সবুজ আন্দোলন ,,,,,,নদী রক্ষায় রক্ষক যখন ভক্ষকে পরিণত হয়েছে  

0
347

সবুজ আন্দোলন পরিবেশ বিপর্যয় রোধে জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। পরিবেশের গুরুত্তপূর্ন অন্যতম উপাদান নদী। কিন্তু বাংলাদেশের সকল নদী দূষণের জর্জরিত, বাদ যায়নি সমুদ্রও।আজ ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী রক্ষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, যারা নদী রক্ষা করবে তারাই আজ ভক্ষকে পরিণত হয়েছে।পৃথিবীতে এমন কোন সভ্যতা যে নদী ভিক্তিক গড়ে উঠেনি এক সময় বাংলার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল নদীকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছিল যার ফলে মানুষের জীবনমান হয়েছিল আরামদায়ক। বাংলার লোকসংস্কৃতিতে শত শত গান রয়েছে নদীকে কেন্দ্র করে। গত চার দশকে নদীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০৫ টি। পূর্বে ছোট—বড় মিলিয়ে ছিল প্রায় ১ হাজার। বর্তমানে যা অবশিষ্ট রয়েছে তার প্রত্যেকটি নদী আজ দখল ও দূষণে জর্জরিত। নদী রক্ষা কমিশন সাম্প্রতিক সময়ে নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করলেও দৈব কারণে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। কিছু কিছু এলাকায় নদীর জায়গা উচ্ছেদ করা হলেও আবার তা দখল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে জনগণের ট্যাক্সের টাকা তসরুপ হচ্ছে। নদী রক্ষা করার জন্য সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

নদী রক্ষা করার জন্য সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হলো:)

১ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও পরিবেশবাদী সকল সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে স্টেকহোল্ডার বডি তৈরি করতে হবে।

বাস্তবায়ন করতে হবে।

২) নদী ভাঙ্গন থেকে সাধারণ জনগণের জীবন মাল রক্ষা করার জন্য স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

৩) সারাদেশে একযোগে নদীর খনন কাজ জোরদার করতে হবে এবং নদীর গতিপ্রবাহ ঠিক রাখতে সমুদ্রের সাথে নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে হবে।

৪) নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা যাতে দুর্নীতি করতে না পারে এজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে অর্থ বরাদ্দ এবং নদী রক্ষায় ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) নদী পথের ব্যবহার বাড়াতে নদী বন্দর নির্মাণ এবং নৌ পরিবহনকে আধুনিকায়ন করতে হবে।

৭) নদীর দূষণ বন্ধে ইটিপি ফর্মুলা বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে যার তদারকির জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।

৮) নদীতে সকল রকম প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

৯) নদীর দখল ও দূষণ রোধে উচ্ছেদকৃত জায়গায় স্থায়ীভাবে নদীর পাড় জুড়ে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − thirteen =