ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতার নিজের অপরাধ ঢাকতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা 

0
353

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দ্রুতবিচার আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বাকলিয়া কালামিয়া বাজার বড় বাড়ির বাসিন্দা ইয়াসিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাতের সাম্প্রতিক সময়ে এক ঘটনা বেশ আলোচিত হয়েছে। 

সম্প্রতি ইয়াসিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাত নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ পরিচয়ে  দেওয়ান বাজার মদিনা মসজিদ লেনের ছিদ্দিক কলোনির বাসিন্দা সুখি বেগম (২৭) ও মো. রেজাউল দম্পতির বাসায় ঢুকে  বিয়ের কাবিননামা’ চাওয়া ও মারধরের অপরাধ 

ঢাকতে বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক, সহকারী উপ পরিদর্শক (এ এসআই) মোশারফ ও ঐ দম্পতি সুখি বেগম  ও স্বামী মো. রেজাউল করিম বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নালিশী মামলা করেছেন।  মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশি অভিযান নিয়ে এ ধরনের মামলায় সচরাচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে বিবাদী করা হলেও আলোচ্য মামলায় সেটা করা হয়নি। তাছাড়া আর্জিতে ঘটনার সাক্ষী হিসেবে যাদের নাম রাখা হয়েছে তাদের বিস্তারিত ঠিকানাও উল্লেখ নেই।

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশী মামলার সূত্রপাত,  গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ইয়াছিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাত আরও ৭/৮ জন সহযোগীসহ চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ান বাজার পশ্চিম বাকলিয়া  মদিনা মসজিদ লেনের ছিদ্দিক কলোনিতে জুলাই মাসে ভাড়া নিয়ে বসবাসরত  সুখি বেগম ও রেজাউল করিম দম্পতির বাসায় যান। সেই সময় ইয়াছিন বিন ফয়সাল নিজেকে প্রশাসনের লোক ও ছাত্রলীগ দাবী করে সুখি বেগম ও রেজাউল করিম দম্পতির বিয়ের কাবিন নামা দেখতে চান ও নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন।  কাবিননামা দিতে দেরি হলে 

ইয়াছিন বিন ফয়সাল ও ঐ দম্পতির ঘরে থাকা তার ৪ সহযোগী সুখি বেগমকে টানা হেঁচড়া করে জোড়  পূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সুখি বেগম বিষয়টি মোবাইলে তার আত্মীয়-স্বজনদের জানাতে চাইলে ইয়াছিন উত্তেজিত হয়ে তাকে চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মেরে মুখের উভয়পাশে রক্তাক্ত জখম করে সুখি বেগমের দুটি মোবাইল সেট নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল দুটি ইয়াছিন তার সহযোগী শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা জনৈক মো. হিরন (২২) ও কালামিয়া বাজার বড় বাড়ির বাসিন্দা মো. আরাফাত (১৮) কে দিয়ে কলোনিতে পাঠিয়ে দেন। কেয়াটেকারের সহায়তায় সুখি বেগম মোবাইল  দুটি নিয়ে দু’জনকে আটক করে টহল ডিউটিরত এএসআই মোশারফ হোসেনকে সংবাদ দেন। জাতীয় জরুরী সেবার মাধ্যমে কল পেয়ে এসআই রবিউল হক ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম সুখি বেগমকে চিকিৎসার জন্য তার স্বামীর মাধ্যমে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং আটক দু’জনকে নিয়ে থানায় হাজির হন। থানায় বিস্তারিত অবগত হওয়ার পর ওসি নিজেই ঘটনার মূল হোতা ইয়াছিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তারের জন্য এসআই রবিউল হককে নির্দেশ প্রদান করেন। ভিকটিম সুখি বেগম মামলা করতে রাজি না হওয়ার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান না হওয়ায় হিরন ও আরাফাতকে মুচলেকা ও জিম্মানামা সম্পাদন করে আত্মীয় স্বজনের জিম্মায় দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতে এসআই রবিউল হক স্থানীয় পাঁচ-ছয়জন লোকসহ ইয়াসিন বিন ফয়সালের বাসায় গিয়ে তার খোঁজ নেন। এসময় তার মা সিতারা বেগম ছেলের সাথে যোগাযোগ নেই এবং বাড়ি ঘরে আসে না বলে পুলিশকে জানান। এরপর এসআই রবিউল ইয়াসিনের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নোট করে নির্ধারিত নৈশ ডিউটিতে নিয়োজিত হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উক্ত ইয়াসিন বিন ফয়সাল বাকলিয়া থানার অফিসার ফোর্সের সম্মানহানী করার উদ্দেশে কাল্পনিক কথাবার্তা ও সাক্ষী সাজিয়ে নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৯ সালে মাদক আইন ও দ্রতবিচার আইনে পৃথক দুটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়। দুটি মামলাতেই তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নালিশী মামলার বাদী ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাত মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, আমি যেহেতু ছাত্রলীগের দায়িত্ব আছি তাই এলাকার কিছু মুরবী আমাকে এই কলনীতে দেহ ব্যবসা চলে এই মর্মে সংবাদ দিলে আমি ও আমার কয়েকজন ভাই ব্রাদার ও পুলিশ নিয়ে ঐ মহিলার বাসায় যায় ১৭ জুলাই এবং তাকে হাতেনাতে ধরি। পুলিশ সদস্যরা জিজ্ঞাবাদ করা কালীন সময়ে আমার দাওয়াত থাকায় ছোট ভাইদের রেখে চলে যায়। রাতে আমি জানতে পারি পুলিশ সদস্যরা আমার  ছোট ভাই হিরনকে  থানায় নিয়ে ২০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। হিরনের কাছে প্রতিবেদক থানায় আর্থিক লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন ও এই ধরেন কোন লেনদেন হয়নি বলে মুঠোফোনে জানান। 

