নিহত শাহাদাত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার

0
569

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার ধামরাইয়ে গত ১১আগষ্ট রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াল্টন ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী শাহাদাত হোসেনের (২৪) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিল পুলিশ। গত বুধবার সেই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহত শাহাদাত হোসেন আত্মহত্যা করেননি, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। রিপোর্টে পাওয়া তথ্যে জানা যায় নিহত শাহাদাৎ হোসেনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও তার চোখ দুটি উঠানো ছিল। নিহত শাহাদাত হোসেন ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের আমরাইল গ্রামের কোহিনুর ইসলামের ছেলে। সে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বারইপাড়া এলাকার একটি ওয়ালটন কারখানার কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহাদাত হোসেনের যেদিন মরদেহ উদ্ধার হয় তার ঠিক দুই দিন পরই শাহাদাতের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের কলমাইত গ্রামের এক মেয়ের সাথে।

এবিষয়ে নিহতের বাবা মোঃ কোহিনূর হোসেন বলেন, ‘গত আগষ্ট মাসের ১ তারিখে আমার পোলা বাড়ি থেইকা তার কর্মস্থল কালিয়াকৈরে যায়। আগষ্টের ৪তারিখ পর্যন্ত আমগো লগে তার নিয়মিত মোবাইলে কথা ওইছে। কিন্তু আগষ্টের ৫তারিখ থেইকা মোবাইলে ফোন দিলে আমার পোলায় আর ফোন ধরে নাই, হের পরের দিনও মোবাইলে কল ঢুকছে। কিন্তু ৭ তারিখ থেইকা মোবাইল বন্ধ কয় কল দিলে।’

‘পরে আমরা অনেক জায়গায় খুইজ্জাও আমার পোলারে না পাইয়া কালিয়াকৈর থানায় একটা জিডি করি। পরে ১১ তারিখ রাইতে ধামরাইতে আমার পোলার লাশ পাওয়া যায়।’

‘লাশ পাওনের পর আমি ধামরাই থানায় মার্ডার মামলা দিতে চাইছিলাম কিন্তু পুলিশে অপমৃত্যুর মামলা নিছে।’

কোহিনূর হোসেন আরোও বলেন স্থানীয় ‘শাজাহানের দুই পোলা জাহিদ আর নাহিদ, নজরুল, আলাউদ্দিন আর স্কুলের দপ্তরী পর্বত আলী এই হত্যাকান্ডের লগে জড়িত আছে। হেগোরে পুলিশে ধরলেই আমার পোলারে কারা কেমনে খুন করছে তা বাইর ওইবো। আমি ওগো নামে মামলা করমু।’

এবিষয়ে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, শাহাদাত হত্যার ঘটনায় আসামী শনাক্ত ও ধরার চেষ্টা চলমান আছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আমরাইল এলাকার একটি নির্জন জায়গা থেকে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শাহাদাতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর প্রায় দেড় মাস পর গত বুধবার শাহাদাতের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পায় ধামরাই থানা পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − fifteen =