স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিলের আবেদনে: স্মারকলিপি প্রদান

0
359

গণনেতৃত্ব বিকাশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিল, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১% ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল ও দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন বরাবর হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান আজ ১ মার্চ ২০২২ইং মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ যুব শক্তির উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গণনেতৃত্ব বিকাশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ বাতিল, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১% ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল ও দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যুব শক্তির প্রধান উপদেষ্টা হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জামাল উদ্দিন রাসেল, শিহাব উদ্দিন, মোঃ মতিন, আজিম উদ্দিন, মোঃ সোহাগ প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে যুবশক্তির পক্ষ থেকে বলা হয়, গণনেতৃত্ব বিকাশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল, স্বতন্ত্র প্রাথীর ক্ষেত্রে ১% ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল এবং দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করার দাবিতে বাংলাদেশ যুব শক্তি গত ১৯/০৭/২০২০ সালে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিধায় এখন আবারও দাবি জানাচ্ছি।

স্বাধীনতার পর থেকে ভোটের একটা প্রচলিত নিয়ম ছিলো জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতীকে নির্বাচন হতো কিন্তু ২০১০ এই নিয়ম বাতিল করে স্থানীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকের কারনে সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, মার্কা বানিজ্য হচ্ছে, রক্তপাত হচ্ছে, সমাজের ভালো মানুষ নির্বাচিত হতে পারছে না। এই জন্য দলীয় প্রতীক বাতিল চাই।

জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১% ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়া একটি অগণতান্ত্রিক আচরণ, কারণ ভোট একটি গোপনীয় মতামত, ভোটের আগে প্রকাশ্যে সে মতামত সংগ্রহ করা ভোটারের ব্যক্তিগত মতামতের উপর হস্তক্ষেপ করা। তাই ১% স্বাক্ষর বাতিল করতে হবে। দল নিবন্ধনের কঠিন শর্ত সমূহ শিথিল করতে হবে, ২০০৮ সালের আগে একটি দল নিবন্ধন করতে হলে কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস, গঠনতন্ত্র হলেই দল নিবন্ধন হতে কিন্তু ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার নতুন আইন করলো একটি দলকে নিবন্ধন নিতে হলে ১০০ উপজেলা কমিটি, ২০ টা জেলা কমিটি এবং প্রতি কমিটিতে ২০০ সদস্য, ৩০% নারী কোটা, প্রত্যেক কমিটির জন্য সক্রিয় অফিস থাকতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই শর্ত গুলো পূরন করা অনেক কঠিন।

রাজনৈতিক দলের কথা শুনলে কেউ অফিস ভাড়া দিতে চায় না, আর ১২৩ টা সক্রিয় অফিস পরিচালনা করতে মাসে কয়েক কোটি টাকা প্রয়োজন। যাহা চোরা—কারবারি দুবৃর্ত্তায়ন ছাড়া সম্ভব নয়। সমাজের নিবেদিত ভালো মানুষের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উক্ত শর্তগুলো বাতিলের উদ্যোগ নিবেন বলে আমরা আশা করি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × five =