ভুয়া স্বপনের খোজে সংগঠনের তদন্ত টিম

0
3362

নাবিলা শারমিনঃ জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাছে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতির নির্দেশে ভুয়া স্বপন সরদারের খোজে তদন্ত টিম রগুনাথ পুর। সমস্ত এলাকা ঘুরে স্বপন সরদারের কোণ হদিস পাওয়া যায়নি। রগুনাথপুরবাসী বলে, এই নামে এবং এই ছবির লোক আমরা কখনো দেখি নাই, সে এখানে থাকে না, এটা ভুয়া স্বপন, আমরা চিনি না ইত্যাদি।এই এলাকার বয়স্ক সুলতান নামের এক লোক জানায় এই স্বপন একজন ভুয়া, এদের কোনো অস্তিত্ব নেই।যারা সত্যিকারের স্বপন তারা অনেক আগেই ভারত চলে গিয়েছে, এটা নকল স্বপন। আরো জানা যায়, ভুয়া স্বপন সরদার, পিতা-পরেশ চন্দ্র সরদার,মাতা-কানন বালা সরদার, সাং রগুনাথপুর, থানা ফতুল্লা,জেলা নারায়ণগঞ্জ ব্যবহার করে ক্রয়কৃত জমির দলিল বাতিলের মিথ্যা মামলা দিয়ে মোঃ জালাল উদ্দিনের সাক্ষর নকল করে বিক্রয় কৃত জমির দলিল বাতিল করে।

এদিকে জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বলে দেখা যায়, সে গত ৫ বছর যাবৎ অসুস্থ হয়ে তার ডান হাত অকেজো হয়ে গেছে, সে তার হাতে তুলে কিছু খেতেও পারে না। জালাল ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে যানা যায়, উল্লেখিত সাক্ষর জালাল উদ্দীনের নয়। জালাল উদ্দিনের স্ত্রী জানায়, আমরা যেহেতু জমি বিক্রি করে দিয়েছি, তাহলে আবার দলিল বাতিল কেনো করবো? এ বিষয় নিয়ে আমরা কোর্টে লিখিত জবান বন্দী দিয়েছি, প্রয়োজন আমরা আবার কোর্টে যাবো। তার বড় ছেলে বলেন এটা আমার বাবার সাক্ষর নয়।

স্বপন সরদারের এনআইডি যাচাই করে দেখা যায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি নিবন্ধনের ফরমে ভোটার এলাকার নাম রঘুনাথপুর, ভোটার এলাকার নম্বর ১০৭৬, পিতা-মৃত পরেশ চন্দ্র সরদার কিন্তু তার  এনআইডি বা ভোটার নং দেওয়া নাই, মাতা- মৃত কানন বালা সরদার কিন্তু তার এনআইডি বা ভোটার নং দেওয়া নাই, স্ত্রী বীনা রানী সরদার, স্ত্রীর এনআইডি বা ভোটার নং দেওয়া নাই, বর্ত্মান ও স্থায়ী ঠিকানা-সাং রগুনাথপুর,ভুইগড়, ইউপি-কুতুবপুর, থানা ফতুল্লা, জেলা নারায়ণগঞ্জ। সনাক্তকারীর এনআইডি নাম্বার ৬৭১৫৮৭৯২৯৩৫৮৫ স্বাক্ষর বাবুল কিন্তু কুতুবপুত ভোটার লিস্টে এই এনআইডির কোণ বাবুল পাওয়া যাচ্ছে না।তথ্য সংগ্রহকারীর এনআইডি নং নাই, সুপারভাইজরের এনআইডি নং নাই, যাচাই কারীর নাম নাই, এনআইডি নং নাই, স্বাক্ষর-নজরুল, সিল- মোঃ নজরুল ইস্লাম,ইউপি সদস্য ওয়ার্ড নং১, কুতুবপুত ইউনিয়ন পরিষদ, ফাতুল্লা,নারায়নগঞ্জ কিন্তু সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামকে তার স্বাক্ষর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “এই স্বাক্ষর আমার না।” আসলেই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি নিবন্ধনের ফরমে স্বাক্ষর আর ০১/১০.০৫ ইং তারিখের উওরাধিকারী সন্দ ও ০৫/০৩/০৬ ইং তারিখের ইহা যাহার জন্য প্রযোজ্য (ওয়ারিশ সনদ) এর স্বাক্ষর আকাশ পাতাল ব্যবধান। এটাক দেখে যেকোণ মানুষ বলবে এটা জাল বা নকল করেছে।

প্রশ্ন কেন এই প্রতারিনা? ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন বক্তব্য,“ভুমি দস্যু চক্র মানিক ও রোস্তম গং ভুমি গ্রাস করার জন্য ভুয়া স্বপন সরদার বানিয়ে আমাদের হয়রানী করছে, একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এই প্রতারক চক্রের বিচার চাই।” তথ্য সুত্রে জানা যায় এই প্রতারক চক্রের মুল হোতা রোস্তম ও মানিক। তাদের পাকরাও করলেই থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে।

