স্বাধীনতার ৫১ বছরে দেশের ৯২ শতাংশ জনগণ স্বাস্থ্যসেবায় হয়রানির মুখোমুখি ….. রোগ কল্যাণ সোসাইটি

0
361

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা খাত নিয়ে কাজ করার সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সবুজ আন্দোলন মিলনায়তনে “স্বাধীনতা পরবর্তী স্বাস্থ্যখাত—বর্তমান অবস্থা” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট গবেষক ডা. মাহতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উপদেষ্টা, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রকাশক ও সম্পাদক কবি অশোক ধর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুর রহমান আক্কাস, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির কো—

চেয়ারম্যান ও দৈনিক আমার বার্তার বার্তা সম্পাদক সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য মুহাম্মাদ এম. মুকছুদুর রহমান মিয়াজী, গণতন্ত্রী পার্টি সদস্য নজরুল ইসলাম সহ জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভঙ্গুর রাষ্ট্র থেকে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত পূর্বের চেয়ে অনেক আধুনিক হয়েছে। বর্তমান সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে জনগণের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে।

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, চিকিৎসা খাতে নৈরাজ্য চলছে। অভিযোগ করে বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই। সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে এক শ্রেণীর অসাধু চিকিৎসা ব্যবসায়ী মানুষের পকেট কাটছে। এই ক্ষেত্রে আমলারা সব থেকে বেশি দায়ী। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলে আজ রোগীদের অধিকার নিয়ে স্বাধীনতা দিবসে আলোচনা করার প্রয়োজন থাকতো না। এক্ষেত্রে পেশাদার চিকিৎসক তৈরিতে সরকারকে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সংগঠনের পক্ষ থেকে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয় স্বাধীনতা পরবর্তী ৫১ বছরে দেশের প্রায় ৯২ ভাগ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে হয়রানির মুখোমুখি হয়। এক্ষেত্রে উপকূলীয় অঞ্চলে শতকরা ৮৭ ভাগ মানুষ হয়রানির মুখোমুখি, পাশাপাশি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ হয়রানির শিকার এবং সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ৪০ ভাগ মানুষ।

রাজশাহীতে বিভাগে ৬২ ভাগ, রংপুরে ৭৭ ভাগ, বরিশালে ৮০ ভাগ, খুলনায় ৮৩ ভাগ, ময়মনসিংহে ৫৫ ভাগ, সিলেটে ৪৩ ভাগ মানুষ হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

১) সকল জনপ্রতিনিধিকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে এমন আইন বাস্তবায়ন করা।

২) চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা এবং স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।

৩) সু—চিকিৎসা পাওয়ার জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্য খাতের সাথে সম্পর্কিত সকল ব্যক্তিদের মানসিক কাউন্সেলিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ৪) শূন্যপদে দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ করা এবং সকল ডাক্তারের সমন্বয়ে চিকিৎসা বোর্ড গঠন করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × three =