নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ স্বাধীন না হলে গণতন্ত্রের সংকট থেকে উত্তোরণ সম্ভব নয় সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি

0
360

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় নগরীর ২২/১, তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনের কনফারেন্স রুমে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা নেতৃবৃন্দ দাবি করেন নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন না হলে দেশের গণতান্ত্রিক সংকট কখনোই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, দুনীর্তি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খান, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান, কৃষক শ্রমিক পার্টির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান (রিজু), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড বদরুল আলম, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, বাম আন্দোলনের প্রবীণ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, সিএলএনবির কো—অর্ডিনেটার হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঘোষণা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার। এই ঘোষণা অনুসারে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে ভারত শাসন আইন অনুসারে পাকিস্তানের সংবিধানের আলোকে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৯০% আইন বলবৎ রেখে আইন প্রণয়ন করা হয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ সদস্যদের দলীয় প্রধানের কাছে জিম্মি করা হয়। এই বাঁধা দূর করে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। দলের প্রধান সরকারের প্রধান হয়ে একক ক্ষমতার অধিকার অর্জন করে স্বৈরাচারী তৈরি হয়ে যান। এই অবস্থায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশে চরম বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখন সংবিধান সংশোধন করার ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচারের আলোকে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধান থেকে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা খর্ব করে রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + 6 =