এব্যাপারে রোস্তমকে তার মোবাইলে তথ্যর জন্য কল করলে বলে,“কেন আপনি কি জজ সেই কৈফিয়ত আপনাকে দিতে হবে, অনুসন্ধান রিপোর্ট, আপনে পারলে বাল ফালান গিয়ে, বার বার কল দিয়ে ডিস্ট্রাব করবেন না।” এ ব্যাপারে মানিককে কল করলে বলে,“ তথ্য আপনাকে দেব কেন? রিপোর্ট করেন, আপনি মিথ্যা রিপোর্ট করবেন করেন।”     

তথ্য সুত্রে জানা যায়, জেলা সাবেক ঢাকা, হালে- নারায়ণগঞ্জ, থানা- ফতুল্লা অধীন মৌজা ভূঁইগড় অধীন বিরোধীয় সি.এস ১০৭ নং খতিয়ান ভূক্ত বিরোধীয় সি.এস ৪৮৭ দাগের ৪২ শতাংশ সহ বহু ভূ-সম্পত্তিতে সি.এস পরর্চা অনুযায়ী কেরালী মন্ডল \. আনা এবং দুখাই \. আনা অংশে মালিক ও দখলকার ছিল। তাহাদের মধ্যে ভোগ দখলের সুবিধার্থে ঘরোয়ানা মৌখিক আপোষে বিরোধীয় সি.এস ৪৮৭ দাগের ৪২ শতাংশ সহ অপরাপর অবিরোধীয় ভূমিতে দুঃকাই একক ভাবে ছাহাম লাভ করে এবং অবিরেধিীয় দাগের ভূমিতে কেরালী ছাহাম লাভ করে। সি.এস পর্চার Reverse page এ সেই মৌখিক আপোষ অনুযায়ী মন্তব্যের কলামে লিপি হইয়া প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। উল্লেখিত উপায়ে দুঃখাই বিরোধীয় ও অবিরোধীয় দাগের ভূমিতে মালিক থাকাবস্থায় মৃত্যুকালে কালী কুমার মন্ডলকে এক পুত্র ওয়ারিশ রাখিয়া যায়। কালী কুমার মন্ডল বিরোধীয় অবিরোধীয় দাগের ভূমিতে মালিক ও দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় মৃত্যুকালে ব্রজেন্দ্র চন্দ্র মন্ডলকে একমাত্র পুত্র বিত্তভোগী ওয়ারিশ রাখিয়া যায়। ব্রজেন্দ্র মন্ডল বিরোধীয দাগের ভূমিতে মালিক থাকাবস্থায় গত ২৪/০৬/১৯৪১ ইং তারিখে সম্পাদিত ও রেজিষ্ট্রিকৃত ৩৭৫৫ নং দলিল মূলে বিরোধীয় দাগের ৪২ শতাংশ ভুমি শিবচরন সরদারের পুত্র মহেন্দ্র চন্দ্র সরদার এর বরাবরে বিক্রয় করিয়া দখল বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হয়।

মহেন্দ্র চন্দ্র সরদার বিরোধীয় দাগের ভূমিতে মালিক ও দখলকার থাকাবস্থায় এস.এ ১৪৬ নং খতিয়ানে মহেন্দ্র চন্দ্র সরদার এর নাম অপরাপর শরিকদার গণের নামের সহিত লিপি হয়। মহেন্দ্র সরদার ওরফে মহেন্দ্র সরদার মৃত্যুকালে যোগেশ চন্দ্র সরদার ওরফে যোগেশ সরকার ও পরেশ চন্দ্র সরকার/সরদারকে ২ পুত্র বিত্তভোগী ওয়ারিশ রাখিয় যায়। মহেন্দ্র চন্দ্র সরদার এর মৃত্যুর পর বিরোধীয় দাগের ভুমি ভোগ দখলের সুবিধার্থে নিজেদের মধ্যে এক অলিখিত ঘরোয়া আপোষ বন্টনে সি.এস ও এস.এ ৪৮৭ দাগের সমূদয় ৪২ শতাংশ ভূমি যোগেশ চন্দ্র সরদার ওরফে যোগেশ সরকার একক ভাবে ছাহাম লাভ করিয়া মালিক ও দখলকার নিয়ত হয়। যোগেশ চন্দ্র সরকার বিরোধীয় দাগের ৪২ শতাংশ ভূমিতে মালিক ও দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় গত ০২/০২/১৯৮৪ ইং তারিখে রেজিঃকৃত সাফ কবলা দলিল নং- ২৪২০ মূলে সি.এস ও এস.এ ৪৮৭ দাগের ৪২ শতাংশ ভূমি মোঃ লাল চান মিয়া, সুনিল মন্ডল, আব্দুল আজিজ, আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া, মোঃ হানিফ ভূইয়া, মোঃ নুরুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন ৭ জনের বরাবরে বিক্রয় করিয়া দখল বুঝাইয়া দিলে প্রত্যেকে ৬ শতাংশ করিয়া মালিক ও দখলকার নিয়ত হয়।

