রম সরাসরি পরিচালনা করছেন। অথচ অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন নানা পেশার লোকজন। এমনকি প্রবাসীরাও প্রতারণার শিকার। এছাড়া জায়গাজমি জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক দফা বিক্রি করে শত শত লোককে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে বেষ্টওয়ে লেন্ড কোম্পানি। এই ধরনের শক্তিশালী চক্রের হাতে বাড্ডা, খিলক্ষেত, উত্তরা, দক্ষিণ খান, উত্তরখান, বিমান বন্দর ও তুরাগ থানাসহ ৭টি থানার কয়েক লাখ বাসিন্দা জিম্মি হয়ে আছে।
অন্যদিকে হাউজিং ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তারা চাচ্ছেন যে, হাউজিং ব্যবসা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য থাকুক এবং কম লাভ করে সুনাম অর্জনে তারা উৎসাহী।
আর এক শ্রেণীর হাউজিং ব্যবসায়ী জালিয়াতি, জবর দখল করেও গ্রহীতাদের নির্ধারিত সময় প্লট না দিয়ে বছরের পর বছর অপেক্ষায় রেখে নানা অজুহাত দেখিয়ে বেশি টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তবে স¤প্রতি এ অবস্থা উত্তরণে প্রস্তাবিত বেসরকারি প্লট ও ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০০৮ বর্তমান সরকার অনুমোদন করেছে।
অভিযোগ রয়েছে বেষ্টওয়ে লেন্ড প্রোপাটিজ নামে একটি হাউজিং কোম্পানির মালিক প্রতারক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জনৈক মনজুরুল নামে একজনের প্লট ক্রয় করে থাকেন। প্লটের সর্ম্পুন টাকা পরিশোধ হলে তা বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টা নানা অজুহাত দিয়ে আরো ৫২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় বেষ্টওয়ে লেন্ড প্রোপাটির প্রতারক সৈয়দ হাসান ও অনুপমের মাধ্যমে ২টি প্লট ক্রয় করেন ২০০৮ সালে মনজুরুল তার মাসিক কিস্তি ২০০১৩ সালে শেষ হলে নানা নাটকীয় শুরু করেন মিজানুর রহমান। রেজিস্ট্রেশন করে দেয় দিচ্ছি বলে নানা রকম তাল বাহানা করেন মিজান। তার আরো গ্যাস, বিদ্যুসহ নানা খরচ ৫২ লক্ষ টাকা দিতে বলেন, তা দিলে তাকে খুঁজে পাচ্ছি না এ বিষয়ে তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি নং-১০৯৭।
এ বিষয়ে তুরাগ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মেহেদী হাসান অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমরা থানায় মিজান সাহেবকে আসতে বলছি তিনি আসেননি।
এ বিষয়ে মনজুরুল অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমাদের সারাজীবনের কষ্টার্জিত সকল উপাজন প্রতারক মিজান হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারকের বিচার চাই।