সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় গর্তে পড়ে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তার নাম আক্তার হোসেন (১৬)। সে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুননুর মিয়ার ছেলে। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনে মতো আজ শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের ইয়াবা কালাম মিয়া, লাকমা গ্রামের রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, দুধেরআউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট, লাকমা ও টেকেরঘাট সীমান্তের টেকেরঘাট স্কুল এন্ড কলেজ ও চুনাপাথর খুুনি প্রকল্প এলাকা দিয়ে শিশু-কিশোরসহ শতাধিক শ্রমিককে অবৈধ ভাবে ভারতে পাঠায় কয়লা ও মাদক পাচাঁরের জন্য।
এমতাবস্থায় দুপুর ১২টায় লাকমা ছড়ার উত্তরে অবস্থিত চোরাই কয়লার গুহা থেকে চোরাই কয়লা প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি করে নিয়ে আসার সময় গর্তে পড়ে যায় কিশোর আক্তার হোসেন। পরে সব শ্রমিকরা হৈচৈ শুরু করে এবং ওই কিশোরকে উদ্ধারের জন্য দিকবেদিক ছুটতে থাকে। এরপর ঘন্টাখানেক চেষ্টার পর ভারতের গর্তের ভিতর থেকে কিশোর আক্তার হোসেনের মৃত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এঘটনার খবর পেয়ে টেকেরঘাট ফাঁড়ি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ধন মিয়া বলেন- গডফাদার হাবিব সারোয়ার তোতলা আজাদ সোর্স দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের পর পাচাঁরকৃত প্রতি নৌকা কয়লা (২০-৩০ মেঃটন) থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নামে ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে। তাদের কারণে এই সীমান্তে চোরাচালান করতে গিয়ে এপর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে চোরাকারবারীদেও গডফাদার ও তার সোর্সদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।
এব্যাপারে জানতে বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ রিসিভ করেনি। টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই শফিকুল ইসলাম বলেন- মৃত কিশোরের লাশ বাংলাদেশে আনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের ছুরতহাল রির্পোট তৈরি করেছে। এব্যাপারে আইনগত পক্রিয়া চলছে।