উল্লেখিত উপায়ে সুনিল চন্দ্র মন্ডল বিরোধীয় দাগে খরিদ সূত্রে মালিক ও দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় সুনিল চন্দ্র মন্ডল গত ০২/০৫/১৯৮৭ ইং তারিখে রেজিঃকৃত ৬০২ নং সাফ কবলা দলিল মূলে ৬ শতাংশ ভূমি মোঃ হানিফ ভূইয়া ও রাজ্জাক ভূইয়া বরাবরে বিক্রয় করিয়া দখল বুঝাইয়া দেয়। আঃ রাজ্জাক ভুইয়া ও মোঃ হানিফ ভূইয়া বিরোধীয় দাগে সুচিহিৃত ১৮ শতাংশ ভূমিতে মালিক ও দখলকার থাকাবস্থায় মোঃ হানিফ ভূইয়া নালিশা দাগের ৬ শতাংশ ভূমি গত ০২/০২/১৯৮৭ ইং তারিখে রেজিঃকৃত সাফ কবলা দলিল নং- ৯০০ মূলে অত্র বিবিধ মোকদ্দমার ২নং বিবাদী মোঃ মাহবুবুল মাওলা বরাবরে বিক্রয় করিয়া দখল বুঝাইয়া দেয়। মোঃ হানিফ ভূইয়া ও আঃ রাজ্জাক ভূইয়া একত্রে গত ২০/১০/১৯৮৬ ইং তারিখে রেজিঃকৃত ৫২৩২ নং সাফ কবলা দলিল মূলে বিরোধীয় ৪৮৭ দাগে ৯  শতাংশ অত্র বিবিধ মোকদ্দমার ২নং বিবাদী মাহবুবুল মাওলা বরাবরে বিক্রয় করিয়া সরেজমিনে দখল বুঝাইয়া দেয়। এই ভাবে ২টি ভিন্ন ভিন্ন দলিলে ২নং বিবাদী বিরোধীয় দাগের ১৫ শতাংশ ভূমিতে নিরংকুশ মালিক ও দখলকার নিয়ত হইয়া বর্গাদার মারফত মৌসুমী ফসলাদি সৃজন ও অর্জনে নিয়ত থাকাবস্থায় নালিশা ভূমি ধান চাষের অনুপোযোগী হওয়ায় উহার চারিদিকে ৫ ফুট উচু পাকা দেওয়াল নির্মাণ করিয়া উত্তরাংশে লোহার গেইট নির্মাণ করিয়া গত ১৭/০৭/২০১৩ ইং তারিখে নামজারী ও জমাভাগ কেইস নং ২১০০১/১২-১৩ মূলে বিরোধীয় দাগের ১৫ শতাংশ ভূমি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বৈধ ও আইন সম্মত উপায়ে নামজারী ও জমাভাগ করিয়া ভোগ দখলে নিয়ত থাকেন।

তদাবস্থায় নালিশা ভূমি সম্পর্কে ২নং বাদী মোঃ মাহবুবুল মাওলা গত ২৩/১২/১৫ ইং তারিখে রেজিঃকৃত আম-মোক্তার নামা দলিল নং ১২৫৩৫ মুলে (১) মোসাঃ নুরজাহান বেগম, (২) মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান (৩) মোঃ শফি উল্লাহকে আম-মোক্তার নিযুক্ত করে। ২নং বিবাদী পক্ষে তাহার নিযুক্তীয় আম-মোক্তার মামলা-মোকদ্দমাসহ যাবতীয় বিষয় পরিচালনা করেন। বিরোধীয় দাগের সম্পত্তি সর্ম্পকে মহেন্দ্র চন্দ্র সরকারের পুত্রের দিকে নাতী স্বপন কুমার সরকার দাবী উত্থাপন করিয়া বিগত ২৯/১০/১৯৮৭ ইং তারিখে সম্পাদিত ও রেজিঃকৃত ৬৮১০ নং সাফ কবলা দলিল মূলে মোঃ জালাল উদ্দিন ২১ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হয়। অতঃপর ২নং বিবাদী মোঃ মাহাবুবুল মাওলা তাহার ১৫ শতাংশ ভূমি আইনের কুটতর্ক নিসরনার্থে উহা নিষ্কন্টক করার লক্ষ্যে বর্ণিত মোঃ জালাল উদ্দিন এর নিকট হইতে বিগত ০৮/১২/৮৮ ইং তারিখে রেজিঃকৃত ৭০৫২ নং দলিল মূলে ৭.৫০ শতাংশ ভূমি তাহার স্ত্রী ৩নং বিবাদী সুফিয়া বেগম এর নামে খরিদ করিয়া উহাতে মালিক ও দখলকার নিয়ত হয়।

বর্ণিত রূপে ৬নং বিবাদী আপীলকারী মোঃ মঞ্জুর হোসেন, পিতা- মৃতঃ আব্দুল মান্নান বিগত ১৫/০৯/২০০৪ ইং তারিখে সাব কবলা দলিল নং ৫০০৭ মূলে ০৩৩৪  শতাংশ সম্পত্তি মোঃ মফিজ উদ্দিন পিতা মৃতঃ নছর উদ্দিন মিয়া এবং মনজু বেগম  স্বামী- মোঃ মফিজ উদ্দিন সর্ব সাং- ভুইগড়, পোঃ ভুইগর বাজার, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর নিকট  হইতে খরিদ করিয়া তাহার নামে সম্পুর্ণ বৈধ ও আইন সম্মত ভাবে নামজারী জমাভাগ নং ২১০০৩/১২-১৩ মোকদ্দমা যার খতিয়ান নং ২২৬৯ জোত নং ২২৭৯ এর মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করিয়া পাকা  টিন সেড দালান নির্মান করিয়া তাহাতে গ্যাস সংযোগ এসটি বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন সহ মেশিনারীজ বসানোর মাধ্যমে বৈধ কারখানা পরিচালনা করিতেছেন এবং শ্রমিকগণ কর্মরত আছেন।

