অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার

0
166

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জে অটো চালককে চেতনানাশক স্প্রের মাধ্যমে অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা হলো ময়মনসিংহ নান্দাইলের বরুনাকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে শিপন মিয়া (২৫), নান্দাইল মাইজহাটি গ্রামের আব্দুল মুসলিম উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪২), কিসমত রসুলপুর গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে অংকুর মিয়া ওরফে রিপন (২৮), একই উপজেলার মোরাগালা গ্রামের মৃত ফিরোজ খানের ছেলে শাহীন খান (৩২) ও কিশোরগঞ্জ তাড়াইলের বোরগাঁও গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৫)।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত দুটি অটোরিকশা, একটি মোবাইল সেট, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও চেতনানাশক দুটি ড্রপ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত কাজিরগাঁও গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে অটোরিক্সা চালক মামুন মিয়া (২২) প্রতিদিনের মত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে চৌদ্দশত বাজার থেকে শিপন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও অজ্ঞাত একজনসহ মোট তিনজন যাত্রীবেশে মামুনের অটোরিকশায় যাত্রী বেশে কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দিকে রওনা হয়।

এ সময় মোটরসাইকেলযোগে অপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদেরকে অনুসরণ করতে থাকে।

পথিমধ্যে তারা অটোচালক মামুনকে চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগে অজ্ঞান করে। পরে কিশোরগঞ্জ সদরের লতিবাবাদ ইউনিয়নের মায়াকানন পার্ক সংলগ্ন জনতা বাজারগামী রাস্তার পাশে নিয়ে মামুনকে ফেলে রেখে ছিনতাইকারীরা মামুনের অটোরিকশা, মোবাইল ফোন ও নগদ দেড়হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। ঘটনাটি পাশের একটি বাড়ির ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় (সিসিটিভি) রেকর্ড হয়।

ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম মামুনের পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল ১৭ ডিসেম্বর শিপন মিয়াকে নান্দাইল উপজেলার বরুনাকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

পরে অপর চার আসামিকেও তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি আসামি সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে, অন্য একটি অটোরিকশা আসামি অংকুর মিয়ার কাছ থেকে এবং আসামিদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।

অটোরিকশা ছিনতাইচক্রের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শাহীন খানকে। পুলিশ সুপার আরও জানান, এই চক্রের সঙ্গে কমপক্ষে ১৫ জনের মত জড়িত। গ্রেফতার পাঁচজন ছাড়াও চক্রের চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকেও গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আজকের গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার, ব্রিফিং কালে উপস্হিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 5 =