ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার এস আই শামীম রেজা গং এর বিরুদ্ধে দাপট, শ্লীলতাহানি, চাঁদাবাজি ওমিথ্যা মামলা

0
457

স্টাফ রিপোর্টার:

ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার এস আই শামীম রেজা, কং রবিউল ইসলাম ও একজনপুলিশের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আসমা আক্তার সুমা নামে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত এক নারীকে আটক করে শ্লীলনাহানিসহ মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১২ ই মে দিবাগত রাত্রে আনুমানিক রাত ১০:১৫ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী আসমা ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত অবস্থায় আনোয়ার এর স্ত্রীর নিকট পাওনা সাত হাজার টাকার জন্য কাজলার পাড় আনোয়ার এর ২য় তলার বাসায় প্রবেশ করে। সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা যাত্রাবাড়ী থানার এস আই শামীম রেজা, কং রবিউল ইসলাম সহ একজন পুলিশ এবং ডেঙ্গু রতন নামে একজন সোর্স নিয়ে   নোয়ার এর বাসায় প্রবেশ করে। এসআই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমাকে আনোয়ার এর বাসায় দেখামাত্র ভুক্তভোগী আসমার দেহে মাদক আছে বলে নানারকম ভয়-ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী আসমা এস আই শামীমকে উদ্দেশ্য করে ভুক্তভোগী আসমার দেহে মাদক নেই বলে বলে অবগত করে। ভুক্তভোগী আসমার কথা বিশ^াস না করে এস আই শামীম এর নির্দেশে কং রবিউল ইসলাম সহ একজন পুলিশ এবং সোর্স ডেঙ্গু রতন মাদক উদ্বারের নামে তল্লাশির নাটক করে ভুক্তভোগী আসমার দেহের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত প্রদান করে ভুক্তভোগী আসমাকে নগ্ন করার চেষ্টা করে।ভুক্তভোগী আসমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এস আই শামীমকে ভুক্তভোগী আসমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার দুইজন ফোর্স এবং সোর্স ডেঙ্গু রতন এর নষ্টামীর ব্যপারে অবগত করলে উল্টো এস আই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক কোথায় রেখেছিস বলে হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগী আসমার দেহে তল্লাশির নাটক করে মাদক না পেয়ে মাদক বিক্রির টাকা বলে ডেঙ্গু রতন ভুক্তভোগী আসমার নিকট হতে গচ্ছিত আঠারো হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে এস আই শামীম রেজাসহ তার ফোর্স এবং সোর্স ডেঙ্গু রতন আনোয়ার এর বাসা হতে তল্লাশি করে সাদা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পঞ্চাশ পিস ইয়াবা নামক মাদক উদ্ধার করে এস আই শামীম উক্ত মাদক ভুক্তভোগী আসমার বলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। উক্ত মাদক ভুক্তভোগী আসমার নয় বলে ভুক্তভোগী আসমা জোর গলায় এস আই শামীম রেজার সাথে প্রতিবাদ করলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী আনোয়ারকে তার নিজ বাসা হতে পঞ্চাশ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে কোন এক রহস্যজনক কারণে কিছুক্ষণ পর এস আই শামীম রেজা আনোয়ারকে তার নিজ বাসা হতে জামাই আদরে ছেড়ে দেয়। অপরদিকে আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে এসআই শামীম রেজার নির্দেশে যাত্রাবাড়ী থানার কং রবিউল ইসলাম সহ একজন পুলিশ এবং সোর্স ডেঙ্গু রতন মোঃ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য আনোয়ারের বাসা হতে বের হয়। অন্যদিকে আনোয়ার এবং আনোয়ার এর স্ত্রী শরীফার সহযোগিতায় এস আই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমার সাথে আনোয়ার এর নিজ বাসায় চরম অমানবিক ও আপত্তিকর আচরন করে। শহীদকে কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মাদক তল্লাশি  করে মাদক না পেয়ে বিনা অপরাধে কং রবিউল ইসলাম সহ একজন পুলিশ এবং সোর্স ডেঙ্গু রতন গ্রেফতার করে আনুমানিক রাত ১১:১০ ঘটিকার সময় আনোয়ারের বাসায় প্রবেশ করে। এস আই শামীম রেজার নির্দেশে ডেঙ্গু রতন শহীদকে মারধর করে মুক্তিপণ বাবদ দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। শহীদ দশ হাজার টাকা চাঁদা দিতে রাজী না হলে এস আই শামীম রেজার নির্দেশে আনুমানিক রাত ১১:২৫ ঘটিকার সময় আনোয়ারের বাসা হতে ভুক্তভোগী আসমাকে এবং শহীদকে সিএনজি যোগে যাত্রাবাড়ী থানাধীন শাকপট্টি এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী থানার একজন পুলিশ সিএনজিতে বসিয়ে ভুক্তভোগী আসমাকে শ্লীলতাহানি করতে করতে শাকপট্টি এলাকায় নিয়ে যায়। এস আই শামীম রেজা শাকপট্টি এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী আসমার মুক্তিপণ বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। ভুক্তভোগী আসমা চাঁদা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে ভুক্তভোগী আসমা কে ভয় ভীতিসহ মিথ্যে বড় মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এমনকি এস আই শামীম রেজার নির্দেশে সোর্স ডেঙ্গু রতন ভুক্তভোগী আসমাকে গভীর রাতে নির্জন স্থানে নিয়ে তার জিম্মায় ভুক্তভোগী আসমাকে ছেড়ে দিবে বলে কুপ্রস্তাব প্রদান করে। ভুক্তভোগী আসমা ডেঙ্গু রতন এর কুপ্রস্তাব ঘৃণার সাথে প্রত্যাখান করে ভুক্তভোগী আসমা সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত