বাউল গানের নামে চলছে অনৈতিক অশ্লীল নাচ-গানের রমরমা ব্যবসার অভিযোগ

0
141

ক্রাইম রিপোর্টার : বাউল গানের নামে রাতভর চলছে অনৈতিক অশ্লীল নাচ-গানের রমরমা ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। স্থায়ী প্রশাসন নিরব, রাজধানীর  যাত্রাবাড়ী মহাসড়কের পাশে রায়ের বাগ পুনম সিনেম হলের পুর্ব পাশে বাউল গানের নামে চলছে রমরমা অনৈতিক অশ্লীল ভঙ্গিতে  নাচ-গানের রমরমা ব্যবসা।

বাউল গানের আয়োজোক  মাসুম ও সুমন, সেল্টার দাতা বলাকা জাকির ওরফে যাএাপালা জাকির মাঝে মাঝে সাংবাদিক পরিচয় দেন, রমরমা অনৈতিক অশ্লীল ভঙ্গিতে নাচ গানের মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এই চক্রের মূল হোতা সুমন ও মাছুম । বাউল গানের আয়োজন শুরু করেন  রাত ১০ টা সময়  এবং শেষ হয় ভোর ৫ টার সময়। এলাকাবাসী জানান রাতভর বাউল গানের

 নামে চলে অশ্লীল নৃত্য ভঙ্গিতে গান নাচ। অনেক ভক্তরা মদ্যপান করে আসে সপ্তাহ ৩ দিন উচ্চস্বরে গান বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কারণে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও ঘুমের সমস্যা হয়।  অবৈধ স্থাপনার মধ্যে টিনসেট ঘরে এ আয়োজন করা হয়।

ঘুম কম হওয়া বা ঘুমের সমস্যার কারণে ব্যক্তি শারীরিকভাবে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। এ পর্যন্ত ১৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ওজন বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। জার্নাল সায়েন্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, অনিদ্রার সঙ্গে দ্রুত মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু অন্যান্য অসুখ যেমন ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সঙ্গে ইনসমনিয়ার যোগসূত্র রয়েছে।এক গবেষণা বলছে, কেউ টানা ১৭ থেকে ১৯ ঘণ্টা জেগে থাকলে মস্তিষ্কে যে ধরনের প্রভাব পড়ে, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলেও একই ধরনের প্রভাব পড়ে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। গবেষণায় বলছে, কোনো ব্যক্তি যদি টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে থাকে, এতে স্বাভাবিক আচরণ ও দৈনন্দিন কাজেকর্মে মারাত্মক প্রভাব পড়ে যা তাকে শর্ট টাইম মেমোরি লস থেকে শুরু করে হেলুসিনেশন, এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতির দিকেও নিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে আসা ভক্তরা গানের তালে তালে নারী শিল্পীদের গায়ে হাজার টাকার বান্ডিল আনন্দের সাথে ছুড়ে ছুড়ে দেয়। দেশের অস্থিশীল পরিস্থিতিতে  মানুষ দিন আনতে পান্থা পুড়ায়। তারা রাতভর হাজার টাকা নষ্ট করে, এই টাকার উৎস কোথায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান  অনুষ্ঠানের টাকা ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। একভাগ শিল্পীরা নেন, ২য় ভাগ পরিচালনা কমিটি, ৩য় ভাগ এলাকার দলীয় নেতারা, ও থানা পুলিশ।

এক ভুক্তভোগী জানান মেয়েদেরকে দিয়ে ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেয় । এভাবে সহজ সরল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে  লাখ লাখ টাকা নিচ্ছে এই চক্রটি  ।

এবিষয় এক ভুক্তভোগী জানান গত ৪-১১-২০২৩ ইং রাত ১টা দিকে ৯৯৯ কল করিলে তারা যাএবাড়ী থানার এসআই সোহেল রানার মোবাইল নাম্বারটা পাঠান। কল করা হলে এস আই সোহেল প্রায় দুই ঘন্টা পড়  ঘটনাস্থলে আসেন। গান বন্ধ করার কথা বলেন, সুমন এসআই সাথে কথা বলে, মোসাবা করে, চলে যেতে বলেন,কোন ব্যবস্থা না নিয়ে এসআই চলে যান। ১০মিনিট গান বন্ধ থাকে।এরপর ভুক্তভোগী পুনরায় আবার এস আই সোহেলকে বিষয়টা মোবাইল ফোনে জানানে সে বলে কাজে আসেন। এর পর আর আসেনি।

তার ২ঘন্টা পর এস আই সোহেল রানা ঘটনা স্থানে আসে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে এস আই সোহেল রানার  কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান উপরের মহলের কথায় চলে যাই।

এবিষয় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুর রহমানের  সাথে মুঠোফোনে কথা  হলে তিনি বলেন,আমি  কাজে ব্যস্ত । এ ব্যাপারে কথা বলার সময় এখন নাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 + eleven =