আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক দেড় বছর বয়সী শিশু চুরি….থানায় মালমা

0
334

কামরুল হাসানঃ সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক এক দম্পতির দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে তাদের ভাড়া বাসা থেকে চুরির অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার চারদিনেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।নিখোঁজ শিশুটির নাম আঁখি আক্তার তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার পাইক্কা এলাকায়। বাবার নাম সাদ্দাম হোসেন এবং মা মিরা আক্তার। তাঁরা উভয়েই আশুলিয়ার টেঙ্গুরী এলাকায় আলী হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।গত বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) দুপুরে আশুলিয়া থানাধীন জিরানী টেঙ্গুরী এলাকার একটি দোকানের সামনে থেকে কালো পোশাক পরিহিত অজ্ঞাত এক যুবক শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। যা পার্শ্ববর্তী একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পরেছে।সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিশুটি বাড়ির পাশের একটু মুদি দোকানের সামনে তার ৫ বছর বয়সী ভাইয়ের সঙ্গে খেলা করছিলো। এসময় কালো পোশাক পরিহিত ওই যুবক দোকানের সামনে যায় এবং মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটিকে ছোঁ মেরে কোলে তুলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে শুক্রবার (১এপ্রিল) সকালে এঘটনায় হারিয়ে যাওয়া শিশুটির দাদা আবুল হোসেন বাদী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ওই যুবককে আসামী করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত এক যুবক ঘটনার কয়েকদিন পুর্বে ভুক্তভোগীদের ভাড়া বাসায় (আলী হোসেনের বাড়িতে) বাসা ভাড়া নিতে আসে। তখন বাড়ির ম্যানেজার নেই বলে সে তাদের সাথে কথা-বার্তা বলে চলে যায়। পরে ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) সে আবার ওই বাড়িতে আসে। তখন কথা-বার্তার একপর্যায়ে শিশু মিরাজ ও আঁখিকে ১০ টাকা দিয়ে দোকানে চকলেট কেনার জন্য পাঠায়। পরে ওই যুবক শিশুদের পেছনে পেছনে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এবং দোকানের কাছ থেকে আঁখিকে কোলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আঁখির মা মিরা আক্তার কান্না জড়িতকন্ঠে বলেন, ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে দেখি আমার মেয়ে নেই। আমার মেয়ে আঁখিকে এলাকার সবাই চিনে। তাকে কোলে নিয়ে পালানোর সময়ও অনেকে দেখেছে। কিন্তু আশপাশের মানুষ ভেবেছে হয়তো আমাদের কোন আত্মীয়ের কোলে করে যাচ্ছে।তাই কেও বাঁধা দেয়নি। এ কদিন ধরে আমরা অনেক খুঁজছি কিন্তু কোথাও আমার আঁখিকে খুঁজে পাইনি। পুলিশের কাছে আমার একটাই আবেদন আমার মেয়েকে দয়া করে উদ্ধার করে দেন।

নিখোঁজ শিশুটির নানি বকুল খাতুন জানান, ওই যুবক বাসা ভাড়া নেয়ার অজুহাতে বেশ কদিন আমাদের বাড়িওয়ালার কাছে এসেছিলেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার আসলে বাড়িওয়ালা না থাকায় আমাদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে আমার নাতি মিরাজকে চকলেট খাওয়ার জন্য ১০ টাকা দেয়। এসময় মিরাজ তার ছোট বোন আঁখিকে সাথে নিয়ে দোকানে যায় চকলেট কিনতে। পরে সুযোগ বুঝে ওই যুবক দোকানের পাশ থেকে আঁখিকে কোলে তুলে পালিয়ে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 2 =