দেহ নিয়ে অসহায়ের মতো কাঁদতে থাকে। এছাড়া সোর্স ডেঙ্গু রতন মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইকারী সহ অনেক অপরাধের সাথে জড়িত। সোর্স ডেঙ্গু রতনের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা সহ দুইটি মাদক মামলা রয়েছে। মামলা নং – ৬০ তাং – ১৩/১/২০২১ইং, মামলা নং – ৫৪ তাং ৮/৮/২০২২ইং , মামলা নং – ১৩৪, তাং – ২৮/০৫/২০১৯ইং। অন্যদিকে শহীদ দশ হাজার টাকা মুক্তিপণ বাবদ দিতে না পারলে তাকে আবারও এস আই শামীম রেজার নির্দেশে ডেঙ্গু রতন চরমভাবে মারধর করে। অবশেষে এস আই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমাকে এবং শহীদকে আনুমানিক ১:১৫ ঘটিকার সময় সিএনজি যোগে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে ভুক্তভোগী আসমাকে পূর্বের ন্যায় একই কায়দায় যাত্রাবাড়ী থানার একজন পুলিশ শ্লীলতাহানি করতে করতে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। শহীদ এস আই শামীম রেজার চাহিদাকৃত দশ হাজার দিতে ব্যর্থ হলে আনোয়ারের বাসা হতে উদ্ধার করা পঞ্চাশ পিস ইয়াবার সাথে দুই পিস ইয়াবা যোগ করে মোট বায়ান্ন পিস ইয়াবা দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগী আসমাকে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যাওয়ার পর এস আই শামীম রেজা ও সোর্স ডেঙ্গু রতন পঞ্চাশ হাজার টাকা  ভুক্তভোগী আসমার মুক্তিপণ বাবদ দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী আসমাকে চরমভাবে মানসিক নির্যাতন করে। অন্যথায় ভুক্তভোগী আসমাকে মিথ্যে বড় মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী আসমা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এস আই শামীম রেজাকে ভুক্তভোগী আসমা অনেক অনুনয় বিনয় করে হাতে পায়ে ধরে ভুক্তভোগী আসমাকে বিনা অপরাধে মাদক মামলা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। অতঃপর যাত্রাবাড়ী থানায় তম্ময় নামে একজন সংবাদকর্মী ভুক্তভোগী আসমার করুণ অবস্থা উপলব্ধি করে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে ভুক্তভোগী আসমার মুক্তিপণ বাবদ তেরো হাজার সাতশত টাকা এস আই শামৗম রেজার হাতে প্রদান করে এবং শহীদুল ইসলাম রাজু নামে একজন সংবাদকর্মী ভুক্তভোগী আসমা সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত¡া বলে ভুক্তভোগী আসমাকে দ্রত ছেড়ে দেওয়ার জন্য এস আই শামীম রেজাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করে। ভুক্তভোগী আসমা আরো ছয় হাজার টাকা ভুক্তভোগী আসমার লোকের মাধ্যমে যাত্রাবাড়ী থানায় এনে এস আই শামীম এর নির্দেশে সোর্স ডেঙ্গু রতনের হাতে প্রদান করে। মোট উনিশ হাজার সাতশত টাকা ভুক্তভোগী আসমার মুক্তিপণ বাবদ দেওয়ার পর আনুমানিক রাত ৩:৩০ ঘটিকার সময় এস আই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমার নিকট হতে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে বাকী চার হাজার টাকা পরে দেওয়ার শর্তে ভুক্তভোগী আসমার এলাকার স্থানীয় ডালিম নামে একজন ব্যক্তির জিম্মায় এস আই শামীম রেজার নির্দেশে যাত্রাবাড়ী থানা হতে মুক্তি লাভ করে। ভুক্তভোগী আসমা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানায় যে, বাকী চার হাজার টাকা দেওয়ার জন্য এস আই শামীম রেজার নির্দেশে গত ১৩ই মে হইতে গত ১৭ই মে তারিখ পর্যন্ত ভুক্তভোগী আসমাসহ ভুক্তভোগী আসমার জিম্মাদার ডালিমকে আনোয়ার এবং তার স্ত্রী শরীফা ০১৯২৮-২২৭৭৩৮, ০১৭৭৮-৬০৪৮০৭, ০১৯৬২-১৩৯৩০৯ উল্লেখিত নম্বর হতে ভুক্তভোগী আসমার ব্যক্তিগত নম্বর ০১৩২৪-৯৩৯৯৪০ এবং ভুক্তভোগী আসমার জিম্মাদার ডালিমের ব্যক্তিগত ০১৯৫৫-২১৯৩৩৫ নম্বরে নক করে মোবাইল কলের মাধ্যমে নানারকম ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। এমনকি আনোয়ার ভুক্তভোগী আসমাকে মোবাইল কলের মাধ্যমে বাকী চার হাজার টাকা না দিলে ভুক্তভোগী আসমার বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে মিথ্যে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় বর্তমানে ভুক্তভোগী আসমা জানমালের চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আসমা জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করে যাত্রাবাড়ী থানার এস আই শামীম রেজা, কং রবিউল ইসলাম সহ একজন পুলিশের বিরুদ্ধে সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মহা পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটার্স, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সদর দপ্তর এবং উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ার বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করে। এ বিষয়ে এস আই শামীম রেজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মাদক পেয়েছি, মামলা দিয়েছি বলে সে জানায়। এ ব্যপারে বেশি বাড়াবাড়ি করলে এস আই শামীম রেজা ভুক্তভোগী আসমা আক্তার সহ একাধিক সাংবাদিককে নানারকম ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে আসছে। এছাড়া এস আই শামীম রেজার বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেন্ট দ্বারা গ্রেপ্তারপূর্বক মোটা অঙ্কের চাঁদা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + 7 =