নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে ফোরলেন সড়ক নির্মানে ভূমি অধিগ্রহনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগীরা আদালতের আশ্রয় নিলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। উল্টো আদালতের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করেই চলছে সড়ক নির্মান কাজ। এ নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের ফোরলেনের কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার। উক্ত সড়কের সেনবাগ উপজেলার ভূঁইয়া দিঘির পাড় মোহাম্মদপুর মৌজার ৬৬২২, ৬৬২৩, ৬৬২৫, ৬৬২৬ সহ বিভিন্ন দাগে ৩৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক বেগমগঞ্জের নাদরেজ্জামানের পুত্র কাউসাউজ্জামান ও হাসানুজ্জামান। সেখানে তারা দীর্ঘ বছর যাবত কেএইচবি ব্রিকফিল্ড স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সরকারী নিয়মানুয়ী উক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহন করার কথা থাকলেও তা আইনগত ভাবে না করে এবং প্রকৃত মালিক কাউসাউজ্জামান ও হাসানুজ্জামানকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। এতে ভূমির মালিক কাউসাউজ্জামান ও হাসানুজ্জামান সরকারী ভাবে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কাউসাউজ্জামান ও হাসানুজ্জামান জানান, আমাদের ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত উক্ত সড়কের কাজ বন্ধ রাখতে আমরা মাহামন্য হাই কোর্টে আবেদন করি। আদালত রিট পিটিশন ৫৩৬৮/২০২০ নং এবং ১২৩১২/২০২৩ আদেশে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। সে মোতাবেক সড়কের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশের কপিসহ কর্তপক্ষকে জানালেও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার তা মানছেন না। এমতাবস্থায় ক্ষতিপূরণ পাওনা নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছি। বিষয়টি আবারও আদালতকে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ঠ ভূমি অধিগ্রহন দপ্তর থেকে সীমানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর ঠিকাদার কাজ করছে। আমরা ক্ষতিপূনের টাকা ভূমি অধিগ্রহন শাখাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহন শাখা কর্মকর্তা আহসান হাফিজ জানান, আদালতের নির্দেশ মতে আমরা ক্ষতিপূরনের টাকা প্রদান স্থগিত রেখেছি। সড়কে কাজ চলমান থাকার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের এখতিয়ার। আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ যেন অমান্য না হয় সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।