পটুয়াখালী প্রতিনিধি : সরকারী টাকা,যে যতো করতে পারে ফাঁকা,এতে নেই কারো মাথা ব্যথা।তিনি সরকারী কর্মকর্তা,তেনার নেই কোনো কর্মস্থল,পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগের বাসায় বসেই পাচ্ছেন বেতন,ভাতা আরো কতো কি।বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রোকৌশলী,স্ত্রী ডাক্তার।নাম তার ডাঃরিয়াজ হোসেন।পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার তিনি।সরেজমিনে দেখা যায়,পরিবার কল্যান বিভাগের উপ সহকারী ডাঃআবুল কাশেম অফিস করলেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের আরেক ডাক্তার যিনি অফিস করছেন না।
নির্দ্দিষ্ট স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গোটা ইউনিয়বাসী।ডাঃআবুল কাশেম জানান,২০০৮-৯ সালে ডাঃরিয়াজ এখানে যোগাদান করলেও আজো পর্যন্ত তাকে কোনোদিনও অফিস করতে দেখা যায়নি।আরেক কর্মকর্তা পরিবার কল্যান পরিদর্শক মোসাঃআসমা আক্তারও সহমত পোষণ করে জানান এখানে মূলত অফিসে পর্যাপ্ত রুম নেই,হয়তো সেকারণে অফিস করছেন না।
স্থানীয় মোঃখলি ল বিশ্বাস বলেন,আমরা ১৩/১৪ বছর ধরে শুনে আসছি এখানে ডাঃরিয়াজ নামক একজন ডাক্তার হিসেবে চাকরি করছেন।কিন্তু কোনোদিনও তার চেহারা দেখতে পাইনি।শহীদুল ইসলাম দোকান্দার জানান,হ্যা এখানে ডাঃরিয়াজ নামক এক ডাক্তারের কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি যে আছেন।তবে তাকে আমরা আজো চোখে দেখিনি।দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচ মুঠোফোনে ডাঃরিয়াজের পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার পদে যোগদানের বিষয়টি সম্পর্কে বলেন,আমি জানতাম ২০২১ সালে সে ওখানে যোগদান করেছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোপূর্বে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে জবাবদিহিতার জন্য তাকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।বর্তমান ডিজিটাল যুগ ফাঁকি দেয়ার অবকাশ নেই।তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ডাঃরিয়াজ হোসেনের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭১৫২২১৮৭১-তে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।