বর্ণিত রূপে ৭নং বিবাদী আপীলকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিতা- মৃতঃ আব্দুল মান্নান বিগত ১৫/০৯/২০০৪ ইং তারিখে সাব কবলা দলিল নং ৫০০৮ মূলে ০৩৩৪  শতাংশ সম্পত্তি মোঃ মফিজ উদ্দিন পিতা মৃতঃ নছর উদ্দিন মিয়া এবং মনজু বেগম  স্বামী- মোঃ মফিজ উদ্দিন সর্ব সাং- ভুইগড়, পোঃ ভুইগর বাজার, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর নিকট  হইতে খরিদ করিয়া তাহার নামে সম্পুর্ণ বৈধ ও আইন সম্মত ভাবে নামজারী জমাভাগ নং ২০৯৯৯/১২-১৩ মোকদ্দমা যার খতিয়ান নং ১২২৭২ জোত নং ১২২৮২ এর মাধ্যমে খাজনা পরিশোধ করিয়া পাকা  টিন সেড দালান নির্মান করিয়া তাহাতে গ্যাস সংযোগ এসটি বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন সহ মেশিনারীজ বসানোর মাধ্যমে বৈধ কারখানা পরিচালনা করিতেছেন এবং শ্রমিকগণ কর্মরত আছেন।

তদাবস্থায় নালিশা ভূমি সম্পর্কে কতক স্বত্ব ও স্বার্থ এবং দখল বিহীন ব্যক্তি বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে মিথ্যা স্বত্বের দাবী উত্থাপন করিয়া একাধিক মোকদ্দমা নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে যথাক্রমে- দেঃ নং- ১২৪/২০০২, দেঃ নং- ২০/২০০২, দেঃ নং- ১৩/২০০৮ মোকদ্দমা দায়ের করে। বিবাদী পক্ষকে দেঃ নং- ১৩/২০০৮ মোকদ্দমার কোনরূপ পক্ষ না করিয়া কতিপয় মৃত্যু ব্যক্তিকে বিবাদী পক্ষ করিয়া বেআইনী ভাবে একতরফা রায় ও ডিক্রী হাসিল করে। বিবাদীপক্ষ দেঃ নং- ১৩/২০০৮ মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রীর বিষয় অবগত হইয়া উক্ত মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রি চ্যালেঞ্জ করিয়া বিবাদীপক্ষ বাদী হইয়া নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে দেঃ নং- ৯০০/২০১০ একটি ঘোষণা মূলক মোকদ্দমা দায়ের করে, যাহা বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালতে ৪৪৮/২০১৬ নম্বরে পুনঃস্থাপিত হইয়া বিচারাধীন আছে। অপর দিকে দেঃ নং- ৪৪৮/২০১৬ মোকদ্দমাটি চলমান অবস্থায় এই বিবিধ মোকদ্দমার বাদী তখা কথিক স্বপন সরদার নিজে আইনজীবী নিযুক্ত করিয়া বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে ৪৪৮/২০১৬ নং মোকদ্দমায় পক্ষ ভূক্তির দরখাস্ত দিয়া ৫১ নং বিবাদী হিসাবে বিবাদী শ্রেনীভূক্ত হয়। উক্ত মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় এই মোকদ্দমার বাদী স্বপন সরদার সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ ভাবে বিবাদী পক্ষদেরকে কোনরূপ পক্ষ না করিয়া  ৩জন মৃত্যু ব্যক্তি মোঃ জালাল উদ্দিন, পিতা- মৃতঃ ইব্রাহীম মুন্সীসহ ৫ জনকে বিবাদী করিয়া বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে দেঃ নং- ২২০/২০১৯ মোকদ্দমাটি বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে দায়ের করিয়া যোগসাজসিকভাবে ১নং বিবাদী মোঃ জামাল উদ্দিন, পিতা- ইব্রাহীম মুন্সী, সাং- ভুইগর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ এর NID , ছবি বিহীন ভূয়া রফানামা তৈরী করিয়া ভূয়া স্থলে অন্য লোক দাঁড় করাইয়া এখতিয়ার বিহীন ভাবে রফামূলে ডিক্রি হাসিল করে। যাহা সম্পুর্ণ বেআইনী ও অবৈধ।

