প্রতারণা বাণিজ্যে চ্যম্পিয়ান কবিরাজ , মাইনুউদ্দিনের প্রতারণার ফাঁদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

0
527

বাঞ্ছারামপুর থানা হোগলাকান্দি গ্রামের প্রতারণা বাণিজ্যের চ্যাম্পিয়ন ভন্ড প্রতারক মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসী। গোপন সূত্রে জানা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে আসার পর মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছে চিকিৎসার জন্য এসেছিলো। এমন আশ্চর্যজনক কথা শুনে স্থানীয়রা বলাবলি করছেন মাইনুদ্দিনের প্রতারণার ফাঁদ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রক্ষা পাইনি। গোপন সূত্রে প্রতিবেদকের কাছে তথ্য এসেছে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাঠের চশমা পড়িয়ে পুনরায় প্রতারণা ব্যবসা চলমান রেখেছেন।

হাবিব সরকার স্বাধীন: বাঞ্ছারামপুর থানার ১০ নং রুপসদি ইউনিয়ন হোগলাকান্দি গ্রামের  ভন্ড প্রতারক মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ সংবাদকর্মীকে হুমকি দেওয়ার নানান অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়। কখনো নৌকার মাঝি, কখনো কৃষক, মাঝে মাঝে পরিচয় দেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদ অবাক কান্ড। ইতিমধ্যে এলাকাবাসী বলাবলি করছেন মাইনুদ্দিন প্রমান করেছে টাকা থাকলে সবই সম্ভব। এখন তিনি কামরুকখা থেকে বিদ্যা শিখে এসেছেন তার বাহিনী দিয়ে এমনটাই এলাকার রটাচ্ছেন, মস্ত বড়ক্ষণকার পরিচিত যার নেই কোন সার্টিফিকেট। অদ্ভুত শিক্ষিত সমাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাঠের চশমা পড়তে সময় লাগছে না মাইনুদ্দিন খনকার এর। এলাকা প্রকাশ্যে বসে চালাচ্ছেন রমরমা  বাণিজ্য। বাঞ্ছারামপুর নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি সাথে ফোনে মাইনুদ্দীনের কুকর্ম ও প্রতারণা বিষয়ে আলোচনা হলে পরিস্থিতি খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। আলাদিনের গল্প হার মেনেছে। বাঞ্ছারামপুর থানার মাইনুদ্দিন নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ঝাড় ফুঁক, তাবিজ কবজ, আয়না দর্পন ও জ্বীনের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় হোগলা কান্দি  গ্রামে  নামক স্থানে তার বসত ওখানে গড়ে তুলেছে এক বিশাল সাম্রাজ্য। ওই কবিরাজ নামধারী ভন্ড ব্যক্তি বাংলা ইংরেজি আরবি কোন লেখাপড়ায় সে জানে না। দীর্ঘদিন ধরে সমাজের সহজ সরল মানুষেরা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে তাদের কষ্টার্জিত সর্বস্ব খোয়াচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ  আছে। এসকল মিথ্যা তথ্যে আর ভন্ডামিতে সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে কলহ বিবাদ, তৈরি হচ্ছে শত্রুতা।

আর এই শত্রুতা থেকে সংগঠিত হয় মামলা ও হামলার মতো জঘন্য অপরাধ। তাছাড়া এই ভন্ড কবিরাজ প্রতারক নিজেকে সক্রিয় রাখতে সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদেরকে কৌশলে ব্যবহার করে প্রতারণার কাজে কোথাও বাধাগ্রস্থ হলে প্রতিপক্ষকে তাদের অনুসারীদের দিয়ে হুমকি ও মামলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন।

প্রশাসনিক তৎপরতা কম থাকায় এই ভন্ড কবিরাজের দুর্বি সন্ধি কার্যক্রম মানুষ ঠকানো চাঁদাবাজি করতে সহজ হয় ইতিমধ্যেই সে অত্র অঞ্চলে ৩/৪ টি বাড়ির মালিক অথচ ১২ বছর আগে সে নৌকার চালাতেন মাঝে মাঝে কৃষকের  কাজ করে জীবন চালাত। সরজমিন অনুসন্ধানে  দেখা গেছে,  মো: রিয়াজুল ইসলাম পিতা মো: আবুল মোল্লা গ্রাম  মরিচাকান্দি। তার কাছ থেকে নগদ ৬১ হাজার টাকা নিয়েছে যে তার রক্তে জ্বীনের আছর করেছে সে ছয় মাসের ভিতর মারা যাবে এই বলে, কিন্তু কোন ফল পাইনি। আকলিমা খাতুন স্বামী আসলাম প্রবাসী, বাঞ্ছারামপুর।

হোগলাকান্দি গ্রামে রয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী ইজ্জতের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। এমনই অজস্র অভিযোগ রয়েছেন মাইনুদ্দিন খনকারের  বিরুদ্ধে। তারাকান্দি আলতাফ বউ চলে আসবে বলে ৩ হাজার টাকা নিয়েছে সে এখন বলছে আমার কোনই কাজ হয়নি। 

প্রতিবেদক কে বলেন এই ভন্ড কবিরাজ আমার ফুফুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে এর বাড়ি ভিতরে গোপন আস্তানা আছে সেখানে সে অল্প বয়সী মহিলাদেরকে উলঙ্গ করে গোসল করায় শুধু তাই নয় সে বাঘের চামড়া, হরিণের চামড়া, বাঘের দুধ, পতিতা মেয়েদের কবরের হাড্ডি, সিঁদুর এ ধরনের অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিস দিয়ে তাবিজ দিবে বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।

এভাবে সুচিকিৎসা দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহজ সরল নারী পুরুষদের বোকা বানিয়ে প্রবাসী চাকরি, বিয়ে, জায়গা জমি সংক্রান্ত সমস্যা, স্বামী-স্ত্রীর কলহ, হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, প্রেম ভালোবাসা মুখ দেখে বলে দিতে পারে সব কিছু সহ নানা সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে ইতিমধ্য সে অনেকের কাছ থেকেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এছাড়াও নকল করা, শরীরে জ্বীন ধারণ, উপকারী গাছ ব্যবহার করে, তাবিজ কবজের বই সামনে রাখা, আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলা, শনিবার ও মঙ্গলবার দিন ধার্য্য করা, ফুঁক দিয়ে কেমিক্যালের মাধ্যমে কাগজ জ্বালানো ও হাড়ি ফোটানো, হাত ও চোখ দেখেই কালো জাদু বা তদবির বানিজ্যের  মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে আসছে।

প্রথমে কালো জাদু কাঁটা, বাড়ী থেকে তদরির তোলা প্রভৃতি ভয় দেখিয়ে অগ্রিম টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে ভন্ড কবিরাজ মাইন উদ্দিন খনকার  সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি নিজে কোন লেখাপড়া জানিনা নিজের নাম সই করতে পারিনা সবকিছুই আমার জ্বীনে করে। লাইসেন্সের বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে আমাদের কোন লাইসেন্স লাগে না।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় তাকে চাঁদা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সে অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এ বিষয়ে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চায়, এই ভন্ড কবিরাজ ও এলাকার বেশ কিছু পাতি নেতা ও মাস্তানদের কার সাজিতে গড়ে ওঠা এই বিশাল চাঁদাবাজির মহাউৎসব এর হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one + eight =