রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুর:নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ঢেপারহাট ডিউপাড়ার মোছাঃ শাহানা আক্তার (৩৫) তার শশুড় মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৫) ও শাশুড়ী মোছাঃ আতিকা (৪৮) কতৃক লোমহর্ষক নির্যাতনের স্বীকার হয়।জানা যায়, শাহানার বিবাহের পর হইতেই তার স্বামীর অনুপস্থিতিতেই শশুড় ও শাশুড়ী তার পৈত্রিক ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ (বঞ্চিত) করার জন্য প্রায় সময়ই নির্যাতনসহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাত। শাহানা প্রতিবাদ করলে তাহারা শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন চালাত। নির্যাতনের বিষয় তার স্বামীকে অবগত করলে সে নিরুপায় প্রকাশ করে। এমতবস্থায় গত ৩০ মার্চ/২২ ইং আতিকুল কাজের তাগিদে বাড়ীর বাইরে থাকার সুবাধে একই তারিখ বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় শাহানা ও তার শিশু সন্তান মোঃ নিশাত (১২) কে গোসল করানোর জন্য প্রতিবেশি ছানারুলের বাড়ী হতে ডেকে আনার সময় পথিমধ্যে শশুড় ও শাশুড়ী পূর্ব আক্রোশের জের হিসেবে হাতে লোহার রট ও ছোরা লইয়া খুন করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাশ করে ছেলেকে নিয়ে চিরদিনের জন্য চলিয়া যাইতে বলে।
প্রতিবাদ করিলে শশুড় জাহাঙ্গীরের হুকুমে শাশুড়ী লোহাররট দিয়ে পুত্রবধু শাহানাকে এলোপাতারীভাবে মার ডাং করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ও ফোলা যখম করে। শাহানা শাশুড়ীর লাঠির আঘাত থেকে বাঁচতে শাশুড়ীর হাত আটকাইয়া ধরিলে শশুড় জাহাঙ্গীরের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে শাহানার মাথা বরাবর চোট মারিলে শাশুড়ীর হাত ছেরে দিয়ে তৎক্ষনাৎ উক্ত চোট তাহার বাম হাত দ্বারা আটকাইলে তাহার বাম হাতের শাহাদত ও বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝ বরাবর লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাত্ব যখম হয়ে মাটিতে পড়ে যান। সেই সুযোগে শাশুড়ীর হাতে থাকা লোহার রট দিয়ে শাহানার পিটের ডান দিকে এবং উভয় হাতের বাহুতে এলোপাথারী ডাং মারিলে অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকে।
শাহানার বাবা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে আসিয়া শাহানাকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এক অপরিচিত ব্যক্তির অটো রিক্সাযোগে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। শাহানার জ্ঞান না ফিরলে তার ১২ বছরের শিশু ছেলে নিশাত ৯৯৯ এ কল দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলে আমার মাকে আমার দাদা- দাদী মেরে ফেলছে । আমার মা কথা বলছে না। দাদা-দাদী আমাকে ও মেরে ফেলবে।
আমার বাবা বাড়ীতে নাই। আমাদের কে বাঁচান,বাঁচান। পুলিশ ঘটনা স্থলে আসিয়া আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সফর্দ করে। আদালত জাবীন মঞ্জুর করলে। তারা বেরিয়ে এসে হুমকী প্রদর্শন করেন যে, শাহানা এই বাড়ীতো দুরের কথা এই এলাকায় আসলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। এব্যাপারে তার স্বামী আতিকুলের সাথে কথা বললে জানায় আমিকি করবো। ওকে নিয়ে সংসার করলে আমাকে বাড়ী হতে বের করে দিবে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানায়, ০৩ এপ্রিল/২২ ইং কম্পিউটার কম্পোজ করা এজাহার পেয়েছি। ৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ দঃবিঃ মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নং- ০২। আসামীকে ধরে আদালতে সোপর্থ করা হয়।