এই বিবাদীপক্ষ বাদী হইয়া এই বাদীকে ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী শ্রেনীভূক্ত করিয়া তথাকথিক স্বপন সরদার অর্থাৎ অত্র বিবিধ মোকদ্দমার বাদী নামীয় NID চ্যালেঞ্জ করিয়া পৃথক দেঃ নং- ৪৫২/২০১৬ যাহা বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালত ৫/২০১৮ নম্বর পুনঃ স্থাপিত হইয়া বিচারাধীন আছে। যেহেতু বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে একাধিক দেওয়ানী মোকদ্দমা বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে চলমান রহিয়াছে দেওয়ানী মোকদ্দমা সমূহ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় দাগের ভূমি সম্পর্কে অত্র বিবিধ ৩৭/২০২১ নং মোকদ্দমা আইনতঃ চলিতে পারে না। এই বিবিধ মোকদ্দমার বিবাদী পক্ষ বাদী হইয়া বাদী পক্ষকে বিবাদী শ্রেনীভূক্ত করিয়া বাদীপক্ষের বেআইনী ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হাসিল কৃত বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেঃ নং- ২২০/২০১৯ মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রি চ্যালেঞ্জ করিয়া নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়সহ সহকারী জজ ২য় আদালতে দেঃ নং- ২৬/২০২২ মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছে যাহা বর্তমানে যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালতে ১২/২০২২ নম্বরে পুনঃ স্থাপিত হইয়া চলমান আছে। এই মোকদ্দমার বাদীপক্ষ তথাকথিক স্বপনর সরদার এস.এ রেকর্ডীয় মালিক মহেন্দ্র চন্দ্র সরদারের নাতী অর্থাৎ পরেশ সরদার এর পুত্র নহে। এই বাদী বিবাদী পক্ষের জানামতে ভূয়া স্বপন সরদার এলাকার ভূমি দস্যূদের পালিত স্বপন সরদার ছদ্ম নামধারী ব্যক্তি  হয় বটে।

প্রকৃত স্বপন সরদার অর্থাৎ পরেশ চন্দ্র সরদার এর পুত্র বহু পূর্বেই তাহার মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া ভারতে চলিয়া গিয়াছে। প্রকৃত স্বপন সরদার ঢাকার বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্য্যালয়ে হাজির হইয়া ছবিসহ বিবাদীদের বরাবরে হলফনামা প্রদান করিয়াছে। এই বিবিধ মোকদ্দমার বাদী পক্ষের বে আইনী ভাবে হাসিলকৃত দেঃ নং- ২২০/১৯ মোকদ্দমাটি বর্তমানে দেওয়ানী বিজ্ঞ আদালতে Under Challenge থাকায় উক্ত বেআইনী ভাবে হাসিল কৃত ২২০/১৯ মোকদ্দমার বলে বাদীপক্ষের অত্র বিবিধ মোকদ্দমা আইনতঃ চলিতে পারে না। বাদী পক্ষের অত্র ষড়যন্ত্রমূলক বিবিধ মোকদ্দমা নথিজাত হওয়া আবশ্যক।

বর্ণিত রূপে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত আদালত নারায়ণগঞ্জ দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ১২/২২ এর অডার শীট অনুচ্ছেদ নং ১১, তাং- ২৮/০৬/২০২২ তারিখে দেঃ কার্যবিধি ৬ আদেশ ১৭ রুলের বিধান মতে বিজ্ঞ আদালত আপীলকারী পক্ষের আরজি সংশোধন দেঃ কার্যবিধির ৩৯ আদেশ ১ ও ২ রুলের ১৫১ ধারার বিধান মতে ১০ নং মোকাবিলা বিবাদী/প্রতিপক্ষ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেল এর নিকট বিজ্ঞ আদালত হইতে বিবাদী পক্ষের প্রার্থীত মতে অত্র মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ১০নং মোকাবেলা বিবাদীর বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হইবে না তৎমর্মে অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য ১০ নং মোকাবিলা বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। যাহা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা রাজম্ব সার্কেল ৫ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ গ্রহন করেন যার ডকেন নং- ১১৭২, তাং- ৪/৭/২২। বিজ্ঞ আদালত থেকে পাঠানো ৫ দিনের কারন দর্শানোর নোটিশ বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেল আমলে নেয় নাই।

যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদারত নারায়ণগঞ্জ দেঃ মোকদ্দমা নং- ১২/২০২২ এর অডার শীট অনুচ্ছেদ নং- ১২, তাং ২২/০৮/২০২২ এর আদেশ যা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেল এর নিকট প্রেরন করা হয়। নথি পর্যালোচনা করলাম। নালিশা সম্পত্তি বিষয়ে ঘোষনামূলক মোকদ্দমা দায়ের করেছে, বর্তমানে মামলাটি সমন বিষয়ে পদেক্ষপ এর জন্য ধার্য্য আছে। বাদী পক্ষের নামজারী যেন কর্তন করতে না পারে তৎমর্মে আদালতের অস্থায়ী আদের্শ প্রার্থনা করেন। নামজারী কোন স্বত্বের দলিল নয়। দেওয়ানী মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় উক্ত বিষয়ে রিভিনিউ অথরিটি কে- অপেক্ষা করতে হয় মূল দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি পর্যন্ত। Nur Mohammad vs Respondent Asen Ali and Ors. মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ উল্লেখ করেন যে, “The mutation of recode of rights dose not confer any right title and interest over the concerned land, mores, where the is dispute regarding title, Revenue authority should await till the result of the same by the civil court

