বাংলাদেশে হৃদয়ের একটি অংশ এদেশে রেখে যাচ্ছি

0
583

বাংলাদেশে আসার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ‘দিবু’ নামে পরিচিত অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক আজ ঘুরে গেলেন ঢাকা। ৩৮ ঘণ্টার লম্বা যাত্রা শেষে আজ ভোরে ঢাকায় পৌঁছান মার্তিনেজ। কিছুটা বিশ্রাম শেষে সকাল ৯টার দিকে যান বাড্ডার প্রগতি সরণিতে নেক্সট ভেঞ্চারের কার্যালয়ে। মার্তিনেজের ঢাকা সফরের ব্যবস্থা করেছে এ প্রতিষ্ঠান। ফান্ডেডনেক্সটের প্রধান সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ ও চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিব বিমানবন্দর থেকে মার্তিনেজকে নিয়ে যান বাড্ডায়।

তবে মার্তিনেজের প্রায় ১১ ঘণ্টার সফরটি ‘ঝটিকা সফর’ হয়েই রইল। দেখা হলো না বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সঙ্গে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর যেন এলেন আর গেলেন। তারপরও এই সামান্য সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও আতিথেয়তা পেয়ে মুগ্ধ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক।

আজ বিকেলে নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে দিবু জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে আবারও বাংলাদেশে আসতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও জার্সি উপহার, ভক্তদের অটোগ্রাফ ও বৃষ্টিভেজা ঢাকার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘নেক্সট ভেঞ্চার্স ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে অসাধারণ এক সফর করলাম বাংলাদেশে। এখানকার লোকেরা, তাদের ভালোবাসা, যত্ন, অতুলনীয় আতিথেয়তা সত্যি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। নিকট ভবিষ্যতে সুন্দর দেশটিতে আবারও যাওয়ার অধীর আগ্রহ রয়েছে।’

বাংলাদেশ সফরে আসার পেছনে যাঁদের সহায়তা পেয়েছেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দিবু, ‘আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আরও অগণিত ব্যক্তিকে। যাঁদের নাম আমি জানি না, তবে তাঁদের প্রচেষ্টাও অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। আপনারা সবাই এই বিশেষ বন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন।’

শুরুতে কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল মার্তিনেজের। তবে বাংলাদেশের সমর্থকদের দেখার আগ্রহ থেকে ঢাকা সফরের মনস্থির করেন। ঢাকা থেকে তিনি গেছেন কলকাতা। তবে হৃদয়ের এক টুকরে রেখে গেলেন বাংলাদেশেও। বাংলাদেশি সমর্থকদের দেওয়া ‘বাজপাখি’ উপাধিতে মুগ্ধ হয়ে মার্তিনেজ লিখেছেন, ‘আমার পরবর্তী সফর পর্যন্ত, আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি। রেখে যাচ্ছি আমার হৃদয়ের এক টুকরো। আমি মুগ্ধ হয়েছি চিরকাল বাংলাদেশের বাজপাখি হয়ে।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × one =