বিপুল চাকমাসহ ৪ ইউপিডিএফ নেতাকর্মী হত্যা ও ৩ জন অপহরণ করার ঘটনায় ৫ দলীয় বাম জোটের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ

0
93


৫ দলীয় বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ আজ ১৩ ডিসেম্বর ’২৩ সংবাদপত্রে প্রেরিত  এক  যৌথ  বিবৃতিতে  বিপুল চাকমা সহ ৪ ইউপিডিএফ নেতাকর্মী হত্যা ও ৩ জন অপহরণ করার ঘটনায় ৫ দলীয় বাম জোটের তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ৫ দলীয় বাম জোটের সমন্বয়ক কমরেড ডা. এম এ সামাদ, কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিধান দাস, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি, কমরেড শাহীন আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টি (মার্কসবাদী)র সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মাওবাদী)র সভাপতি কমরেড গিয়াসউদ্দিন ভূঁইয়া, কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, এছাড়াও ৫ দলীয় বাম জোটের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক পার্টির সভাপতি কমরেড হেলাল উদ্দিন।
 
জোট নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, গত সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ রাতে খাগরাছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের অনিলপাড়া নামক গ্রামে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করে পিসিপি’র সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি সুনীল কান্তি ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ—সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, পাহাড়ে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। সেনাবাহিনীর মদদে ও নানা মহলের উস্কানিতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষ নানা গ্রুপে নিজেরা বিভাজিত হয়ে একে অপরের প্রাণ সংহার করছে। পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের ২৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি এবং চুক্তিরও বেশিরভাগ মৌলিক বিষয় বাস্তবায়ন হয়নি। অবসান হয়নি অঘোষিত সেনা শাসনের। গুম—খুন—ধর্ষণ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপারে পরিণত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড তা থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। চারজনকে হত্যা করা ছাড়াও তিনজনকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন এবং অপহরণকৃতদের উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোর তৎপরতার দাবি জানান। একই সাথে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে না জড়িয়ে এবং শাসক বুর্জোয়া ধনিক শ্রেণির রাজনৈতিক দলের ক্রীড়ানকে পরিণত না হয়ে পাহাড়ি আদিবাসী জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামকে জোরদার করুন। পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী বাঙালি শোষিত জনগণের মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + six =