পরে ভারতীয় ঋণের অর্থায়নে বাংলাদেশের রেল খাতে চলমান প্রকল্প গুলোর সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে ভারতের অনুদানে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা প্রকল্পের কাজের কম অগ্রগতি নিয়ম উভয় পক্ষ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রেলপথমন্ত্রী এসময় আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শন করে এ প্রকল্পের পরবর্তী কি করনীয় সেটা নির্ধারণ করবেন বলে ভারতীয় হাই কমিশনারকে জানাএ বৈঠকে ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মংলা প্রকল্প, বগুড়া– সিরাজগঞ্জ নতুন রেললাইন নির্মাণ, সৈয়দপুরে কোচ তৈরীর কারখানা নির্মাণ, ঢাকা টঙ্গী ৩য়,৪র্থ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও ভারতের অনুদানে নির্মিত হতে যাওয়া সিরাজগঞ্জ আইসিডি নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে একটি নতুন আইসিডি নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলপথ মন্ত্রী ভারতীয় হাই কমিশনারকে ভারতীয় অব্যবহৃত ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এছাড়া ভারত থেকে রেলের ব্রডগেজ কোচ, ফ্ল্যাট ওয়াগণ এবং কক্সবাজার লাইনে চালানোর জন্য ৫৪ টি টুরিস্ট কোচ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলবেন বলে জানান। এ বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক রোলিং স্টক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদৎ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।