(Ref: 21BLC(2016)347, 21BLC(2016)347,  2016(24)BLT(HCD)371: LEX/BDHC/0006/2016) মহামান্য উচ্চ আদালতের আদেশ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অনুসরনীয়। অত্র আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ১০ নং বিবাদী বরাবরে প্রেরন করা হোক। উক্ত আদেশের কপি ১৫০৩/২২, তাং- ২৫/০৮/২০২২ মূলে ১০ নং মোকদ্দমা বিবাদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে প্রেরন করা হয়। এ আদেশের কোন বিষয় নিম্ম আদালত আমলে নেয়নি। উচ্চ আদালতের আদেশ নিম্ম আদালত অনুসরন না করিয়া বিগত ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখে বিবাদী/আপীলকারী পক্ষের নামীয় নামজারী বাতিল আদেশ প্রদান করেন। যাহা আইনত সঠিক নয়।  

বিজ্ঞ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা, রাজস্ব সার্কেল নারায়ণগঞ্জ এর মিছ ৩৭/২০২১ নং মোকদ্দমা বিগত ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখে যে আদেশ প্রদান করিয়াছেন বিবাদী/আপীলকারী পক্ষদ্বয় বিগত ০৬/১০/২০২২ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত আদেশের সার্টিফাই নকল এর কপি সংগ্রহন করিয়াছেন যাহা এই মোকদ্দমা দাখিল করিলেক।

প্রকৃত স্বপন সরদার ১৪/১২/২০০৩ তারিখে ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট, আদালত, ঢাকা বাংলাদেশ এর আদালতে হাজির হইয়া হলপনামার মাধ্যমে তিনি পরেশ সরদার এর একমাত্র সন্তান এবং সত্যর বিষয় ঘোষনা করিয়াছেন। এই বিবিধ মোকদ্দমায় বিবাদী পক্ষকে ১৪/১২/০৩ তারিখের Regd No – ৩৬ হলফনামা প্রদান করিয়াছেন। আবার প্রকৃত স্বপন সরদার ০৭/০২/২০১২ ইং তারিখে জবমফ ৬৪ নং হলফ নামায় সতের বিষয় ঘোষনা করেন এবং তৎপরবর্তীতে সি.এস খতিয়ান নং ৩২৫, সি.এস দাগ নং ২৭৯ এর সম্পত্তি ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল নং ২১০০, তাং- ১৪/০২/২০১২ হস্থান্তর ৮ জনকে আম-মোক্তার নিযুক্ত করিয়াছেন।  স্বপন সরদার পিতা- মৃতঃ পরেশ চন্দ্র সরদার বিগত ২৯/১০/৮৭ তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল নং ৬৮০৮ মূলে ১২১২ নং জোতের ১৪৮ নং খতিয়ান ৬ নং ভুইঘর মৌজার ২১ শতাংশ সম্পত্তি মোঃ মিরাজ উদ্দিন, ইমাম হাসান, মাখন চন্দ্র সরকার এই ৩ জনের নিকট বিক্রয় করে নিঃস্বত্ববান হন। প্রৃকত স্বপন সরদার বিগত ২৯/১০/৮৭ তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব কবলা দলিল নং ৬৮১০ মূলে ১২১২ নং জোত ১৪৮ নং হালে ৬ নং ভুইঘর মৌজার সি.এস ১০৭, এস.এ ১৪৬ নং খতিয়ানের সি.এস এস.এ ৪৮৭ দাগের ২১ শতাংশ বিরোধীয় সম্পত্তি মোঃ জালাল উদ্দিনের নিকট বিক্রয় করিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন। প্রৃকত স্বপন সরদার বিগত ১৫/১১/৮৭ ইং তারিখে সাবেক ১২১২/৫৯৩২/৩২৫ নং জোত স্বত্বে ১৪৮ নং ভূইঘর মৌজার সি.এস ২১৫ এস.এ ২৮৪ খতিয়ান ভূক্ত সি.এস ও এস.এ ২০৫ নং দাগের জোত ৩৩ শতাংশ সম্পত্তি (১) মোঃ ইমাম হাসান, (২) মোঃ শফিকুল ইসলাম, (৩) আব্দুল জব্বার, (৪) কাজী মশিউর রহমান এই চার জনের নিকট বিক্রয় করিয়া নিঃস্বত্ববান হয়। বিগত ১৪/১২/২০১২ ইং তারিখে যোগেশ চন্দ্র সরদার ও পরেশ চন্দ্র সরদার এদের দুই ছেলে বাবুর সরদার ও স্বপন সরদার ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি  অফিসের সাব কবলা আম-মোক্তার দলিল নং ২১০০ মূলে সি.এস ১৪৯, এস.এ ০৭ নং আর.এস ০২ নং মৌজা দেইলপাড়া মৌজায় সি.এস ৩২৫, এস.এ ৩৫৯, আর.এস ৩১০ খতিয়ান ভূক্ত সি.এস ২৭৯, আর.এস ৭৫৭ দাগের ২৩৭৫ অযুতাংশ সম্পত্তি আমিনুল ইসলাম সহ ৮ জনের নিকট আম-মোক্তার দলিল মূলে হস্থান্তর করিয়া নিঃস্বত্ববান হন।