 ইয়াছিন বিন ফয়সাল আরো জানান দুই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মার কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে আর যা করেছেন তার সিসিটিভি ফুটেজসহ সমস্ত তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। প্রতিবেদক টাকা চাওয়ার ফুটেজ চাইলে তিনি প্রতিবেদকের হোয়াটঅ্যাপ নাম্বারে পাঠাবেন‌ বলে প্রায় ২ ঘন্টা পর প্রতিবেদকের হোয়াটঅ্যাপ নাম্বারে একটি টেক্স পাঠিয়ে জানান মৌখিক চেয়েছে এটার ফুটেজ নেই। পুলিশকে দেয়া পঞ্চাশ হাজার টাকার কোন এভিটেন্স আমাদের প্রতিবেদককে দিতে পারেনি  তিনি ঐ দিন দুই পুলিশ কর্মকর্তা  মহিলার কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেন। তার কোনসুনিদিষ্ট তথ্য উপাত্ত দিতে পারেননি। সুখী বেগম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।

 মামলার বিষয়ে জানান তিনি আদালত তো পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এমনি এমনি অভিযোগ আমলে নেন না। তদন্তে সত্যমিথ্যা সব বেরিয়ে আসবে। আসলে এ ধরনের গুটিকয়েক পুলিশ অফিসারের জন্য বাহিনীর এবং সরকারের বদনাম হচ্ছে। নিজের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মহসিন কলেজের ছাত্র রাজনীতি করি। বর্তমানে আমি ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এজন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা হয়েছে। সেগুলো রাজনৈতিক মামলা। এর মধ্যে  আমি একটি মামলায় খালাসের নোটিশ হাতে পেয়েছি।

এদিকে ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাতের কাছে কাবিন নামা চাওয়া বিষয়টি জানতে চাইলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমি কি প্রশাসনের লোক কাবিন নামা চাইব। খারাপ মহিলার আবার কিসের কাবিন নামা। 

