শনিবার (১৬ এপ্রিল) আইরো’ ফ্যাশন হাউজ বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন এক ক্রেতা। সেটা বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তিনি দেখেন পাঞ্জাবির মূল্য লেখা স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার- যেখানে দামটা একটু কম। তার নিচে আরেকটি স্টিকারে দাম আরও একটু কম দেখতে পান।এরপর তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ফ্যাশন হাউজে অভিযান চালিয়ে এমন প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর জব্বার মণ্ডল।এ বিষয়ে তিনি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেই ভোক্তা শনিবার রাতেই আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। এরপর রবিবার সরাসরি আমরা সেই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেখলাম আরও অনেকগুলো পাঞ্জাবিতেও সেই একই কাজ করা হয়েছে।”
পাঞ্জাবির দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫০% ছাড়ে বিক্রি এ ঘটনায় রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ‘আইরো’ ফ্যাশন হাউজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরপ্রতারণার অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান/ সংগৃহীত ঈদ বাজারে ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পাঞ্জাবিতে ৫০% ছাড় দিয়েছে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত “আইরো” নামের একটি ফ্যাশন হাউজ।
এ বিষয়ে আইরো এর মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শফিউল্লাহ শাওন বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের চারটি শোরুম বন্ধ হয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলো সেসব শোরুম থেকেই এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের একটা মিস ম্যানেজমেন্ট হয়েছে৷ কিছু প্রোডাক্টের লেবেলে আগের প্রাইস ট্যাগগুলো না সরিয়েই সেগুলোর উপরে নতুন প্রোডাক্টের প্রাইস ট্যাগ লাগানো হয়েছে। ১ হাজার ৯০ টাকা মূল্যের কারচুপির কাজ করা কোনো পাঞ্জাবি হওয়া সম্ভব না।”
অভিযানের পর একব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দেন। সেখানে তিনি লেখেন, “৫০ শতাংশ ছাড় ও অভিনব প্রতারণা! পাঞ্জাবির স্টিকারে এমআরপি ২ হাজার ৪৯০ টাকা এবং ৫০ শতাংশ ছাড়, উক্ত স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ৭৯০ টাকা এবং এর নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ১৯০ টাকা! তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হল ঢাকা মহানগরীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের আইরো প্রতিষ্ঠানকে।”