চৌদ্দগ্রামে দোকান ঘর ও বসতবাড়ি জোরপূর্বক দখল করতে বাধা দেয়ায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

0
497

মো: খোরশেদ আলম চৌদ্দগ্রাম ( কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিরবাজার এলাকায়, চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত কালির বাজার (খালেক পেট্রোল পাম্প) সংলগ্ন উত্তর পাশে মোঃ শরিফ উদ্দিনের দলিল মূলে মালিক ও দখলীয় নিম্ন ভূমিতে অবস্থিত দোকান ঘরে এই ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযোগে জানা যায় গত বুধবার (২৪মে) রাত ১টা ৩০ ঘটিকায় আব্দুল আউয়াল (ওসমান) পিতা এরশাদ ড্রাইভার এর নেতৃত্বে, আলমগীর হোসেন পিতা: মাক্কু মিয়া, ছাবেদ আলী পিতা মৃত দুলাল ড্রাইভার সহ আরো ২৫/৩০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মিলে দোকান ঘরটি দখল করার চেষ্টা করে। তখন ওই মার্কেট এলাকায় দায়িত্বরত নাইটগার্ড ফজলুল হক,  আইয়ুব মিয়া, মোহাম্মদ রিমন ও মোহাম্মদ বশির বাধা দিতে গেলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয়া হয়। সন্ত্রাসীরা শরিফ উদ্দিনের দোকান ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। 

ইতোপূর্বে বৈদ্যেরখিল এলাকায় শরিফ উদ্দিনের বসতবাড়িতেও সন্ত্রাসীরা হামলা ও ভাঙচুর করে যাহা দৈনিক দিনকাল পত্রিকায় গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। ঐ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোহম্মদ শরীফ উদ্দিন ও তার পরিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শেখ শহিদুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগে জনা যায়, সন্ত্রাসীরা চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় মোহম্মদ শরীফ উদ্দিনের বৈদ্যরখিলে অবস্থিত বসতবাড়িতে লুটপাট, দখল এবং ভাঙচুরের ঘটনার সূত্র ধরে, রাতের অন্ধকারে তার দোকান ঘর ভাঙচুর এবং দোকনে রক্ষিত বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এই ব্যাপারে মোহম্মদ শরীফ উদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ করেন, যার নাম্বার (৯৫৩,২৫/১০/২০১১), (১১/০৮/২০১৩), (১৬৭৭/২৩, ০২/০৫/২০২৩) ,(১৯৮৫,২২/০৫/২০২৩)। এবং কোর্টে সি.আর ধারা নং : ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৪২৭/৩৭৯/৫০৬(২) দ: বি: ধারায় মামলা করেন। অভিযোগপত্রে আরও জানা যায়, উল্লিখিত বিবাদী বা সন্ত্রাসীদের সাথে পূর্ব হতেই মোহম্মদ শরীফ উদ্দীনের তফসিলভুক্ত চৌদ্দগ্রাম থানার রামচন্দ্রপুর মৌজার খতিয়ান নাম্বার ৪ এর ২১, ২২ ও ১৬ নং দাগের ৫ শতাংশ জমির ১/৩ অংশ জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বহু আগ থেকে বিরোধ চলে আসছে। 

ঘটনার দিন সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে আসিয়া  দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে ও পরস্পর যোগ সাজসে শোলা পরামর্শ করিয়া, শরিফ উদ্দিনের দোকানের টিনের বেড়া যুক্ত দোকান ঘরের উপর দা, শাবল, কুড়াল, ইত্যাদি দিয়া ভাঙচুর করে এবং দোকান ঘরে থাকা বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির মবিল, যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য মালামাল সহ  সর্বমোট তিন লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ঘটনার রাতেই শরিফ উদ্দিন সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া সন্ত্রাসীদের কে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হইয়া তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া জখম করিয়া থাকে এবং হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া কেটে থাকা নগদ আট হাজার টাকা নিয়া যায়। হাতে থাকা একটি মোবাইল আলমগীর হোসেন নিয়ে যার মূল্য হল ১২ হাজার টাকা ও হাতে থাকা একটি টস লাইট নিয়ে যাহার মূল্য এক হাজার টাকা। তখন চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের মোবাইল ডিউটিতে থাকা পুলিশের সহায়তায় শরিফ উদ্দিন প্রাণহানি  হতে রক্ষা পায় বলে জান ন। এবং সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনা ঘটাইয়া চলে যায়। শরিফ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা মারাত্মক উত্তেজনাকর অবস্থায় এলাকায় আছে । এরা আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে যে , তোরে জীবনের শেষ করে ফেলব। উল্লেখ্য যে , আব্দুল আউয়াল (ওসমান) পিতা মৃত এরশাদ  ড্রাইভার

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − 2 =