হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে মিনি পতিতালয় গড়ে উঠেছে। আর এসব ব্যবসায়ী প্রবাসীর স্ত্রীর পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ছে। গত বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএমসহ একদল পুলিশ বেশ কয়েকটি হোটেলে সাড়াশি অভিযান চালান। এ সময় শাপলা হোটেলের ১০৯ নং ও বন্ধন হোটেলের ১০৪ নম্বর রুম থেকে ম্যানেজারসহ ৩ খদ্দর ও ২ কলগার্লকে আটক করা হয়। আটক কিতোরা হলো, লাখাই উপজেলার করাব গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র খদ্দর সাবেক আনসার সদস্য জানু মিয়া (৩০) বানিয়াচং উপজেলার পৈলারকান্দি গ্রামের বাতির মিয়ার পুত্র প্রবাসী হেলিম মিয়া (২৫) সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ছাহেব আলীর পুত্র বন্ধন, হোটেলের ম্যানেজার হিরণ মিয়া (৩৫) মাধবপুর উপজেলার কাওরা গ্রামের বজলু মিয়ার কন্যা কলগার্ল ফারজানা (২৫) ও নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামের আব্দুল জলিলের কন্যা কলেজ ছাত্রী সামসুন্নাহার (২০) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জানান,
দীর্ঘদিন ধরে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজশে বিভিন্ন নারীদেরকে এনে এসব হোটেলে দেহ ব্যবসাসহ মানবপাচার করে আসছে। সম্প্রতি হোটেল রেজা থেকে এক নারী লাশও উদ্ধার করা হয়।
এরপর থেকে পুলিশ এসব হোটেলগুলোকে নজরদারিতে রেখে অনুসন্ধান শুরু করে। এ ঘটনায় এসআই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ আরও জানায়, হোটেল মালিক মুহিবুর রহমানকে ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।