 সেইদিনের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , ইয়াসিন বিন ফয়সাল ওরফে ইয়াছিন আরাফাত ও ৮/১০ যুবক সুখি বেগমের বাসায় এসে নানা কথা বলেন একপর্যায়ে শোরগোলের মাঝে আমরা সুখি বেগমের বাসায় গেলে দেখতে পায় ইয়াছিনসহ ৭/৮ যুবক সুখি বেগমের কাছে কাবিন নামা চাচ্ছে ও নানা কথা বার্তা বলে তাকে মারধর করছে। একপর্যায়ে  তারা তার ২ টি মোবাইল নিয়ে চলে যায়। আমরা ঘটনাটি সেই সময় ছিদ্দিক কলোনির ইনচার্জ ছিদ্দিককে মুঠোফোনে অবহিত করলে তিনি এএসআই মোশাররফসহ ঘটনাস্থলে আসেন। সেসময় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করছে পরবর্তীতে এস আই রবিউলসহ টিম আসেন। সেই সময় মোবাইল ফেরৎ দিতে আসা হিরণ সহ ২ যুবকে আটক করা হয। এই বিষয়ে কলোনির ইনচার্জ ছিদ্দিক মুঠোফোনে জানান, আমি কলোনি থেকে ফোন পেয়ে এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ সাহেবকে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তা এএস আই মোশাররফ সাহেবকে নিয়ে আমি আসলে জানতে পারি ইয়াছিন সুখি বেগমের বাসায় এসে কাবিন নামা  চায় ও মারধর করে তার ২ টি মোবাইল নিয়ে যায়। আমরা সেই সময় ৯৯৯ ফোন দিলে এসআই রবিউল আসেন।  পরবর্তীতে মোবাইল ২ টা ফেরৎ দিতে আসা ২ যুবকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলা যুবকদের ভয়ে মামলা না করায় ও  ২ যুবকের পারিবারিক জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ইয়াছিন বিন ফয়সালের পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফসহ সূখি বেগমের বাসায় আসার দাবীর বিষয়টি নিয়ে তিনি জানান, সে বানোয়াট তথ্য দিয়েছে। ইয়াছিন পুলিশ সদস্য ছাড়া এখানে আসেন ও সুখির কাবিন নামা চান ও মারধর করেন। আর এখানে আর্থিক লেনদেনের কোন ঘটনাও নেই। পুলিশ সদস্যরা যথেষ্ট আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুখি বেগম জানান, আমি ছিদ্দিক কলোনিতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ১০/১২ দিন পূর্বে আসি। সেই দিন ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমি আর আমার বাচ্চা বাসায় একা হঠাৎ মোটর সাইকেল ও অটোরিকশা যোগে ৮/১০ লোক এসে ৪ জন আমার বাসায় ঢুকে ও বাকী ৪ জন বাসার বাহিরে অবস্থান করে আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ইয়াছিন নিজেকে ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের লোক পরিচয় দিতে আমাকে নানা অশালীল ও আজেবাজে কথা বলতে থাকে একপর্যায়ে সে চরম উত্তেজিত হয়ে আমার কাবিন নামা চান। কাবিন নামা দিতে দেরী হলে আমাকে ইয়াছিন বেদম মারধর করেন ও আমার ২ টি মোবাইল নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে আমার ২ টি মোবাইল ফেলত দিতে আসা ২ যুবকে আটক করে। আমি আমার নিরাপত্তা ও স্বামী সন্তানের জান মালের কথা ভেবে সেইদিন ওসি সাহেবকে কোন মামলা না‌ করার কথা বলি ও মোবাইল ফেলত দিতে আসা কিশোরকে ছেড়ে দিতে বলি। তার বিরুদ্ধে ইয়াছিন এর মামলা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ও জানান কি সময় আসল সে ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে আমার কাবিন নামা চাইল, মারধর ও হেনাস্তা করল আবার উল্টো মামলা দিল। এই কোন জগতে বাস আমাদের। আমার গরীব অসহায় বলে আমাদের উপর এই ধরণের হয়রানি। তিনি সেই দিনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন তারা যা করেছে তা খুশী প্রশংসনীয়। তাদের সাথে আমার কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। পুলিশ ভাইয়েরা সেইদিন নিজ‌ আন্তরিকতার বিষয়টি হেন্ডেলিং করেছেন। যদি কেউ আর্থিক লেনদেনের কথা বলে সেটি ভিত্তিহীন।

