ফারহান আব্দুল্লাহ : আগামী সপ্তাহ থেকে পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হতে পারে। আগামীকাল সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের এ বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে কবে থেকে রেল লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে এবং সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে রেলপথ মন্ত্রী জানান । এছাড়া তিনি বলেন ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।রেল মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি আজ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনকালীন মাওয়া স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা উল্লেখ করেন। মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতুতে রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। এটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। ২০২৪ সালের ৩০ শে জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা আছে। সময় মত বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত । এ সময় তিনি বিভিন্ন অংশের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০% এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০%।মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা,যশোর,দর্শনা, বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে, ফলে তা মংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে। সেতুতে রেললাইন বসানোর সময় কম্পন এর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলপথ মন্ত্রী উল্লেখ করেন এ বিষয়ে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা সমস্ত কিছু দেখে সম্ভাব্য সমাধান করবেন। প্রকল্প পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান সহ কনসালটেন্সি সুপারভিশন সার্ভিসের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।