বিগত ০৫/১২/৮৭ তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব কবলা দলিল নং ৭২৯৪ মূলে সাবেক ১৪৮ ভূইঘর মৌজার সি.এস ১২৮ নং এস.এ ১৭৩ নং খতিয়ান সি.এস ও এস.এ ১৮০ দাগে এবং সি.এস ১০৮ নং এস.এ ১৪৮ খতিয়ান সি.এস ১৭৯ দাগে দুই দাগে মোট ১০১২  শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি (১) হরিকিশোর সরদার, পিতা- মৃতঃ রাইমোহন সরদার, (২) সঞ্জীবন চন্দ্র সরদার, পিতা- মৃতঃ গৌর সরদার, (৩) প্রকৃত স্বপন কুমার সদার, পিতা- মৃতঃ পরেশ চন্দ্র সরদার, সর্ব সাং- রঘুনাথপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এই ০৩(তিন)  একত্রে (১) শ্রী সুধীর চন্দ্র মন্ডল, পিতা- মৃতঃ হৃদয় চন্দ্র মন্ডল, (২) হরিচন্দ্র মন্ডল, পিতা- মৃতঃ রমেশ্বর চন্দ্র মন্ডল, (৩) মাখন চন্দ্র সরকার, পিতা- বঘ্র বল্লভ মন্ডল, (৪) জালাল উদ্দিন, পিতা- ইব্রাহীম মুন্সী এই ০৪(চার) জনের নিকট বিক্রয় করিয়া নিঃস্বত্ববান হন।

ভূমি প্রতারক চক্র, ভূমি দস্যু ধারা পরিচালিত স্বপন সদার পিতা মৃত পরেশ চন্দ্র সরদার নামে রঘুনাথপুর গ্রাম কোন লোকের অস্থিত্ব নেই। বিজ্ঞ আদালত বরাবর নোটিশ পাঠানোর ফলে এটা প্রমানিত। দেঃ ২২০/১৯ মোকদ্দমার ১নং বিবাদী মোঃ জালাল উদ্দিন ২৯/০৩/২০১৯ ইং তারিখে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ্য হইলে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তখন হইতে তিনি কথা বলিতে পারে না এবং ডান হাতে স্বাক্ষর করিতে পারে না অদ্য পর্যন্ত তিনি বাকশক্তিহীন এবং শরীরের ডান সাইড প্যারালাইসড এবং নিজে একা চলাচল করিতে পারে না।

বিবাদী/আপীলকারী পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে ২২০/২০১৯ নং মোকদ্দমার ১নং বিবাদী মোঃ জালাল উদ্দিনকে ২নং বিবাদী করিয়া মোকাম নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী ২য় জজ আদালত দেঃ ২৬/২২ নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। দেঃ ২৬/২০২২ নং মোকদ্দমা যাহা যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালতে ১২/২২ নম্বরে পুনঃ স্থাপিত হইয়অছে। মোকদ্দমার ২নং বিবাদী আদালতের নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া ১ম ধার্য তারিখে জবাব দাখিলের সময় প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত সময় প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ ও মঞ্জুর করেন। দেওয়ানী ২৬/২০২২ নং মোকদ্দমার পরবর্তী ধার্য্য তারিখে তিনি বিজ্ঞ কৌশুলীর মাধ্যমে তাহার স্ত্রী আফরোজা আক্তার ও বড় ছেলে মোঃ তামিম এর সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ বিজ্ঞ আদালতে হাজির হইয়া লিখিত জবাব দাখিল করিয়া  NID, ছবি ও চিকিৎসাপত্র ফিরিস্তিসহ বিজ্ঞ আদলতে দাখিল করিয়াছেন। দেওয়ানী ২২০/২০১৯ নং মোকদ্দমার ১নং বিবাদী মোঃ জালার উদ্দিন, পিতা- ইব্রাহীম মুন্সি, সাং- ভূইগড়, পোঃ কুতুবপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ কোনো বিষয়ে কাহারো সাথে কোন রফানামা দাখিল করে নাই, উক্ত মোকদ্দমার বাদী স্বপনকে তিনি চিনেন না এবং কোনদিন বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয় নাই। উক্ত মোকদ্দমা সম্পর্কে তিনি ও তাহার পরিবার বিন্দুমাত্র অবগত নহেন। দেওয়ানী মোকদ্দমা ২২০/২০১৯ নং এর দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৮৯(ক) বিধান মতে বিজ্ঞ আদালতের মধ্যস্থতায় বাদী স্বপন ও ১নং বিবাদী জালাল উদ্দিন এর জাল রফানামার ১ম পাতায় মোঃ জালাল উদ্দিন এর স্থলে মোঃ জলাল উদ্দিন এবং ৩য় পাতায় মোঃ জালাল উদ্দিন নামে ১নং বিবাদীপক্ষ কখনও স্বাক্ষর করে নাই। ২৯/১০/২০২০ ইং তারিখের অনেক পূর্ব হইতে প্রকৃত মোঃ জালাল উদ্দিন স্বাক্ষর করিতে পারে না, জাতীয় পরিচয়পত্রে তাহার করা স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, ফিরিস্তি করিয়া বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিয়াছেন।