সুখি বেগমের স্বামী মো. রেজাউল আক্ষেপের সাথে  জানান  ইয়াসিন বিন ফয়সাল কোন ক্ষমতা বলে কাবিন নামা চাইল আমার স্ত্রীর কাছে আর কেনো মহিলাকে মারধর করা কোন সভ্য সমাজের কাছ। ছাত্রলীগ করে বলে কি কারো বাসায় বুকে কাবিন নামা চাইতে পারবে  মোবাইল ছিনাইয়া নিতে পারবে। আর সে কিভাবে পুলিশ ছাড়া‌ আমার বাসায় আসে। ঘটনারদিন ৯৯৯ এর সংবাদে আমরা পুলিশ আনি। এই মহিলা খারাপ হলে থানায় ফোনে অথবা পুলিশের সহায়তা নিতে পারতো। আমরাতো এই মহিলার পক্ষে নই। ইয়াসিনকে তার আগের স্বামী এই গুলি পাঠায়। মুলত: তার আগের স্বামীর টাকা দিয়া ইয়াসিন এর মাধ্যমে এই হামলা চালায়। মহিলা খারাপ হলে সে থানায় জানাতে পারতো। এই বিষয়ে  দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি রিজান চৌধুরী রাজানের প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি জ্ঞাত নয় বলে জানান। তিনি জানান ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আদর্শিক একটা দল। ছাত্রলীগের ছেলেরা কারো কাছে কাবিন নামা চাইতে পারে না। এটা আমরা সর্মতন করি না। তবে ইয়াছিন এর বিষয়টি আমি জানি না। 

১৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক ইয়াছিন বিন ফয়সাল তার কমিটির উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক স্বীক্ষার করে প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান, মামলার বিষয়টি আমি একটু শুনেছি বিস্তারিত কিছু জানিনা ও শুনিনি যতটুকু জানি ইয়াছিন বিন ফয়সাল খুব ভালো ছেলে। নালিশী মামলায় অভিযুক্ত বাকলিয়া থানার এএসআই মোশাররফ বলেন, আমি সেই দিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি দায়িত্ব পালনরত ছিলাম। আমি ছিদ্দিকের কাছে বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে যাই পরবর্তীতে আমার সিনিয়র এস আই রবিউল সাহেব আসলে তার নির্দেশমত ডিউটি পালন করি। আমি বা আমরা সিনিয়র  কাউকে হুমকি-ধমকি দেয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া। নালিশী মামলায় অভিযুক্ত বাকলিয়া থানার এসআই রবিউল হক প্রতিবেদকে জানান, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। কাউকে হুমকি-ধমকি দেয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। পুলিশ সদস্যদের নির্দিষ্ট চেইন অব কমান্ড এবং বিধি-বিধান মেনেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্যায়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ পালনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করতে হয়। মামলার সূত্রপাত সেই ঘটনার পূর্বাপর বিষয় নিয়ে বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বরাবরে প্রতিবেদন ও দাখিল করেন। বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জানান  জাতীয় জরুরী সেবার মাধ্যমে কল পেয়ে এসআই রবিউল হক ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থলে যান‌।  আমি থানায় বিস্তারিত অবগত হওয়ার পর ওসি নিজেই ঘটনার মূল হোতা ইয়াসিন বিন ফয়সাল (২২) ওরফে ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তারের জন্য এসআই রবিউল হককে নির্দেশ প্রদান করেন। ভিকটিম সুখি বেগম মামলা করতে রাজি না হওয়ার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান না হওয়ায় হিরন ও আরাফাতকে মুচলেকা ও জিম্মানামা সম্পাদন করে আত্মীয় স্বজনের জিম্মায় দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই রাতে এসআই রবিউল হক স্থানীয় পাঁচ-ছয়জন লোকসহ ইয়াসিন বিন ফয়সালের বাসায় গিয়ে তার খোঁজ নেন। এসময় তার মা সিতারা বেগম ছেলের সাথে যোগাযোগ নেই এবং বাড়ি ঘরে আসে না বলে পুলিশকে জানান। এরপর এসআই রবিউল ইয়াসিনের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নোট করে নির্ধারিত নৈশ ডিউটিতে নিয়োজিত হন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উক্ত ইয়াসিন বিনা বাকলিয়া থানার অফিসার ফোর্সের সম্মানহানী করার উদ্দেশে কাল্পনিক কথাবার্তা ও সাক্ষী সাজিয়ে নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 4 =