এ প্রশ্নে এক প্রস্তাবে বলা হয়, রাষ্ট্রে বা সমাজে গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য অপসৃত হয়েছে। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার লালসায় গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখে এমন সকল প্রতিষ্ঠানকে সরকার পরিকল্পনা মাফিক ধ্বংস করেছে। ফলে ভোটার বিহীন ভোট হয়েছে, রাতে ভোট হয়েছে কিন্তু সরকার ন্যূনতম লজ্জায় আক্রান্ত হয়নি। বরং নির্বাচন কমিশনের সার্টিফেট নিয়ে সরকার প্রতিনিয়ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত বলে রাতের ভোটকেই ন্যায্যতা প্রদানের অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন কমিশন অতীতের মতোই নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আজ্ঞাবাহী একটা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সরকারের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। এটা সংবিধানিক চেতনা থেকে সরকারের বিচ্যুত হওয়ার ফসল। নির্বাচনকে সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের উপায় হিসেবে না দেখে, ক্ষমতা ধরে রাখার উপায় হিসেবে বিবেচনা করে মাত্র।
‘জাতীয় সরকার’ ব্যাতিরেকে দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনক্রমেই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না
তাই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জনস্বার্থ বিরোধী অর্থহীন একটা ফটোশেসন করা কোনক্রমেই ন্যায়সংগত বা সমীচীন হবে না।
সভায় নির্বাচন কমিশনকে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে আলোচনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত অবহিত করার লক্ষ্যে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
উত্তরাস্ত বাসভবনে অনুষ্ঠিত স্হায়ী কমিটির সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনীতির প্রশ্নে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, তানিয়া রব, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, এডভোকেট কে এম জাবির,ডা. জবিউল হোসেন ও কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।