কতিপয় ভূমি জালিয়াত চক্র তাহার নামে জাল স্বাক্ষর করিয়া NID ও ছবি বিহীন ভূয়া জাল রফানামা তৈরী করিয়া তাহার স্থলে ভূয়া ব্যক্তিকে মোঃ জালাল উদ্দিন পরিচয়ে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করাইয়া বিজ্ঞ আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারীগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়া বিজ্ঞ বিচারক মহোদায় এর সমানে ভূয়া পরিচয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়া মোঃ জালাল উদ্দিনের খরিদা রেজিষ্ট্রিকৃত সাফ কবলা ৬৮১০ নং দলিল বাতিল ও রায় ডিক্রী হাসিল করিয়াছেন। মোঃ জালাল উদ্দিন বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তায় দেওয়নী ২২০/২০১৯ নং মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রী বাতিল ও প্রতিকার চেয়ে এই জবানবন্দীতে অসুস্থ্যতার কারণে স্বাক্ষর করিতে না পারায় ব-কলমে টিপ সহি প্রদান করেছেন এবং মোঃ জালাল উদ্দিনের স্ত্রী নিঃ বঃ আফরোজা আক্তার স্বাক্ষার প্রদান করিয়াছেন। ২২০/২০১৯ নং মোকদ্দমার বাদীপক্ষ অত্যন্ত দূর্দান্ত, সাঙ্গপাঙ্গ, দাঙ্গাবাজ, পরবিত্তলোভী লোক, কারণে অকারণে বিভিন্ন প্রকার মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করিয়া অপরের সম্পত্তি আত্মসাৎ করাই তাহাদের পেশা।

যেহেতু প্রতিপক্ষ কদাপিও নালিশা ভূমিতে মালিকানা অর্জন করে নাই। মালিকানা বিহীন অবস্থায় প্রতিপক্ষ কোন প্রতিকার পাইতে পারে না বিধায় বিজ্ঞ নিম্ম আদালতের বিগত ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখের আদেশ রদ ও রহিত যোগ্য হয় বটে। যেহেতু বিজ্ঞ নিম্ম আদালত Mandatory Provision of law of Mutation and separation এর নীতিমালা অনুসরণ না করিয়া উক্তরূপ আদেশ প্রদান করিয়াছেন। সেহেতু, উক্ত তর্কিত আদেশ রদ ও রহিত হইবে।

নিন্ম আদালত মৌখিক বক্তব্য না শুনিয়া আত্মপক্ষ সমত্থর্নের সুযোগ না দিয়া সরজমিন দখল যাচাই পরিদর্শন না করিয়া বিজ্ঞ আদালতের ৫ দিনের কারন দর্শানোর নোটিশের কোন জবাব না দিয়া বিজ্ঞ উচ্চ আদালতের যথা যথ আদেশ অনুসরণ না করিয়া বাদী পক্ষের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধভাবে বাদী পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হইয়া বিগত ২৯/০৮/২০২২ তারিখে ২নং বিবাদী/আপীলকারীর এস.এস ৪৮৭ আর.এস ১১৫৩ দাগের ১৫ শতাংশ সম্পত্তি ২১০০১/১২-১৩ নং নামজারী, ৬নং বিবাদী/আপীলকারীর এস.এ ৪৮৭, আর.এস ১১৫৩ দাগের ০.০৩৭৫ শতাংশ সম্পত্তির ২১০০৩/১২-১৩ নং নামজারী এবং ৭নং বিবাদী আপীলকারীর এস.এ ৪৮৭, আর.এস ১১৫৩ দাগের ০.০২২৫ শতাংশ সম্পত্তির ২০৯৯৯/১২-১৩ নং নামজারী জমাভাগ বাতিল পূর্বক নালিশা ভূমি মূল জোতে ফেরৎ নেওয়ার সে আদেশ প্রদান করিয়াছেন তাহা বে-আইনী  বিধায় অত্র আপীল মঞ্জুর পূর্বক বিজ্ঞ নিম্ম আদালতের বিগত ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখের আদেশ রদ ও রহিত পূর্বক বিবাদী/আপীলকারী পক্ষের পূববর্তীর নামীয় ২১০০১/১২-১৩, ২১০০৩/১২-১৩ এবং ২০৯৯৯/১২-১৩ নং নামজারী জমাভাগ বহাল করিবার আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক।

উপরোক্ত যাবতীয় অবস্থা ও কারণাধীনে বিজ্ঞ হুজুরদালতে আপীলকারী পক্ষ নিম্ম বর্ণিত যুক্তিসমূহের ভিত্তিতে বিনীত ভাবে প্রার্থনা করিতেছি যে, অত্র মিস আপীল মোকদ্দমা গ্রহণ করার আদেশ দানে, বিজ্ঞ নিম্ম আদালতের নথী তলবের আদেশ দানে, প্রতিপক্ষের প্রতি নোটিশ জারীর আদেশ দানে ও শুনানীর তারিখ ধার্য্য করে উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে অত্র মিস আপীল মোকদ্দমা গ্রহণ করতঃ বিজ্ঞ নিম্ম আদালতের মিছ ৩৭/২০২১ নং মোকদ্দমায় বিগত ২৯/০৮/২০২২ ইং তারিখের প্রদত্ত আদেশ রদ ও রহিত ক্রমে অত্র আপীলকারীর নামীয় ২১০০১/১২-১৩, ২১০০৩/১২-১৩ এবং ২০৯৯৯/১২-১৩ নং নামজারী জমাভাগ বহাল পূর্বক আপীলকারীর নামে খাজনা গ্রহনের আদেশ দানে সুবিচার করিতে আজ্ঞা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + fifteen =