আলমগীরের এত টাকার উৎস কোথায়

0
159

স্টাফ রিপোর্টার: কথায় আছে আঙুল ফুলে কলাগাছ, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয় আরো কত কি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, এবার আসা যাক আসল কথায়, ডাক নাম আলমগীর, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিত্তবান 

মানুষের তালিকায় নিজেকে নিয়ে এসে নামের টাইটেলে  বাড়িয়েছেন মোঃ আলমগীর শেখ, বর্তমানে গাজীপুরা, ২৭ রোডে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করছেন,মাত্র কয়েক বছর আগেও আনুমানিক ২০০৪-২০০৫ সালে তিনি একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে নিটিং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন, প্রতিমাসে ইনকাম করতেন  ৪,০০০/- থেকে ৫০০০/- হাজার টাকা, তবে এ টাকায় তার খরচ পোষাতে পারতেন না, পরবর্তীতে সু কৌশলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর সহকারী হিসেবে কাজ নেন তার সাথে ২-৩ বছর কাজ করেন, পরবর্তীতে এক শিল্পপতির ম্যানেজার হিসেবে চাকরি নেন, প্রথমে ১০ হাজার টাকা বেতন পরবর্তীতে নাকি ২০ হাজার টাকা বেতন পান, সেই সাথে একটি রুমের ভাড়া পান প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা, তাহলে আলমগীরের প্রতিমাসের ইনকাম আসে, বেতন ২০,০০০/ রুম ভাড়া ৫০০০/-  সর্বমোট ২৫,০০০/ টাকা, যদি প্রতি মাসে ২৫,০০০/ টাকা সে ইনকাম করে আর যদি সেখান থেকে কোন টাকা ব্যয় না করে তাহলে আলমগীরের বাৎসরিক ইনকাম হবে ৩,০০০০০/- লক্ষ টাকা, এবং তিন লক্ষ টাকা করে যদি প্রতিবছর ইনকাম করেন  তাহলে তিনি ১৫ বছরে ইনকাম করতে পারেন ৪৫,০০০০ লক্ষ টাকা, এতক্ষন আমরা শুধু আয়ের কথা বলেছি চলুন এবার ব্যয়ের কথা জানি, তার নিকটতম আত্মীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার কাছ থেকে জানা যায়, গাজীপুর জেলার মাওনা থেকে কিছুটা ভিতরে মুরগি বাজার নামক একটি জায়গায় ভিটা বাড়ির জমি ক্রয় করেছেন ৪৭ কাঠা ৩ কোটি টাকা, কৃষকের ফসলি জমি ক্রয় করেছেন ৪০ কাঠা যার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা, আরো জানা যায় গাজীপুরা বাস স্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমে গুটিয়া একটি বাড়ি ক্রয় করেছেন যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা,

আলমগীরের নিজের কাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন ১২০ কাঠা, আলমগীরের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী থানার বিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তারকাঠী গ্রামে, নিজ গ্রামের হেলাল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ কাঠা পলাশ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ কাঠা, এছাড়াও নিজের শ্বশুরকে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় বাড়ি করে দিয়েছেন, নিজের সে লোককে নিজ খরচে বিদেশ পাঠিয়েছেন, একমাত্র শালিকে নিজের খরচে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন, রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট,বিলাশ বহুল জীবন যাপন করছেন,এতসব সম্পত্তি এবং টাকা থাকার পরও কখনো ইনকাম ট্যাক্স দেয়নি এই মানুষটি, এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এবং এত টাকার কিভাবে তিনি মালিক হলো তার খতিয়ে দেখার জন্য সচেতন মানুষগুলো প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন,এ বিষয়ে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen + 13 =